বাংলাদেশের যেসব বোলার সন্দেহজনক!
ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ
অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় মাথায় নিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের মাঝপথে দেশে ফিরে আসা আরাফাত সানি। এরপর থেকে বাংলাদেশের বোলাররা বিসিবির বিশেষ নজরদারিতে আসে। গেল ডিপিএল-এ এই মর্মে বোলারদের উপর বিশেষ পর্যবেক্ষণ। যার ফলে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে ১১ জন বোলার।আর তাই অভিযুক্ত বোলারদের নিয়ে ঈদের পরে পুনর্বাসনের কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া ও বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়া আরাফাত সানি ঘরোয়া ক্রিকেট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছিলেন। খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি তিনি। কিন্তু তারপরও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অভিযুক্ত হয়েছেন সানি। গত বুধবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বোলিং অ্যাকশনে প্রশ্নবিদ্ধদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন ১১ জন বোলার। এর মধ্যে রয়েছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানিও আছেন। গত মার্চে ভারতে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপে হল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটি খেলেই অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে অভিযুক্ত হন আরাফাত সানি। এর পরপরই আইসিসি অনুমোদিত চেন্নাইয়ের শ্রীরামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন এই বাঁহাতি স্পিনার। রিপোর্ট নেতিবাচক হওয়ায় আরাফাত সানিকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি।
তবে দেশে ফিরে নিজেকে শুধরে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার পণ করেছিলেন আরাফাত সানি। এ জন্য ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বের বেশ কয়েকটি ম্যাচে তাকে খেলতে দেখা যায়নি। তবে লিগ পর্বের শেষ দিকে চারটা ম্যাচ খেলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের এই বাঁহাতি স্পিনার। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হলো না তার। ঘরোয়া লিগেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সানির বোলিং অ্যাকশন। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সানি অ্যাকশন শুধরানো নিয়ে কাজ করায় বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি বাকি ১০ জনকে নিয়ে কাজ শুরু করবে আগামী ২০ জুলাই থেকে।
প্রশ্নবিদ্ধ বোলিং অ্যাকশনের তালিকায় রয়েছেন মাত্র একজন পেসার। বাকি ১০ জনই স্পিনার। এদের মধ্যে ১০ জনকে নিয়ে ঈদের পর ২০ জুলাই থেকে অ্যাকশন শোধরানোর কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে অ্যাকশন রিভিউ কমিটি। গত টি২০ বিশ্বকাপ থেকেই আলোচিত বিষয় সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ এবং আরাফাত সানি নিষেধাজ্ঞার খাঁড়ায় পড়ার পর টনক নড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। ভবিষ্যতে এ সমস্যায় আর যেন না পড়তে হয় তাই এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বোলারদের বোলিং অ্যাকশনে আলাদাভাবে নজর দেয়া হয়।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আম্পায়ারদের দৃষ্টিতে কোনো বোলারের বোলিং নিয়ে সন্দেহ হলে তার বিরুদ্ধে ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতেই এই ১১ জনের তালিকা করা হয়েছে।
প্রিমিয়ার লিগে সন্দেহজনক ১১জন বোলারের তালিকা
মুস্তফিজুর রহমান (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স)
মইনুল ইসলাম (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স)
অমিত কুমার নয়ন (আবাহনী লিমিটেড)
রেজাউল করীম রাজীব (প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব)
মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ (কলাবাগান ক্রীড়া চক্র)
আসিফ আহামেদ রাতুল (লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ)
নাঈম ইসলাম জুনিয়র (মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব)
ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স (মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব)
সঞ্জিত সাহা (ব্রাদার্স ইউনিয়ন)
সাইফুদ্দিন (সিসিএস)
আরাফাত সানি (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব)
0 comments:
Post a Comment