advertisement

adverisement

your javascript ads here

Tuesday, 28 June 2016

মেসি ভক্ত? মেসির জীবনের এই অধ্যায়গুলো জানেন কি?

আর্জেন্টিনার হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ৫৫ টা গোল। তারপরও জাতীয় দল মানেই তার কাছে এক আক্ষেপের নাম। কারণ, মাত্র ২৯ বছর বয়সেই পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব, আটটি লা লিগা শিরোপা, চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতে ফেললেও জাতীয় দলের হয়ে তার প্রাপ্তির খাতাটা শূণ্য।
আর সেই আক্ষেপ থেকেই আরেকটা কোপা আমেরিকার ফাইনাল হারের পর বিদায় বলে দিলেন মেসি। আর্জেন্টিনার জার্সিতে আর নয় – বলে দিলেন বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম নান্দনিক এই ফুটবলার।
তার এই অবসরের দিনে চলুন জেনে নেয়া যাক তার জীবনের অজানা কিছু অধ্যায়…
মেসিকে নিয়ে গর্ব করা কিংবা হতাশ হওয়া – দুটোই করতে পারে ইতালি। গর্ব, কারণ মেসির দেহে আছে ইতালিয়ান রক্ত। হতাশা, কারণ মেসি ইতালির হয়ে তো আর খেলেন না! মেসির পূর্বপুরুষেরা ইতালির আনকোনার অধিবাসী ছিলেন। ১৮৮৩ সালে ভাগ্যের সন্ধানে অ্যাঞ্জেলো মেসি চলে আসেন আর্জেন্টিনায়।
শখের ফুটবল কোচ হলেও এ দিয়ে জীবন ধারণ করা সম্ভব ছিল না মেসির বাবা হোর্হের, সম্ভব ছিল না পরিবারের চাওয়া পূরণ করা। আর তাই কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে হয়েছে হোর্হেকে। মেসির মা সেলিয়াও খণ্ডকালীন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেছেন। ১১ বছর বয়সে মেসির গ্রোথ হরমোনের ঘাটতির অসুখ ধরা পড়ে। মাসে ৯০০ ডলারের ব্যয়বহুল এই চিকিত্সার ব্যয় মেটানো সম্ভব ছিল না মেসির পরিবারের পক্ষে।
স্পেনের লেইদায় মেসির কিছু আত্মীয়স্বজন থাকতেন। তাদের মাধ্যমেই বালক মেসির অবিশ্বাস্য প্রতিভার খবর পান বার্সার তখনকার ক্রীড়া পরিচালক কার্লেস রেক্সাস। অবশেষে মেসিকে ট্রায়ালে দেখতে রাজি হন। মেসিকে বার্সা নেবেই—এমন কোনো প্রস্তুতি সম্ভবত ছিল না রেক্সাসের। কারণ, বালক মেসির ফুটবল-ঝলক দেখার পর তাকে সঙ্গে সঙ্গে সই করানোর জন্য কোনো দলিল-দস্তাবেজ তো দূরের কথা, কোনো কাগজই ছিল না। কিন্তু কাগজের জন্য অপেক্ষা করতে আর তর সইছিল না রেক্সাসের। সঙ্গে থাকা ন্যাপকিনেই মেসির বাবার সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেন তিনি! মেসির চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভারও গ্রহণ করে বার্সা।
চাইলে মেসি ২০১০ সালের বিশ্বকাপটা হাতে নিতে পারতেন। কিন্তু কিভাবে? ২০০০ সালে বার্সেলোনায় চলে আসেন মেসি। সিনিয়র দলে অভিষেক ২০০৪ সালে। এরই মধ্যে মেসি প্রস্তাব পেয়েছিলেন স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য। কিন্তু মেসি ঠিক করেন স্পেন নয়, তিনি খেলবেন নাড়িপোঁতা আর্জেন্টিনার হয়েই। মেসি অবশ্য পরে স্পেনের নাগরিকত্বও নিয়েছেন। ২০০৫ সাল থেকে তার দুটো পাসপোর্ট।
রিয়াল মাদ্রিদকে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করা সেই এল ক্লাসিকোতে দুটো গোল করেছিলেন মেসি। দুটো গোলের পরই জার্সির নিচের টি-শার্টটি উঁচিয়ে ধরে উদযাপন করেছিলেন। যেখানে লেখা ছিল, ‘ফ্র্যাজাইল এক্স সিনড্রোম’। অটিজমের জন্য দায়ী এই অসুখের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মেসি আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য গঠন করেছেন লিও মেসি ফাউন্ডেশন। আয়ের একটা বড় অংশ মেসি দান করেন এ সব দাতব্য কাজে।
মেসির খ্যাতির আলোতে ম্লান তার দুই ভাই। এরা অবশ্য আপন ভাই নন, খালাতো ভাই। ম্যাক্সি ও এমানুয়েল বিয়ানকুচ্চি। মেসির মতোই নিউয়েলস ওল্ড বয়েজ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা এমানুয়েল এখন খেলেন প্যারাগুয়ের ক্লাব অলিম্পিয়াতে। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ভিতোরিয়ার হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন ম্যাক্সি।

0 comments:

Post a Comment