সিরিয়াস নয় সিনসিয়ার হোন সফলতা অর্জনে….
সফলতা তো আমরা সবাই পেতে চাই। কিন্তু সফলতা বলতে জীবনের কোন পর্যায়কে
বুঝাবেন আপনি? আপনি কিসে নিজেকে সফল মনে করবেন? বেশীরভাগ মানুষই বিশাল
পরিমান অর্থবিত্ত আর সম্মানের অধিকারী হওয়াকে সফলতা মনে করেন। কিন্তু আসলে
বিষয়টি কি সে রকম কিছু? সফলতা একটা যাত্রা যার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। সফলতা মানুষের
জীবনে বার বার আসে। প্রথম যেদিন হাঁটতে শিখেছিলেন সেদিন আপনি সফল হয়েছিলেন, প্রথম যেদিন সাইকেল চালাতে শিখেছিলেন সেদিন সফল হয়েছিলেন, যেদিন সাঁতার কাটতে পেরেছিলেন সেদিন সফল হয়েছিলেন, যেদিন পড়াশুনা করে প্রথম সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন সেদিন সফল হয়েছিলেন, এভাবে প্রতিটা কাজের যেদিন সুখময় সমাপ্তি টানতে পেরেছেন সেদিনই আপনি সফল হয়েছেন। তাহলে সফলতা সফলতা করে মাথা ঠুকার কি কারন?
এভাবে যদি হিসেব করেন তাহলে আপনার জীবনে হাতে গোনা কয়েকটি বিফলতা ছাড়া দেখবেন সফলতার পরিমানই বেশী। সত্যিকার অর্থে সফলতা হল আপনার জীবনের সেই সুখকর মুহুর্তগুলো যখন আপনি নতুন কিছু করতে পেরেছিলেন। আকাশের সীমানা আর সমুদ্রের বিশালতা যেমন পরিমাপ করা সম্ভব নয় ঠিক তেমনি আপনিও নিজেকে জীবনের কোন একটা পর্যায়ে এসে বলতে পারবেন না আমি সফল। তাই সফলতার যাত্রায় আপনি যতটা অর্জন দিয়ে সাজিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবেন ঠিক ততটাই সফল হবেন আপনি।
প্রতিটা ব্যাপারে ভারসাম্য থাকা খুব জরুরী। যেমনটা পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করছে মধ্যাকর্ষন শক্তি ঠিক তেমনি। কোন কিছু নিয়ে খুব আবেগী না হওয়া আবার কোন কিছু নিয়ে খুব বেশী উত্তেজিত না হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। সার্মথ্যের বাইরে কোন কিছু করতে গেলে তার ফলাফল অনুকূলে না আসাটাই স্বাভাবিক। কাছের মানুষটি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় চাকুরির প্রমোশনের মজা যেমন উপভোগ করতে পারবেন না তেমনি বিছানায় ছারপোকা রেখে শান্তিতে ঘুমাতেও পারবেন না।
জীবনটা চামচে মার্বেল রেখে দৌড় খেলার মতই। আপনি দৌড়ে প্রথম হলেও চামচে থেকে মার্বেল পড়ে গেলে আপনার অর্জন শূন্য। দৌড়ে প্রথম হয়েও লাভ হবে না। জীবনে যা কিছু করছেন তা আপনি, আপনার পরিবার, আপনজনদের জন্যই। সফলতার যাত্রায় স্বাস্থ্য আর সম্পর্কের সমন্বয়টা খুবই জরুরী। আপনার প্রচেষ্টার মুল্য তখনই থাকবে যখন আপনি সব কিছুর সাথে সমন্বয় করতে পারবেন। না হলে সফল হয়ত হবেন কিন্তু থাকবে না জীবনের উচ্ছাস-উত্তেজনা, থাকবে না কোন অনুভূতি। জ্বালানী বিহীন গাড়ির মত হয়ে যাবে জীবন, থাকবে না কোন গতি।
জীবন নিয়ে খুব সিরিয়াস হওয়ার দরকার নেই। প্রিপেইড কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার মত জীবন আমাদের। কারন এ পৃথিবীতে আমরা ক্ষনিকের অতিথি। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমি আড্ডায় সময় কাটানো, দুই একদিন স্কুল কিংবা অফিস ফাঁকি দেওয়া, হটাৎ করে প্রেমে পড়া, প্রিয় মানুষটির সাথে অকারনে অল্পসল্প ঝগড়া, অভিমান, খুনসুটি তো দোষের কিছু নয়। প্রত্যেকেই মানুষ আমরা যন্ত্র তো নয়। সুতরাং সিরিয়াস হওয়ার থেকে সিনসিয়ার হওয়াটা বেশী প্রয়োজন।
শুভকামনা নিরন্তর।
মোঃ মামুদুর রহমান (মাসুদ)
মোটিভেশনাল লেখক এবং সিইও, উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকম।
জীবনে বার বার আসে। প্রথম যেদিন হাঁটতে শিখেছিলেন সেদিন আপনি সফল হয়েছিলেন, প্রথম যেদিন সাইকেল চালাতে শিখেছিলেন সেদিন সফল হয়েছিলেন, যেদিন সাঁতার কাটতে পেরেছিলেন সেদিন সফল হয়েছিলেন, যেদিন পড়াশুনা করে প্রথম সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন সেদিন সফল হয়েছিলেন, এভাবে প্রতিটা কাজের যেদিন সুখময় সমাপ্তি টানতে পেরেছেন সেদিনই আপনি সফল হয়েছেন। তাহলে সফলতা সফলতা করে মাথা ঠুকার কি কারন?
