advertisement

adverisement

your javascript ads here

Thursday, 28 July 2016

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া পদ্ধতি !!!!

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া পদ্ধতি

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া পদ্ধতি । উচ্চ রক্তচাপকে এক ধরনের সতর্ক সংকেত বা নীরব ঘাতক বলা যায়।  যখন স্বাভাবিক চাপের হারের চেয়ে বেশি উচ্চ মাত্রায় ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয় তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন (hypertension) হয়েছে বলা হয়। গুরুতর এ স্বাস্থ্য সমস্যাটি ডেকে আনতে পারে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও কিডনি ফেইলরের মতো মারাত্মক ঝুঁকি। রক্তচাপ যদি ১৪০/৯০ বা এর ওপরে থাকে তবে তা উচ্চরক্তচাপ।
উচ্চ রক্তচাপের সাধারণ কারণগুলো হচ্ছে- স্থূলতা, বংশগত, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন, লবণ বেশি খাওয়া, ব্যায়াম না করা, স্ট্রেস, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ও ব্যথানাশক ওষুধ সেবন, কিডনি অসুখ, অ্যাড্রিনালিন সমস্যা ইত্যাদি।
যদি আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে কিছু স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু ও
হার্টের জন্য উপকারি  টোটকা বেছে নিতে পারেন। আজ তাহলে এমন কিছু খাবারের কথাই জেনে নেই আসুন যা আপনাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া পদ্ধতি
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া পদ্ধতি

