জীবনের সাত শিক্ষা: টনি ব্লেয়ার !!!
টনি ব্লেয়ারের চমৎকার প্রেরণাদায়ক ভাষনের মূল শিক্ষা বদলে দিতে পারে
আপনার জীবনের মোড়। উদ্যোক্তার খোঁজে পেইজ আপনাদের জন্য ভাষনটি প্রকাশ করছে।
আপনার বন্ধুর জন্য লিখাটি শেয়ার করতে ভূল করবেন না।
টনি ব্লেয়ারের জন্ম ৬ মে ১৯৫৩। তিনি লেবার পার্টির হয়ে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
কোলবাই কলেজের ২০১২ সালের সমাবর্তনে তিনি এই বক্তব্য দেন
সভাপ্রধান, সম্মানিত অতিথি, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, কোলবাই কলেজে আসতে পারাটা আমার জন্য চমৎকার আনন্দের ও মর্যাদার ব্যাপার।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আমার জীবন থেকে শেখা সাতটি শিক্ষার কথা তোমাদের বলতে যাচ্ছি। তোমরা ইচ্ছা করলে এই শিক্ষাগুলো গ্রহণ করতে পারো, আবার নাও পারো। এগুলোর মধ্যে প্রথম শিক্ষাটি সরাসরি তোমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কারণ, তোমরা এখনো এই বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা গ্রহণ করছ।
প্রথম শিক্ষা
বাঁচতে হলে শিখতে হবে। কখনো শেখা থামিয়ো না। সফল ব্যক্তিরা কখনো নির্বিঘ্ন খ্যাতি ও সৌভাগ্যের জন্য সফল হন না, বরং তাঁরা সফল হন ভালো কিছু করার অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষা ও অপরিসীম কৌতূহলের জন্য। তাঁরা আত্মোন্নয়নের পথে বিরতিহীন নাবিক। তাই ব্যর্থতার ভয়ে ভীত হয়ো না। ভীত হও চেষ্টাহীন হতে।
দ্বিতীয় শিক্ষা
মুক্তমনা হও। আমি মনে করি, বর্তমান সময়ে মুক্তমনা হওয়াটা ডান ও বাঁয়ের পার্থক্যসূচক বৈশিষ্ট্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আমি পৃথিবীজুড়েই এই পার্থক্যসূচক বৈশিষ্ট্য দেখেছি উদারমনা ও অনুদারমনা ব্যক্তিদের মধ্যে। তাই আমার উপদেশ, বিভিন্ন জাতি, বর্ণ, বিশ্বাস ও সংস্কৃতির ব্যাপারে দিলখোলা হও। কারণ, এই জিনিসগুলোই ইতিহাসের মধ্যে বিভক্তি এনেছে। তবে মুক্তমনা ব্যক্তিরা এসব উতরে যেতে পারে।
তৃতীয় শিক্ষা
ভালো কিছু দিলেই ভালো কিছু পাবে। অন্যের সেবা করার চেয়ে অধিকতর সম্মানজনক আর কিছুই নেই। কারণ, এটিই তোমাকে সবচেয়ে বেশি আত্মতৃপ্তি দেয়। সমব্যথী হতে পারাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ উচ্চাকাঙ্ক্ষা। তাই শুধুই প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়ো না, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনের কারণও খোঁজো। তোমার সামনে বেছে নেওয়ার অনেক কিছুই আছে।
চতুর্থ শিক্ষা
পরিবার, বন্ধুত্ব ও অন্যান্য ব্যাপারে গুরুত্ব দাও। তোমার আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুদের যত্ন নাও, ভালোবাসো। কারণ, পরিবার থেকে তুমি তোমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করেছ।
পঞ্চম শিক্ষা
