advertisement

adverisement

your javascript ads here

Saturday, 30 July 2016

কারাগার হবে পুরান ঢাকাবাসীর বিনোদন কেন্দ্র !!!

কারাগার হবে পুরান ঢাকাবাসীর বিনোদন কেন্দ্র !!!

2016_07_29_23_05_25_ABAzI5P4ta8HsaYhRqCbjlaU90sWFI_original2016_07_29_23_05_25_ABAzI5P4ta8HsaYhRqCbjlaU90sWFI_original
নিউজ ডেস্ক :: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে গড়ে তোলা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে চার স্তরের বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। চার স্তরের মধ্যে রয়েছে- পার্ক, জাদুঘর, কনভেনশন সেন্টার, উন্মুক্ত নাট্যমঞ্চ।
শুক্রবার কারা সদর দপ্তরের সংবাদ সম্মেলন শেষে কারা মহা পরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখান
উদ্দিন এ পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক কিছুই হবে। ভেতরে দুটি মিউজিয়াম এবং নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। সেই ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষণ করার পাশাপাশি একটি নতুন নকশায় বিনোদনের স্থান তৈরি করা হবে।’ এর বাইরে কনভেনশন সেন্টার, কিছু ডিপার্টমেন্টাল স্টোর এবং কিছু উন্মুক্ত নাট্যমঞ্চ করা হবে বলেও জানান কারা-মহাপরিদর্শক।
তিনি বলেন, ‘এসব বাস্তবায়নে ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট এবং ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সহযোগিতায় আমরা একটি ওপেন কম্পিটিশনে যাচ্ছি; ডিজাইন কম্পিটিশন। ওপেন কম্পিটিশনে যে ডিজাইনটা প্রথমস্থান অধিকার করবে তাদেরকে এই কাজের কনসালটেন্সি করার দায়িত্ব দেয়া হবে।’
তবে বন্দি চলে গেলেও কারাগারটি কারা অধিদপ্তরের অধীনে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারণ নিরাপত্তার সাথে সাথে আরো অনেক বিষয় জড়িত।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র নির্বাচনের প্রচারণায় সাঈদ খোকনও পুরান ঢাকাবাসীর জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের স্থানে পার্ক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলেও জানান কারা মহাপরিদর্শক।
কারা সূত্রে জানা যায়, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ১৭৮৮ সালে ৩৮ একর জমির ওপর গড়ে তোলা দুর্গের ভেতরে একটি ক্রিমিনাল ওয়ার্ড নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তথা কারা বিভাগের যাত্রা শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে বেশ কয়েকটি বড় আবাসিক ভবন গড়ে ওঠায় এর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা উভয়ই বিঘ্নিত হচ্ছে বলে উপলব্ধি করে সরকার। এরপর ১৯৯৪ সালে কারাগারটি সরিয়ে নিয়ে দুটি কারাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে একটি গাজীপুরের কাশিমপুরে ও অন্যটি কেরানীগঞ্জে।
অবশেষে ২০০৬ সালে একনেকে কেরানীগঞ্জে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
এরপর থেকেই শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের কাজ। আর বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয় ২০১১ সালের জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু পরে তিন দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ২০১৭ সাল পর্যন্ত। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ১০ এপ্রিল কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে সাড়ে চার হাজার বন্দী ধারণ ক্ষমতার নতুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ১৯৪ একর জায়গার ওপর ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এশিয়ার সর্বাধুনিক ও বৃহত্তম এ কারাগারটি।

0 comments:

Post a Comment