এভাবে যদি হিসেব করেন তাহলে আপনার জীবনে হাতে গোনা কয়েকটি বিফলতা ছাড়া দেখবেন সফলতার পরিমানই বেশী। সত্যিকার অর্থে সফলতা হল আপনার জীবনের সেই সুখকর মুহুর্তগুলো যখন আপনি নতুন কিছু করতে পেরেছিলেন। আকাশের সীমানা আর সমুদ্রের বিশালতা যেমন পরিমাপ করা সম্ভব নয় ঠিক তেমনি আপনিও নিজেকে জীবনের কোন একটা পর্যায়ে এসে বলতে পারবেন না আমি সফল। তাই সফলতার যাত্রায় আপনি যতটা অর্জন দিয়ে সাজিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবেন ঠিক ততটাই সফল হবেন আপনি।
প্রতিটা ব্যাপারে ভারসাম্য থাকা খুব জরুরী। যেমনটা পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করছে মধ্যাকর্ষন শক্তি ঠিক তেমনি। কোন কিছু নিয়ে খুব আবেগী না হওয়া আবার কোন কিছু নিয়ে খুব বেশী উত্তেজিত না হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। সার্মথ্যের বাইরে কোন কিছু করতে গেলে তার ফলাফল অনুকূলে না আসাটাই স্বাভাবিক। কাছের মানুষটি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় চাকুরির প্রমোশনের মজা যেমন উপভোগ করতে পারবেন না তেমনি বিছানায় ছারপোকা রেখে শান্তিতে ঘুমাতেও পারবেন না।
জীবনটা চামচে মার্বেল রেখে দৌড় খেলার মতই। আপনি দৌড়ে প্রথম হলেও চামচে থেকে মার্বেল পড়ে গেলে আপনার অর্জন শূন্য। দৌড়ে প্রথম হয়েও লাভ হবে না। জীবনে যা কিছু করছেন তা আপনি, আপনার পরিবার, আপনজনদের জন্যই। সফলতার যাত্রায় স্বাস্থ্য আর সম্পর্কের সমন্বয়টা খুবই জরুরী। আপনার প্রচেষ্টার মুল্য তখনই থাকবে যখন আপনি সব কিছুর সাথে সমন্বয় করতে পারবেন। না হলে সফল হয়ত হবেন কিন্তু থাকবে না জীবনের উচ্ছাস-উত্তেজনা, থাকবে না কোন অনুভূতি। জ্বালানী বিহীন গাড়ির মত হয়ে যাবে জীবন, থাকবে না কোন গতি।
জীবন নিয়ে খুব সিরিয়াস হওয়ার দরকার নেই। প্রিপেইড কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার মত জীবন আমাদের। কারন এ পৃথিবীতে আমরা ক্ষনিকের অতিথি। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমি আড্ডায় সময় কাটানো, দুই একদিন স্কুল কিংবা অফিস ফাঁকি দেওয়া, হটাৎ করে প্রেমে পড়া, প্রিয় মানুষটির সাথে অকারনে অল্পসল্প ঝগড়া, অভিমান, খুনসুটি তো দোষের কিছু নয়। প্রত্যেকেই মানুষ আমরা যন্ত্র তো নয়। সুতরাং সিরিয়াস হওয়ার থেকে সিনসিয়ার হওয়াটা বেশী প্রয়োজন।
শুভকামনা নিরন্তর।
মোঃ মামুদুর রহমান (মাসুদ)
মোটিভেশনাল লেখক এবং সিইও, উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকম।
0 comments:
Post a Comment