advertisement

adverisement

your javascript ads here

Thursday, 28 July 2016

আইএস – একটি কমেডির নাম । গালে ঠাস করে পড়ল এক জোর চড় !!!!


কল্যানপুরের অভিযানের পর কিছু মানুষের চুলকানি এত বেশী উথলে উঠেছিল যে পুরো ব্যাপারটাই হাস্যকর সব প্রশ্নে বিদ্ধ ছিল। প্রশঙ্গুলোকে বিশাল বিশাল সব ট্রোলও বলা চলে! কেন পুলিশ মরে নাই, পাঞ্জাবী আর কেডস পড়া ছিল কেন? কেন তারা ফাইট করে নাই? আইএস এর পতাকা কোথা থেকে আসল? ইত্যাদি ইত্যাদি। যারা এসব প্রশ্ন করে নিজেদের হঠাত
গজিয়ে উঠা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন তাদের গালে ঠাস করে একটা চড় মেরেছে বাংলাদেশ পুলিশ। আজকে রিলিজ করল অভিযানের আগে জঙ্গিদের ফটোসেশন। হালেস সেনসেশন মডেলিংএ দেখি জঙ্গীরাও কম যায় না। তাদের ল্যাপ্টপ বা মোবাইল ফোন থেকে বের করে এসব ছবি অভিযানের আগেরই – অর্থাৎ তাদের মরার আগের। এখন যারা প্রশ্ন করেছিলেন অভিযান নিয়ে, তারা কোথায়? তাদের মুখে কথা নাই কেন? নাকি আছে?
বাংলাট্রিবিউনে দেয়া ছবিগুলো এখানে পোস্ট করলাম। আর আমাদের পক্ষ থেকে বাংলাট্রিবিউনকে একটা সরি বলে রাখলাম আগে থেকে তাদের ছবি পাবলিশ করা ছবি আমাদের সাইটে পোস্ট করার জন্য যা আমরা সচরাচর করি না। আশা করি উনারা ব্যাপারটা পজিটিভভাবে নিবেন।



হাস্যকর হলেও সত্য আমাদের বিভক্তি আমাদেরই সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারন। আর কয়েকজন রাজনীতিবীদের উল্টোপাল্টা কমেন্ট পুর জাতিকে বিব্রত করে ফেলে! এরা নাকি পলিটিশিয়ান! আসলে নিজের শ্বার্থ ছাড়া তারা কিছুই ভাবেনা। যখন তখন যেকোন টপিকে নির্লজ্জের মত কমেন্ট করাটাই তাদের কাজ। সেটা যাই হোক না কেন, উল্টো কমেন্ট করা চাইই চাই। শুধু এসব রাজনীতিবীদদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। এদের পিছে পিছে দেশে নব্য গজিয়ে উঠে বিশেষ সিভিল পাবলিক অনলাইন ফেসবুক গোয়েন্দা বাহিনী তো আছেই। তাদের উদ্ভট সব প্রশ্নে ফ্রিডম অব স্পিচের এই হাস্যকর ব্যবহার দেখে মাঝে মাঝে নিজেরই গলায় ফাস লাগিয়ে সুইসাইড করতে মন চায়। কি আশ্চর্য! আরে ! জঙ্গী হামলা হলেও দোষ আর হামলার আগে জঙ্গী নিধন করলেও দোষ! কি আজীব, কি চায় তারা? আসলে যেকোন ইস্যুতে একটা প্রশ্ন খাড়া করে তাকে ইস্যু বানানো আমাদের একটা স্বভাব আর ঠিক একারনেই এ দেশে নাই কোন ঐক্য নাই কোন উন্নতি। পিছুটান থাকবেন। লেগ-পুলিং টা সারাজীবন থেকে যাবে মনে হয় এদেশে।
বাই দ্যা ওয়ে, এখন আবার কেউ বলবে না তো এসব ছবি কোথা থেকে এসেছে? বা ফটোশপ করা ছবি! ফেসবুক গোয়েন্দারা কই? দেখি না কেন তাদের? বলতেও পারে। আমাদের বাংলাদেশীজম পেজেও অলরেডি ২/১ জন বলে দিয়েছে। আসলে আমরা সত্যকে মেনে নিতে পারি না। নিজেরা মনে হয় একটা ঘোরের মধ্যে থাকি। বুঝলাম জঙ্গীরা না হয় ব্রেইনওয়াশড কিন্তু আমাদের কি সমস্যা? ব্রেইন তো আমাদেরও ওয়াশ করা না হলে আমরা এমন করতে পারি কি ভাবে? ব্রেইন ওয়াশ এর কবল থেকে আগে আমাদের নিজেদেরই বের হয়ে আসতে হবে। ফ্রিডম অব স্পিচ ব্যাপারটা ভাল, কিন্তু আজকাল মনে হয়, হ্যতো এগুলো আমাদের জন্য না। কারন আমরা ইউজের চাইতে এবিউজই বেশী করি। একটা ভাল ব্যাপার কিভাবে ইউটিলাইজ করতে  হয় তা যদি না জানি, তাহলে ব্যাপারটা উল্টো হয়ে যেতে পারে।
যাই হোক আমি নিশ্চিত, এই পোস্টের কমেন্টেও উদ্ভট সব প্রশ্ন আসবে আর উদ্ভট সব লজিক আসবে, কেউ আমাদের গালি দিবে, কেউ দালাল বলবে, কেউ আরো খারাপ কিছু বলবে। তাদের উদ্দেশ্যে, জি ভাই, আমরা বাংলাদেশের জন্য দালালি করলে। ভাল লাগলে থাকেন, নাহলে প্লিজ ভাই পাকিস্তান চলে যান।

0 comments:

Post a Comment