নেতা হও, অনুসারী হয়ো না। সর্বোপরি একজন কেজো মানুষ হও, সমালোচক হয়ো না। মানুষের অগ্রগতি কখনোই বাচাল, অভিযোগকারী কিংবা হতাশাবাদীদের মাধ্যমে নির্মিত হয় না। অগ্রগতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায় পরিবর্তনকারীদের সাহসের মাধ্যমে। এই সাহস মানে ভয়ের অনুপস্থিতি নয়, বরং ভয়কে জয় করাই সাহস। আমার দেখা প্রায় সব কটি নেতার মধ্যেই একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সন্দেহ, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা ও আত্মবিশ্বাসের চূড়ান্ত অভাব ছিল। কিন্তু তাঁরা সেসব জয় করতে পেরেছেন বলেই নেতা হতে পেরেছেন।
ষষ্ঠ শিক্ষা
আজকের পৃথিবী আগের তুলনায় অনেক বেশি যোগাযোগনির্ভর। এখানে মুগ্ধ করার মতো ও আন্দোলিত করার মতো অনেক কিছুই আছে। সুতরাং, এখনই সময় এই পৃথিবীকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে দেখার। এই পৃথিবী হাত বাড়িয়ে আছে অনেক রোমাঞ্চ আর সম্ভাবনা নিয়ে। তাই আমি বলব, এই পৃথিবীর সুবিধাগুলো লুফে নাও। দেখো এই বিশ্বকে, দেখো এর সম্ভাবনাগুলোকে।
সপ্তম শিক্ষা
এটা নজিরবিহীন সুযোগের এক অভাবনীয় সময়। এটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলারও সময়। তবে এই চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ গ্রহণ করতে গিয়ে কেবল মুনাফার দিকটাই ভেবো না। কারণ, জীবনে শুধু মুনাফাই মুখ্য নয়, আমাদের জীবনযাপন নির্ভর করে কিছু মূল্যবোধের ওপর। এই মূল্যবোধগুলো হচ্ছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও প্রতিটি ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গের সমতা।
অতএব, তোমাদের জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে, আশাবাদী হও। প্রতিটি সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠো একেকটি লক্ষ্য নিয়ে। কারণ, পৃথিবী তোমার কাছে উন্মুক্তই আছে, যদি তুমি তার কাছে নিজেকে মেলে ধরতে পারো।
টনি ব্লেয়ারের জন্ম ৬ মে ১৯৫৩। তিনি লেবার পার্টির হয়ে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
কোলবাই কলেজের ২০১২ সালের সমাবর্তনে তিনি এই বক্তব্য দেন
সভাপ্রধান, সম্মানিত অতিথি, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, কোলবাই কলেজে আসতে পারাটা আমার জন্য চমৎকার আনন্দের ও মর্যাদার ব্যাপার।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আমার জীবন থেকে শেখা সাতটি শিক্ষার কথা তোমাদের বলতে যাচ্ছি। তোমরা ইচ্ছা করলে এই শিক্ষাগুলো গ্রহণ করতে পারো, আবার নাও পারো। এগুলোর মধ্যে প্রথম শিক্ষাটি সরাসরি তোমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কারণ, তোমরা এখনো এই বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা গ্রহণ করছ।
প্রথম শিক্ষা
বাঁচতে হলে শিখতে হবে। কখনো শেখা থামিয়ো না। সফল ব্যক্তিরা কখনো নির্বিঘ্ন খ্যাতি ও সৌভাগ্যের জন্য সফল হন না, বরং তাঁরা সফল হন ভালো কিছু করার অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষা ও অপরিসীম কৌতূহলের জন্য। তাঁরা আত্মোন্নয়নের পথে বিরতিহীন নাবিক। তাই ব্যর্থতার ভয়ে ভীত হয়ো না। ভীত হও চেষ্টাহীন হতে।
দ্বিতীয় শিক্ষা
