★প্রথম ভালবাসার অনুভূতি ★
.
বায়োলজি ক্লাস চলছে। ম্যাডাম পড়া
বোঝাচ্ছে। সেদিকে কোন মন নেই।আসলে
ব্যাক বেঞ্চার হলে হয় আর কি?
.
হঠাত করে একটা মিষ্টি কন্ঠে ভেসে আসলো
"ম্যাডাম আসতে পারি" উফ এত মিষ্টি কারো
কণ্ঠস্বর হতে পারে এই প্রথম বুঝতে পারলাম।
কিন্তু ম্যাডাম টাও না ভিতরে আসতে না
করে দিলেন। বাহিরে গিয়ে কথা বলতে
লাগলেন।এই সুন্দর কন্ঠের মানুষটা আরো
সুন্দর হবে এই ভেবে তাকে দেখার আশায়
সামনে গেলাম। উপরওয়ালা আমাকে নিরাশ
করেন নি। একদম যেমন টা ভেবেছি তার
চেয়েও সুন্দর একদম ডানাকাটা পরী।
.
:-ওর নাম সামিয়া। ও তোমাদের নতুন বন্ধু আর
তোমাদের গ্রুপেই আজ থেকে ক্লাস করবে।
(ম্যাডাম)
.
উফ কি শুনাইলো ম্যাডাম খুশিতে লুঙ্গী
ড্যান্স করতে মন চায় অবশ্য লুঙ্গী থাকলে
দিতাম। যাইহোক চরম আর ব্যাপক উদ্দিপনা
নিয়ে বাসায় ফিরলাম।মনের ভিতরে এক অন্য
অনুভূতি কাজ করছে।
এটা শুধুই সামিয়ার জন্য।
কিন্তু বাসায় ফিরে তো চোখ কপালে উঠে
গেছে একি? সামিয়া আমাদের বাসায় কেন?
আমার একমাত্র বোন নীলাকে ডাকলাম।
.
:-এই নীলা আমার রুমে আয় তো।(আমি)
:-আসছি ভাইয়া।(নীলা)
:-হুম বলো কি বলবে?(নীলা)
:-ওইটা আমাদের বাসায় কেন?(আমি)
:-কোনটা? (নীলা)
:-সামিয়া।(আমি)
:-আরো ও আব্বুর বন্ধুর মেয়ে সামিয়া।(নীলা)
:-কি? তাই? সত্যি?(আমি মনে মনে খুব খুশী
হলাম)
:-হ্যা।(নীলা)
:-আচ্ছা এই নে তো আইসক্রিম আর এই নে ৫০
টাকা ওকে নিয়ে বিকেলে ফুচকা খাইছ।
(আমি)
:-৫০ এ হবে না ১০০ লাগবে....(নীলা)
:-কিন্তু ১০০ নেই যে আমার কাছে..(আমি)
:-তা জানি না।(নীলা)
:-আচ্ছা এই নে।(আমি)
:-ওকে যাই উম্মা আমার লক্ষ্যি ভাই।(নীলা)
:-লক্ষ্যি না ছাই স্যারের টাকা থেকে
দিলাম আল্লাহ জানেন কি হয়।।(আমি)
:-আচ্ছা যাই। (নীলা)
.
রুম থেকে বের হয়ে গেল নীলা।
উফফফ এ তো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।
যাইহোক যখন ইচ্ছা আমি সামিয়াকে দেখতে
পারবো....
.
পরেরদিন.......
.
:-আসতে পারি?(সামিয়া)
:-কে? ওহ তুমি আসো।(আমি)
:-কেমন আছেন?(সামিয়া)
:-ভালো।তুমি?(আমি)
:-জ্বী,ভাল।(সামিয়া)
:-কি মনে করে?(আমি)
:-একটা বই লাগবে।(সামিয়া)
:-ওকে নিয়ে যাও (আমি)
:-ধন্যবাদ।
.
চলে গেল সামিয়া কিন্তু এক পলকেই আমার
বুকের ভিতর এক অন্য রকম অনুভুতির কাজ
করতে লাগলো।একটু একটু করে ভালবাসাটা
বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এভাবেই কেটে যায় প্রতিটা দিন।
সামনে এস,এস,সি। একবার করে বই গুলো
রিভাইস করছিলাম।
.
:-কি করো?(নীলা)
:-দেখতেই পারছো।
:-হুম।
:-কিছু বলবা?
:-না।
:-তবে?
:-কিছুনা।
:-তোমাকে একটা কথা বলার ছিল।
:-কি কথা?
:-না মানে..
:-কি বলো?
:-আমিই আমিইইইইইই আমম্মমাইইই।
:-কি হল তোমার?
:-না আমি সব বই শেষ করতে পারিনি একটু
সাহায্য করবে?
:-তাই এই কথা?
:-হুম।
:-ওকে।
.
