advertisement

adverisement

your javascript ads here

Friday, 5 August 2016

জিয়া ও তামিমের সম্ভাব্য চেহারা প্রকাশ করেছে পুলিশ !!

জিয়া ও তামিমের সম্ভাব্য চেহারা প্রকাশ করেছে পুলিশ !!!

ঢাকা: গুলশান-শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা এবং কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানা মাস্টার মাইন্ড হিসেবে দু’জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এরা হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সম্বন্বয়ক ও চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক এবং জেএমবির নব্যগঠিত শাখার নেতৃত্বে থাকা তামিম চৌধুরী। 
এদের ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরী
বেশ-ভূষা বদলে সম্ভাব্য যেসব চেহারা ধারণ করতে পারেন, তারও কিছু নামুনা চিত্র দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ পুরস্কারের এ ঘোষণা দেন পুলিশ প্রধান এ কে এম শহিদুল হক। এসময় সাংবাদিকদের হাতে ওই দুজনের সম্ভাব্য চেহারার ‘প্রিন্টেড’ ছবিও দেয়া হয়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, ‘তামিম চৌধুরী গুলশান হামলার আগে দেশেই ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, হামলার পরে তিনি বিদেশে চলে যেতে পারেন। যেহেতু জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) অর্থায়ন বিদেশ থেকেই হয়।’
মেজর জিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জিয়া আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের (এবিটি) সমন্বয়কের কাজ করেছে। জিয়াও দেশের বাইরে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।’
পুলিশ জানায়, তামিমের পুরো নাম তামিম আহমেদ চৌধুরী। তার বাবা শফিক আহমেদ চৌধুরী, মা খালেদা শফি চৌধুরী। তাদের বাড়ি সিলেটের বিয়ানিবাজার থানার দোবাক ইউনিয়নের বড়গ্রাম সাদিমাপুরে। তামিমের বর্তমান পাসপোর্ট নম্বর : এএফ-২৮৩৭০৭৬ ও পুরনো পাসপোর্ট নম্বর এল-০৬৩৩৪৭৮।
তামিম চৌধুরীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর : ১৯৮৬০০৯১২৪১০০১৩৪২। তার জন্ম ১৯৮৬ সালের ২৫ জুলাই। সর্বশেষ তিনি দুবাই থেকে ইত্তেহাত এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসেন ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর।
অন্যদিকে মেজর জিয়ার পুরো নাম সৈয়দ মো. জিয়াউল হক। তার বাবা সৈয়দ মো. জিল্লুল হক। তাদের বাড়ি মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুর গ্রামে। জিয়ার সর্বশেষ ব্যবহৃত ঠিকানা ছিল : পলাশ, ১২ তলা, মিরপুর, সেনানিবাস, ঢাকা। তার পাসপোর্ট নম্বর এক্স-০৬১৪৯২৩। জিয়ার বাবার বর্তমান ঠিকানা : বাড়ি নম্বর ৫১২ (৩য় তলা), রোড নম্বর-০৯, বারিধারা, ডিওএইচএস, ঢাকা।
২০১২ সালে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টায় চাকরি হারান মেজর জিয়া। এই ঘটনার পেছনে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরিরের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে ধারণা করা হয়।
পুলিশের ভাষ্যমতে, চাকরি হারানোর পর থেকেই তিনি এবিটির সামরিক কমান্ডারের দায়িত্ব নেন। সামরিক প্রশিক্ষণ দেন দু’শতাধিক সদস্যকে। পরবর্তীতে এই প্রশিক্ষিত সদস্যদের মাধ্যমে লেখক-প্রকাশক, ব্লগার ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের হত্যার টার্গেট সেট করে কিলিং মিশন পরিচালনা করেন, এমন তথ্যও রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।
অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কথিত বাংলাদেশ সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীকে গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন বলে চিহ্নিত করে গোয়েন্দারা। 
২০১৩ সালে কানাডা থেকে ঢাকায় আসেন তামিম। কল্যাণপুরে জঙ্গিদের গোপন ডেরায় বৈঠক ও সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য তাদের উজ্জীবিত এবং আর্থিক সহায়তা দিতেন বলেও এর আগে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

Related Posts:

0 comments:

Post a Comment