মুক্তমনা হও। আমি মনে করি, বর্তমান সময়ে মুক্তমনা হওয়াটা ডান ও বাঁয়ের পার্থক্যসূচক বৈশিষ্ট্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আমি পৃথিবীজুড়েই এই পার্থক্যসূচক বৈশিষ্ট্য দেখেছি উদারমনা ও অনুদারমনা ব্যক্তিদের মধ্যে। তাই আমার উপদেশ, বিভিন্ন জাতি, বর্ণ, বিশ্বাস ও সংস্কৃতির ব্যাপারে দিলখোলা হও। কারণ, এই জিনিসগুলোই ইতিহাসের মধ্যে বিভক্তি এনেছে। তবে মুক্তমনা ব্যক্তিরা এসব উতরে যেতে পারে।
তৃতীয় শিক্ষা
ভালো কিছু দিলেই ভালো কিছু পাবে। অন্যের সেবা করার চেয়ে অধিকতর সম্মানজনক আর কিছুই নেই। কারণ, এটিই তোমাকে সবচেয়ে বেশি আত্মতৃপ্তি দেয়। সমব্যথী হতে পারাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ উচ্চাকাঙ্ক্ষা। তাই শুধুই প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়ো না, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনের কারণও খোঁজো। তোমার সামনে বেছে নেওয়ার অনেক কিছুই আছে।
চতুর্থ শিক্ষা
পরিবার, বন্ধুত্ব ও অন্যান্য ব্যাপারে গুরুত্ব দাও। তোমার আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুদের যত্ন নাও, ভালোবাসো। কারণ, পরিবার থেকে তুমি তোমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করেছ।
পঞ্চম শিক্ষা
নেতা হও, অনুসারী হয়ো না। সর্বোপরি একজন কেজো মানুষ হও, সমালোচক হয়ো না। মানুষের অগ্রগতি কখনোই বাচাল, অভিযোগকারী কিংবা হতাশাবাদীদের মাধ্যমে নির্মিত হয় না। অগ্রগতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায় পরিবর্তনকারীদের সাহসের মাধ্যমে। এই সাহস মানে ভয়ের অনুপস্থিতি নয়, বরং ভয়কে জয় করাই সাহস। আমার দেখা প্রায় সব কটি নেতার মধ্যেই একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সন্দেহ, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা ও আত্মবিশ্বাসের চূড়ান্ত অভাব ছিল। কিন্তু তাঁরা সেসব জয় করতে পেরেছেন বলেই নেতা হতে পেরেছেন।
ষষ্ঠ শিক্ষা
আজকের পৃথিবী আগের তুলনায় অনেক বেশি যোগাযোগনির্ভর। এখানে মুগ্ধ করার মতো ও আন্দোলিত করার মতো অনেক কিছুই আছে। সুতরাং, এখনই সময় এই পৃথিবীকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে দেখার। এই পৃথিবী হাত বাড়িয়ে আছে অনেক রোমাঞ্চ আর সম্ভাবনা নিয়ে। তাই আমি বলব, এই পৃথিবীর সুবিধাগুলো লুফে নাও। দেখো এই বিশ্বকে, দেখো এর সম্ভাবনাগুলোকে।
সপ্তম শিক্ষা
এটা নজিরবিহীন সুযোগের এক অভাবনীয় সময়। এটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলারও সময়। তবে এই চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ গ্রহণ করতে গিয়ে কেবল মুনাফার দিকটাই ভেবো না। কারণ, জীবনে শুধু মুনাফাই মুখ্য নয়, আমাদের জীবনযাপন নির্ভর করে কিছু মূল্যবোধের ওপর। এই মূল্যবোধগুলো হচ্ছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও প্রতিটি ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গের সমতা।
অতএব, তোমাদের জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে, আশাবাদী হও। প্রতিটি সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠো একেকটি লক্ষ্য নিয়ে। কারণ, পৃথিবী তোমার কাছে উন্মুক্তই আছে, যদি তুমি তার কাছে নিজেকে মেলে ধরতে পারো।
0 comments:
Post a Comment