এভাবে আজকেও বলা হল না আমার মনের
অজান্তে ফুটে ওঠা সেই ভালবাসার কথা।
এরই মাঝে পরিক্ষা শেষ হয়ে গেল।
.
একদিন বিকেলবেলা.......
.
সামিয়া এখনো আসেনি কেন?
ওই তো এসেছে।
.
:-সাবধানে সামিয়া।
:-কেন?
:-খুব জোড়ে গাড়ী আসছে।
:-কিচ্ছু হবেনা।
.
হঠাত একটা চিতকারে আকাশ বাতাস সব
কিছু থমকে গেলে আমার জীবনের।
.
:-আমি তোমাকে ভালবাসি সামিয়া।
তোমাকে ছাঁড়া আমার সব কিছুই অন্ধকার।
আমি শুধু তোমাকে চাই যেকোনো মূল্যে।
:-কিন্তু তুমি একটু দেরী করে ফেলেছো।
:-এই চোখের দিকে তাঁকিয়ে বল তুমিও
আমাকে ভালবাসো।
:-হ্যা আমিও তোমাকে ভালবাসি। নীলা
আমাকে বলেছে অনেকবার তুমি আমাকে
ভালবাসো কিন্তু আমি সেটা তোমার মুখ
থেকে শুনতে চেয়েছিলাম।কিন্তু যখন বললে
তখন খুব দেরী হয়ে গেছে।আমাকে যেতে
হবে।
:-তোমার কিচ্ছু হবে না সামিয়া।আমি
তোমার কিচ্ছু হত্র দিব না।
:-তা হয় নাকি বাবু?
:-বাবুনি প্লিজ আমকে ছেঁড়ে যেওনা।
:-আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধর তোমার বুকে
ছেরোনা প্লিজ।
:-তোমার কিচ্ছু হবে না।সামিয়া এই সামিয়া।
.
সামিয়া আর কথা বলে না ওর নিথর দেহটা
এখনো আমার বুকে।
আজ ৩ টা বছর কেটে যায় অনেকে বলে
সামিয়া নেই।কিন্তু আমি জানি ও আছে
আমার বুকের ভিতরে আছে।
.
বিঃদ্রঃ- সবাইকে বলছি প্লিজ একটু
সাবধানে রাস্তা পার হবেন।এটা গল্প হতে
পারে কিন্তু এমন টা হয়েই থাকে। তাই
ওভারব্রিজ ব্যবহার করুন প্রয়োজনে
ট্রাফিকের সাহায্য নিবেন। ভাল থাকবেন
সবাই।
.
বায়োলজি ক্লাস চলছে। ম্যাডাম পড়া
বোঝাচ্ছে। সেদিকে কোন মন নেই।আসলে
ব্যাক বেঞ্চার হলে হয় আর কি?
.
হঠাত করে একটা মিষ্টি কন্ঠে ভেসে আসলো
"ম্যাডাম আসতে পারি" উফ এত মিষ্টি কারো
কণ্ঠস্বর হতে পারে এই প্রথম বুঝতে পারলাম।
কিন্তু ম্যাডাম টাও না ভিতরে আসতে না
করে দিলেন। বাহিরে গিয়ে কথা বলতে
লাগলেন।এই সুন্দর কন্ঠের মানুষটা আরো
সুন্দর হবে এই ভেবে তাকে দেখার আশায়
সামনে গেলাম। উপরওয়ালা আমাকে নিরাশ
করেন নি। একদম যেমন টা ভেবেছি তার
চেয়েও সুন্দর একদম ডানাকাটা পরী।
.
:-ওর নাম সামিয়া। ও তোমাদের নতুন বন্ধু আর
তোমাদের গ্রুপেই আজ থেকে ক্লাস করবে।
(ম্যাডাম)
.
উফ কি শুনাইলো ম্যাডাম খুশিতে লুঙ্গী
ড্যান্স করতে মন চায় অবশ্য লুঙ্গী থাকলে
দিতাম। যাইহোক চরম আর ব্যাপক উদ্দিপনা
নিয়ে বাসায় ফিরলাম।মনের ভিতরে এক অন্য
অনুভূতি কাজ করছে।
এটা শুধুই সামিয়ার জন্য।
কিন্তু বাসায় ফিরে তো চোখ কপালে উঠে
গেছে একি? সামিয়া আমাদের বাসায় কেন?
আমার একমাত্র বোন নীলাকে ডাকলাম।
.
