বার কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া সরাসরি এলএলবি কোর্সে ভর্তি নয় !!
বিশেষ প্রতিবেদক
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো এখন থেকে নিজেরা সরাসরি এলএলবি কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল (বিবিসি) ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ইউনিভার্সিটির জন্য মেধাতালিকা করে দেবে। সেখান থেকেই শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। বিবিসির ‘ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ ছাড়া কোনো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আইন বিষয়ে অনার্স প্রোগ্রাম চালাতে পারবে না। বিদ্যমান প্রত্যেক ইউনিভার্সিটিকে এ সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো ইউনিভার্সিটি
এলএলবি কোর্স চালু করতে চাইলে আগেই ‘ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ নিতে হবে। এই সার্টিফিকেট ছাড়া ইউজিসি আইন কোর্স চালানোর অনুমতি দিতে পারবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বছর মেয়াদি এলএলবি প্রোগ্রাম ২০২০ সাল পর্যন্ত চালানো যাবে। দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি এবং অন্যান্য ইউনিভার্সিটির আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া রায়ে এসব নির্দেশনা ও আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিশেষ প্রতিবেদক
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো এখন থেকে নিজেরা সরাসরি এলএলবি কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল (বিবিসি) ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ইউনিভার্সিটির জন্য মেধাতালিকা করে দেবে। সেখান থেকেই শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। বিবিসির ‘ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ ছাড়া কোনো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আইন বিষয়ে অনার্স প্রোগ্রাম চালাতে পারবে না। বিদ্যমান প্রত্যেক ইউনিভার্সিটিকে এ সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো ইউনিভার্সিটি
এলএলবি কোর্স চালু করতে চাইলে আগেই ‘ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ নিতে হবে। এই সার্টিফিকেট ছাড়া ইউজিসি আইন কোর্স চালানোর অনুমতি দিতে পারবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বছর মেয়াদি এলএলবি প্রোগ্রাম ২০২০ সাল পর্যন্ত চালানো যাবে। দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি এবং অন্যান্য ইউনিভার্সিটির আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া রায়ে এসব নির্দেশনা ও আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়,
আদালতের রায়ের প্রতিলিপি গ্রহণের তিন দিনের মধ্যে বিবিসি থেকে ‘ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেট’ নেয়ার বিষয়ে নোটিশ করে সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে
হবে ইউজিসিকে (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন)। পাশাপাশি আগামী ১ আগস্টের
মধ্যে এ বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ আদালতকে জানাতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকালে
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান জানান, ‘রায় অনুযায়ী আমরা
ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে সব
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে নোটিশ জারি করেছি। এছাড়া ইউজিসির প্রতি অন্য যে
নির্দেশনা আছে, সেসব পালনের কার্যক্রম চলছে।’
দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি নিয়ে ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মোট ১৩টি রিট পিটিশন হাইকোর্টে দায়ের করা হয়। ওইসব মামলা একটি বেঞ্চে এনে শুনানি করা হয়েছিল। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে বিভিন্ন কর্মদিবসে শুনানি শেষে ১৩ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। সম্প্রতি এ রায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়। এরপর মঙ্গলবার রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাসও বন্ধ ঘোষণা করেছে।
বুধবার সরেজমিন দারুলের ধানমণ্ডি ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, সাইনবোর্ড কালো কালিতে ঢেকে দেয়া হয়েছে। মিরপুর ক্যাম্পাসে গিয়ে সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি।
১২৬ পৃষ্ঠার রায়ের কপিতে মূল আদেশসহ দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), বিভিন্ন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিবিসির জন্য আলাদা নির্দেশনা ও আদেশ প্রদান করা হয়। এতে সরকারের জন্য এবং আইন ডিগ্রি নিয়েও আলাদা নির্দেশনা ও আদেশ দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, এলএলবি প্রোগ্রামের বিষয়ে বার কাউন্সিলের চাহিদা ও নির্দেশনার জন্য আমরা একটি যৌথ সভা করছি। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এটি অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি, আদালতের নির্দেশনা ও আদেশের আলোকে সেখানে ভালো কিছু সিদ্ধান্ত হবে।
দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি সম্পর্কিত : রায়ে এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়, দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি আইনের চোখে ইউনিভার্সিটি নয়। তবে এই আদালত বিশ্ববিদ্যালয়টির সনদের বৈধতা বা অবৈধতা সম্পর্কে কোনো ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছে না। এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পেশা এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন খাতের চাকরিদাতার ওপর নির্ভর করবে। তারা এটা গ্রহণ করতে পারেন অথবা ‘ডিজঅনার’ করতে পারেন।
তবে যদি কোনো শিক্ষার্থী দাবি করেন যে, তিনি দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি থেকে কোনো কোর্স সম্পন্ন করে ভোগান্তি বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তবে তিনি ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী যে ব্যক্তি বা ক্যাম্পাস থেকে সনদ নিয়েছেন, সেখানে এই ক্ষতিপূরণ চাইবেন।
আইন ডিগ্রি সম্পর্কিত আদেশ : রায়ে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে- পাঁচ ধরনের প্রতিষ্ঠানের আইন (সম্মান) ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য হবে। সেগুলো হচ্ছে : বাংলাদেশের যে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি (অনার্স), বার কাউন্সিল থেকে ‘ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ নিয়ে যেসব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এলএলবি (অনার্স) কোর্স পরিচালনা করবে, বার কাউন্সিল স্বীকৃত যে কোনো বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি (অনার্স) কোর্স, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এলএলবি (পাস) কোর্স যা ২০২০ সাল পর্যন্ত বৈধ থাকবে এবং বিদেশী এলএলবি কোর্স বা ব্যারিস্টার হওয়ার জন্য অন্য যে কোনো আইনের কোর্স। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে করা দু’বছর মেয়াদি এলএলবি (পাস) কোর্স আইনের কোনো ডিগ্রি নয়।
সরকারের প্রতি নির্দেশনা : শিক্ষা
দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি নিয়ে ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মোট ১৩টি রিট পিটিশন হাইকোর্টে দায়ের করা হয়। ওইসব মামলা একটি বেঞ্চে এনে শুনানি করা হয়েছিল। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে বিভিন্ন কর্মদিবসে শুনানি শেষে ১৩ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। সম্প্রতি এ রায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়। এরপর মঙ্গলবার রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাসও বন্ধ ঘোষণা করেছে।
বুধবার সরেজমিন দারুলের ধানমণ্ডি ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, সাইনবোর্ড কালো কালিতে ঢেকে দেয়া হয়েছে। মিরপুর ক্যাম্পাসে গিয়ে সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি।
১২৬ পৃষ্ঠার রায়ের কপিতে মূল আদেশসহ দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), বিভিন্ন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিবিসির জন্য আলাদা নির্দেশনা ও আদেশ প্রদান করা হয়। এতে সরকারের জন্য এবং আইন ডিগ্রি নিয়েও আলাদা নির্দেশনা ও আদেশ দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, এলএলবি প্রোগ্রামের বিষয়ে বার কাউন্সিলের চাহিদা ও নির্দেশনার জন্য আমরা একটি যৌথ সভা করছি। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এটি অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি, আদালতের নির্দেশনা ও আদেশের আলোকে সেখানে ভালো কিছু সিদ্ধান্ত হবে।
দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি সম্পর্কিত : রায়ে এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়, দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি আইনের চোখে ইউনিভার্সিটি নয়। তবে এই আদালত বিশ্ববিদ্যালয়টির সনদের বৈধতা বা অবৈধতা সম্পর্কে কোনো ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছে না। এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পেশা এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন খাতের চাকরিদাতার ওপর নির্ভর করবে। তারা এটা গ্রহণ করতে পারেন অথবা ‘ডিজঅনার’ করতে পারেন।
তবে যদি কোনো শিক্ষার্থী দাবি করেন যে, তিনি দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি থেকে কোনো কোর্স সম্পন্ন করে ভোগান্তি বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তবে তিনি ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী যে ব্যক্তি বা ক্যাম্পাস থেকে সনদ নিয়েছেন, সেখানে এই ক্ষতিপূরণ চাইবেন।
আইন ডিগ্রি সম্পর্কিত আদেশ : রায়ে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে- পাঁচ ধরনের প্রতিষ্ঠানের আইন (সম্মান) ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য হবে। সেগুলো হচ্ছে : বাংলাদেশের যে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি (অনার্স), বার কাউন্সিল থেকে ‘ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ নিয়ে যেসব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এলএলবি (অনার্স) কোর্স পরিচালনা করবে, বার কাউন্সিল স্বীকৃত যে কোনো বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি (অনার্স) কোর্স, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এলএলবি (পাস) কোর্স যা ২০২০ সাল পর্যন্ত বৈধ থাকবে এবং বিদেশী এলএলবি কোর্স বা ব্যারিস্টার হওয়ার জন্য অন্য যে কোনো আইনের কোর্স। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে করা দু’বছর মেয়াদি এলএলবি (পাস) কোর্স আইনের কোনো ডিগ্রি নয়।
সরকারের প্রতি নির্দেশনা : শিক্ষা
0 comments:
Post a Comment