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া পদ্ধতি

লবণ:
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের জন্য লবণ কম খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাদের দিনে ১৫০০ মিলিগ্রামেরও কম লবণ খাওয়া উচিত।
তরমুজের বিচি:
তরমুজের বিচিতে রয়েছে কিউকার্বোসিট্রিন নামক এক উপাদান যা রক্তের সূক্ষ্ম নালিগুলোকে বিস্তীর্ণ করে। পাশাপাশি এটি কিডনির কার্যপ্রণালী উন্নীত করে। ২০১০ সালের ফ্লোরিডা স্টেট পাইলট স্টাডিতে বলা হয়, ভ্যাসোডাইলেটরি ইফেক্ট রয়েছে বলে তরমুজের বিচি রক্তচাপ কমায়।
•     শুকনো তরমুজের বিচি ও পোস্তদানা সমপরিমাণে গুঁড়া করুন। একসঙ্গে মিশিয়ে এয়ার টাইট বয়ামে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় খালিপেটে এক চা চামচ করে খান।
•    এক কাপ গরম পানিতে দুই চা চামচ তরমুজের বিচির গুঁড়া দিয়ে একঘণ্টা রেখে দিন। ছেঁকে সারাদিনে অল্প অল্প করে কয়েকবারে পান করুন।
লেবু:
লেবু রক্তনালি নমনীয় রাখে ও কাঠিন্য দূর করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর রস প্রতিদিন পান করে রোধ করা যেতে পারে হার্ট ফেইলর। ভিটামিন সি হচ্ছে এমন একটি এন্টি-অক্সিডেন্ট যা ফ্রি রেডিক্যালসের ক্ষতিকর প্রভাব অপসারণ করতে সক্ষম। রোজ সকালে খালিপেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে পান করুন। চিনি বা লবণ ব্যবহার করবেন না।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া পদ্ধতি
রসুন:
রসুন কাঁচা বা রান্না করা দুটোই রক্তচাপ হ্রাস করে। এটি নাইট্রিক অক্সাইড ও হাইড্রোজেন সালফাইড উৎপাদনের মাধ্যমে রক্তনালিকে শিথিল করে।
•    প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খান। রসুনের হাইড্রোজেন সালফাইড রক্তপ্রবাহ ভালো রাখে, গ্যাস কমায় ও হৃৎপিণ্ডের চাপ হ্রাস করে। কাঁচা রসুন খেলে গলা বা মুখ জ্বালা করতে পারে। সেক্ষেত্রে গরম দুধে রসুন কুচি দিয়ে খান।
•    দিনে দু’বার চার চা-চামচ পানিতে পাঁচ/ছয় ফোঁটা রসুনের রস দিয়ে খান।
কলা:
পটাশিয়ামে পরিপূর্ণ কলা সোডিয়ামের প্রভাব কমিয়ে দেয়। কলার সঙ্গে খেতে পারেন অ্যাপ্রিকট, কিশমিশ, কমলার রস, মিষ্টি আলু, ফুটি ইত্যাদি।
নারকেলের পানি:
IFRAME SYNC
যাদের হাইপারটেনশন রয়েছে তাদের প্রচুর পানি পান করা উচিত। দিনে অন্তত ১০ গ্লাস পানি তো অবশ্যই। নারকেলের পানি রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারি। ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারকেলের পানি পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ। এটি সিস্টোলিক ব্ল‍াড প্রেসার কমায়।
পেঁয়াজের রস:
কোয়ার্সটিন নামক এন্টি-অক্সিডেন্ট ফ্লেভোনল রয়েছে তাই পেঁয়াজ রক্তচাপ কমায়। প্রতিদিন একটি মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ খান। এছ‍াড়াও টানা এক সপ্তাহ দিনে দু’বার দুই টেবিল চামচ করে পেঁয়াজের রস ও মধু দিয়ে তৈরি মিশ্রণ খান।
মেথি:
মেথিতে রয়েছে হাই ফাইবার ও পটাশিয়াম।
•     দেড় কাপ পানিতে দুই চা চামচ মেথি দিয়ে ৩/৪ মিনিট সিদ্ধ করুন। ছেঁকে পান করুন।
•     মেথি গুঁড়া করে বোতলে সংরক্ষণ করুন। সকালে ও বিকেলে খালিপেটে এক চা চামচ মেথি পানিতে পেস্ট করে খান। রক্তচাপ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে টানা দুই/তিন মাস এভ‍াবে খেতে হবে।
গাজর:
আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনে দুবার গাজরের জুস খান। নিয়মিত গাজর খেলে আমাদের ত্বকও ভালো থাকে।
বিট:
বিটের জুসও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে টনিকের কাজ করে।
ডার্ক চকলেটঃ
২০০৭ সালের জুলাই মাসে “দ্যা জার্নাল অফ দ্যা আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন” (JAMA) তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরামর্শ দেয়া হয় যে, প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে ডার্ক চকলেট খেলে রক্তচাপ কমে। ডার্ক চকলেটে ফ্লেভোনলস নামক উপাদান থাকে যা কারডিওভাস্কুলার ডিজিজ এর ঝুঁকি কমায়।
টমেটোঃ
লাইকোপেন ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে টমেটোতে যা রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে। পটাসিয়াম এর একটি ভালো উৎস টমেটো। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে উচ্চরক্তচাপ কমতে ও হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায়।
পাস্তুরিত দুধঃ
এটি শরীরের জন্য সত্যিই উপকারি। পাস্তুরিত দুধ ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ভিটামিন ডি প্রদান করে। এই ৩টি উপাদান একত্রে একটি টিমের মত কাজ করে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা ৩-১০% পর্যন্ত কমাতে পারে।
পালংশাক সবুজ শাকঃ
বিশেষ করে পালংশাকে ক্যালোরি কম থাকে, উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে এবং হৃদস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর উপাদান যেমন- পটাসিয়াম, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়ামে পরিপূর্ণ থাকে। রক্তচাপের মাত্রা স্বাস্থ্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রণের মূল উপাদানই এগুলো।
উচ্চ রক্তচাপের উপর আরো অনেক কারণই প্রভাব বিস্তার করে যেমন- শারীরিক কার্যকারিতা, পর্যাপ্ত ঘুম, সান এক্সপোজার, মেডিটেশন এবং অন্যান্য স্ট্রেস ব্যবস্থাপনার কাজগুলো করা ইত্যাদি। তবে আপনি কি খাচ্ছেন তা অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এমন আরো অনেক খাবারই আছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে যেমন- সয়াবিন, মটরশুঁটি, জলপাই তেল, গ্রিনটি, হলুদ, কাঠবাদাম, বিট ও মাছের তেল, কিউই, পিচফল, টকদই, আস্ত শস্যদানা ইত্যাদি।
যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের জানান দিতে রয়েছে আপনাদের পাশে।জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করার জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন bdjobnews22.blogspot.comসাইটে। ধন্যবাদ ।


0 comments:

Post a Comment