দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনুন যদি সাবলম্বী হতে চান..
আমরা কোন একটা আইডিয়া নিয়ে কাজ করার শুরুতে সে বিষয়টি সম্পর্কে জানার-বোঝার চেষ্টা করি। কিন্তু এ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান নেওয়ার আগেই সেখান খেকে ঝড়ে পড়ি ঠিক যেমনটা প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকে আসার সময় ক্লাশ থেকে ঝড়ে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে একটা অজানা ভীতি কাজ করে নতুন কোন কিছুর প্রতি। সেই সাথে আমরা নতুনের সাথে পরিচিত হতেও কিছুটা দ্বিধাবোধ করি। আর এই অজানা কোন এক কারনে যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে অতীতে তা দূর করতে হবে। আর এজন্য আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা মজবুত ভিতের ওপর স্থাপন করতে হবে।
মানুষ চিনতে হবে আপনাকে। ভৌগলিক অবস্থান এবং সেই প্রেক্ষিতে সেখানের মানুষের আচরন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে হবে। আর সেজন্য বলতে পারি বাংলাদেশের পেক্ষাপটে মানুষ চেনার জন্য সর্বোত্তম জায়গা হল ঢাকা। যারা বড় কিছু করতে চান ঢাকায় এসে অন্তত কয়েকটা বছর কাটান। নতুন কিছু শেখার ও জানার চেষ্টা করতে হবে সবসময়। দেশে নয় দেশের গন্ডি পেরিয়ে চিন্তার প্রসার ঘটান। কোথায় কি ঘটছে তার দিকে খেয়াল রাখুন। হয়ত কোন একটি ঘটনা আপনার জন্য নতুন কোন কিছুর সুযোগ তৈরী করে দিতে পারে। সেখান থেকেই শুরু হতে পারে আপনার এগিয়ে যাওয়ার যাত্রা।
ভাললাগার কাজটি করার জন্য মনযোগ দিন। যে কাজটি করতে আপনার ভাললাগে না সেটি দিয়ে কখনও বড় কিছুর আশা করা যায় না। ভাললাগার কাজটি করার জন্য প্রতিকুলতা সবচেয়ে বেশী থাকে। আপনার পরিবার হয়ত চাইছে আপনি ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হোন কিন্তু সেখানেই হয়ত আপনার ইচ্ছা কার্টুনিষ্ট হবেন। এবার সবার বিপক্ষে গিয়ে আপনার ভাল লাগার কাজটি করতে হবে। আর এজন্য আপনাকে হয়ত সর্বোচ্চ তিরস্কারও পেতে হতে পারে। কিন্তু লেগে থাকার মত ধৈর্য্য দেখাতে পারলে হয়ত ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যা পেতেন তার থেকেও বড় কিছু হয়ে বসে থাকবেন। শুধু দেশ নয় বিশ্বের সমস্ত দেশের মানুষ আপনার আকা কার্টুনে চোখ বুলিয়ে আপনার নামটি স্মরন করবে।
কোন কাজই ছোট নয়। যে কোন কাজকে বড় করে দেখার মানুষিকতা তৈরী করুন। কিন্তু অনেক সময়ে দেখা যায় আমাদের পারিবারিক অবস্থানের অজুহাতে কিছু শুরু করতে পারছি না। দুকলম শিখে নিজেকে এতটাই বড় শিক্ষিত মনে করছি যে কাজকে ছোট করে দেখতে পাচ্ছি। ভাবছি এ কাজ আমার জন্য নয়। বেকার থেকে বাবার ঘাড়ে চেপে বসে খেতে পারছি তবুও কিছু একটা করতে পারছি না। লজ্জা তাদের জন্য যারা নিজেকে শিক্ষিত দাবী করে বেকার বসে খাচ্ছেন। এতই যখন লজ্জা তবে কিছু একটা না করে বাবার খেতে লজ্জা করে না। লিখন তাজুলের দিকে তাকান কোটিপতি হয়েও ফেরী করে জিনিসপত্র বিক্রি করছে ঢাকার রাস্তায়। আমাদের শেখার আছে অনেক কিছুই। দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করার সময় এখনই।
মাকসুদা আক্তার তিন্নি / উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকম।
0 comments:
Post a Comment