নামটি এসেছে আটলান্টিকের এক অলীক দ্বীপের নাম থেকে৷ বাড়িটির স্থপতি হলেন,
শিকাগো শহরের প্রখ্যাত ‘পার্কিন্স অ্যান্ড উইল’ সংস্থা৷ এবং এর
স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থাটির নাম ‘স্টারলিং ইঞ্জিনিয়ারিং
কনসালট্যান্সি প্রাইভেট লিমিটেড৷
প্রায় দু-বছর ধরে বাড়িটি বানানোর পর বাড়ির মালিকের মনে হয়েছিল বাড়িটি
ইঞ্জিনিয়াররা বাস্তু শাস্ত্র মেনে বানাননি৷ ফলে, ‘বাস্ত্ত কারেকশন’ করতে
লেগেছিল আরও দেড় বছর৷ বিগত তিন বছর তারা এই বাড়িতেই আছেন৷ এই বাড়িটির
‘ইউএসপি’ হল, ২৭টি তলার ডিজাইন ২৭ রকম৷ এবং ২৭ রকম ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি৷
ফলে, কোনও তলার সঙ্গে কোনও তলার মিল নেই৷
চার লক্ষ বর্গফুটের এই বাড়িটিতে কী-কী আছে সেটাও বেশ মজার৷ হেলথ স্পা আছে, বিউটি সালোঁ রয়েছে, আছে বলরুম, এমনকী ৫০ আসন বিশিষ্ট একটি সিনেমা হল পর্যন্ত আছে৷ আর আছে মাল্টিপল সুইমিং পুল, ইয়োগা অ্যান্ড ডান্স স্টুডিও৷ আর আছে খুব গরম লাগলে ‘স্নো রুম’৷ সত্যি-সত্যি তুষারপাত হয় এই ঘরে৷
বাড়ির মালিকের গাড়ির খুব শখ৷ তাই প্রথম ছ’টি ফ্লোরে থাকে কেবল তার গাড়ি৷ এবং সপ্তম তলায় আছে গাড়ি সারাইয়ের ‘কার সার্ভিস স্টেশন’৷
নেবুসাডনেজারের মতো ঝুলন্ত বাগান বা হ্যাঙ্গিং গার্ডেনও আছে৷ সেই বাগান ঝোলে বাড়ির বাইরে থাকা বিমের গায়ে৷ হেলিপ্যাড বানানোর অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে সেটি নেই৷
নেবুসাডনেজারের মতো ঝুলন্ত বাগান বা হ্যাঙ্গিং গার্ডেনও আছে৷ সেই বাগান ঝোলে বাড়ির বাইরে থাকা বিমের গায়ে৷ হেলিপ্যাড বানানোর অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে সেটি নেই৷
এতবড় বাড়িতে থাকেন ক’জন? স্বামী-স্ত্রী আর তাদের তিন সন্তান৷ মাত্র পাঁচ
জন৷ তবে বাড়ি ভর্তি করার জন্য ৬০০ জন কর্মচারির ব্যবস্থা আছে৷ তাদের নানা
কাজ৷ এদের মধ্যে সিকিওরিটি, বডি গার্ড, সহকারীরাও আছেন৷ তাদের মনোরঞ্জনের
জন্য রয়েছে একটি বিশাল হল ঘর৷ এখন প্রশ্ন হল পৃথিবীর সব চেয়ে মহার্ঘ্য এই
বাড়ি তৈরিতে খচর কত? হিসেব মতে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার৷ বাড়ির মালিক
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে এর চেয়ারম্যান ভারতের মুকেশ আম্বানি৷
0 comments:
Post a Comment