:-এই নীলা আমার রুমে আয় তো।(আমি)
:-আসছি ভাইয়া।(নীলা)
:-হুম বলো কি বলবে?(নীলা)
:-ওইটা আমাদের বাসায় কেন?(আমি)
:-কোনটা? (নীলা)
:-সামিয়া।(আমি)
:-আরো ও আব্বুর বন্ধুর মেয়ে সামিয়া।(নীলা)
:-কি? তাই? সত্যি?(আমি মনে মনে খুব খুশী
হলাম)
:-হ্যা।(নীলা)
:-আচ্ছা এই নে তো আইসক্রিম আর এই নে ৫০
টাকা ওকে নিয়ে বিকেলে ফুচকা খাইছ।
(আমি)
:-৫০ এ হবে না ১০০ লাগবে....(নীলা)
:-কিন্তু ১০০ নেই যে আমার কাছে..(আমি)
:-তা জানি না।(নীলা)
:-আচ্ছা এই নে।(আমি)
:-ওকে যাই উম্মা আমার লক্ষ্যি ভাই।(নীলা)
:-লক্ষ্যি না ছাই স্যারের টাকা থেকে
দিলাম আল্লাহ জানেন কি হয়।।(আমি)
:-আচ্ছা যাই। (নীলা)
.
রুম থেকে বের হয়ে গেল নীলা।
উফফফ এ তো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।
যাইহোক যখন ইচ্ছা আমি সামিয়াকে দেখতে
পারবো....
.
পরেরদিন.......
.
:-আসতে পারি?(সামিয়া)
:-কে? ওহ তুমি আসো।(আমি)
:-কেমন আছেন?(সামিয়া)
:-ভালো।তুমি?(আমি)
:-জ্বী,ভাল।(সামিয়া)
:-কি মনে করে?(আমি)
:-একটা বই লাগবে।(সামিয়া)
:-ওকে নিয়ে যাও (আমি)
:-ধন্যবাদ।
.
চলে গেল সামিয়া কিন্তু এক পলকেই আমার
বুকের ভিতর এক অন্য রকম অনুভুতির কাজ
করতে লাগলো।একটু একটু করে ভালবাসাটা
বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এভাবেই কেটে যায় প্রতিটা দিন।
সামনে এস,এস,সি। একবার করে বই গুলো
রিভাইস করছিলাম।
.
:-কি করো?(নীলা)
:-দেখতেই পারছো।
:-হুম।
:-কিছু বলবা?
:-না।
:-তবে?
:-কিছুনা।
:-তোমাকে একটা কথা বলার ছিল।
:-কি কথা?
:-না মানে..
:-কি বলো?
:-আমিই আমিইইইইইই আমম্মমাইইই।
:-কি হল তোমার?
:-না আমি সব বই শেষ করতে পারিনি একটু
সাহায্য করবে?
:-তাই এই কথা?
:-হুম।
:-ওকে।
.
এভাবে আজকেও বলা হল না আমার মনের
অজান্তে ফুটে ওঠা সেই ভালবাসার কথা।
এরই মাঝে পরিক্ষা শেষ হয়ে গেল।
.
একদিন বিকেলবেলা.......
.
সামিয়া এখনো আসেনি কেন?
ওই তো এসেছে।
.
:-সাবধানে সামিয়া।
:-কেন?
:-খুব জোড়ে গাড়ী আসছে।
:-কিচ্ছু হবেনা।
.
হঠাত একটা চিতকারে আকাশ বাতাস সব
কিছু থমকে গেলে আমার জীবনের।
.
:-আমি তোমাকে ভালবাসি সামিয়া।
তোমাকে ছাঁড়া আমার সব কিছুই অন্ধকার।
আমি শুধু তোমাকে চাই যেকোনো মূল্যে।
:-কিন্তু তুমি একটু দেরী করে ফেলেছো।
:-এই চোখের দিকে তাঁকিয়ে বল তুমিও
আমাকে ভালবাসো।
:-হ্যা আমিও তোমাকে ভালবাসি। নীলা
আমাকে বলেছে অনেকবার তুমি আমাকে
ভালবাসো কিন্তু আমি সেটা তোমার মুখ
থেকে শুনতে চেয়েছিলাম।কিন্তু যখন বললে
তখন খুব দেরী হয়ে গেছে।আমাকে যেতে
হবে।
:-তোমার কিচ্ছু হবে না সামিয়া।আমি
তোমার কিচ্ছু হত্র দিব না।
:-তা হয় নাকি বাবু?
:-বাবুনি প্লিজ আমকে ছেঁড়ে যেওনা।
:-আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধর তোমার বুকে
ছেরোনা প্লিজ।
:-তোমার কিচ্ছু হবে না।সামিয়া এই সামিয়া।
.
সামিয়া আর কথা বলে না ওর নিথর দেহটা
এখনো আমার বুকে।
আজ ৩ টা বছর কেটে যায় অনেকে বলে
সামিয়া নেই।কিন্তু আমি জানি ও আছে
আমার বুকের ভিতরে আছে।
.
বিঃদ্রঃ- সবাইকে বলছি প্লিজ একটু
সাবধানে রাস্তা পার হবেন।এটা গল্প হতে
পারে কিন্তু এমন টা হয়েই থাকে। তাই
ওভারব্রিজ ব্যবহার করুন প্রয়োজনে
ট্রাফিকের সাহায্য নিবেন। ভাল থাকবেন
সবাই।
0 comments:
Post a Comment