বিনা মূল্যে জাহাজ নির্মাণশিল্পে প্রশিক্ষণ !!
জাহাজ
নির্মাণশিল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্কিলস ফর
এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইআইপি) আর্থিক সহযোগিতায়।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে রপ্তানিমুখী জাহাজ নির্মাণশিল্প মালিক
সমিতি। মোট তিন বছরে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রথম বছরে দুই হাজার,
দ্বিতীয় বছরে সাড়ে পাঁচ হাজার এবং তৃতীয় বছরে প্রশিক্ষণ পাবেন
আড়াই হাজার জন। এর মধ্যে নতুন আসা বা অদক্ষ ছয় হাজার ৫৪৫ জন এবং এ শিল্পের বিভিন্ন শাখায় কর্মরত আধা দক্ষ তিন হাজার ৪৫৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হবে।
কেন এই প্রশিক্ষণ
রপ্তানিমুখী জাহাজ নির্মাণশিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণ ও রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি দেশ। আমাদের তৈরি জাহাজ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। দিনে দিনে এ খাত সম্প্রসারিত হচ্ছে, বাড়ছে দক্ষ কর্মীর চাহিদা। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এ খাতের দক্ষ জনশক্তি বড় অবদান রাখবে। দেশে যুবকদের বড় একটি অংশ বেকার। যারা এ শিল্পে কাজ করতে চায় তাদের আমরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
প্রশিক্ষণের বিষয়
১০টি বিষয়ে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। বিষয়গুলো হলো ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন, মেশিন টুলস অপারেশন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড নেভিগেশন ইক্যুইপমেন্ট ইনস্টলেশন, পাইপিং, মেশিনারি ইনস্টলেশন, এইচবিএসি ইনস্টলেশন টেকনোলজি, পেইন্টিং, সিএনসি অপারেশন, ক্যাড অ্যান্ড ক্যাম এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল। অদক্ষরা পাবে তিন মাসের প্রশিক্ষণ। আধা দক্ষদের প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ১৫ দিন।
যোগ্যতা ও বাছাই প্রক্রিয়া
এসইআইপির চিফ কো-অর্ডিনেটর ক্যাপ্টেন মো. হাবিবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে তিনটি বিষয় নিয়ে শুরু হবে প্রশিক্ষণ। অষ্টম শ্রেণি পাস হলেই আবেদন করা যাবে ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন বিষয়ে। মেশিন টুলস অপারেশন ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড নেভিগেশন ইক্যুইপমেন্ট ইনস্টলেশনের জন্য যোগ্যতা এসএসসি। পাইপিং, মেশিনারি ইনস্টলেশন, এইচবিএসি ইনস্টলেশন টেকনোলজি, পেইন্টিং, সিএনসি অপারেশন, ক্যাড অ্যান্ড ক্যাম এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল কোর্স শুরু হবে আগামী ছয় মাসের মধ্যে। অদক্ষ প্রার্থীদের বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর, আধাদক্ষদের ২০ থেকে ৪৫ বছর।
প্রতি ব্যাচে নেওয়া হবে ৩০ জন। যোগ্যতা থাকলে মহিলারাও পছন্দমতো কোনো কোর্সে অংশ নিতে পারবেন। প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনের সময় প্রার্থীর এ শিল্পে কাজ করার মানসিকতা, শারীরিক যোগ্যতা, বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি দেখা হবে।
আবেদন যেভাবে
শিগগিরই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবে কর্তৃপক্ষ। কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য কতজন প্রার্থী নেওয়া হবে, তাও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকবে। প্রথম কোর্স শুরু হবে এ মাসেই। আবেদন করতে হবে নির্ধারিত ফরমে। আবেদন ফরম পাওয়া যাবে প্রশিক্ষণ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানে। আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ফটোকপি, দুই কপি ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। ভোকেশনাল বা টেকনিক্যাল শাখায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সংশ্লিষ্ট সনদপত্রও জমা দিতে হবে।
প্রশিক্ষণ পদ্ধতি
অদক্ষ প্রার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় দুই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শিপবিল্ডিং সংশ্লিষ্ট দক্ষ প্রশিক্ষকরা প্রশিক্ষণ দেবেন। নতুনদের বেলায় কোর্সের শুরুতে ১০ থেকে ১৫ দিন তত্ত্বীয় ক্লাস নেওয়া হবে। ব্যবহারিক ক্লাস নেওয়া হবে শিপ নির্মাণ কারখানায়। ব্যবহারিক ক্লাসের সময় বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে হাতে-কলমে কাজ শেখানো হবে। আধাদক্ষদেরও সরাসরি কারখানায় কাজ শেখানো হবে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সপ্তাহে পাঁচ দিন। প্রতিটি ক্লাসের সময়সীমা পাঁচ ঘণ্টা।
মিলবে ভাতা ও সনদ
প্রশিক্ষণের জন্য কোনো কোর্স ফি দিতে হবে না; বরং পাওয়া যাবে ভাতা। তিন মাস-মেয়াদি সব কোর্সে প্রতি মাসে তিন হাজার করে মোট ৯ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। দুই সপ্তাহ-মেয়াদি কোর্সে দেওয়া হবে দুই হাজার ৫০০ টাকা। তিন মাস-মেয়াদি প্রশিক্ষণের জন্য প্রতি মাসের শেষে এবং দুই সপ্তাহ-মেয়াদি কোর্সের শেষে ভাতার টাকা পাওয়া যাবে। প্রার্থীদের নিজ খরচে আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণকারী সংস্থার মূল্যায়নের মাধ্যমে সনদ দেওয়া হবে। ওয়েল্ডিং বিষয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে বেশি যোগ্যদের বাছাই করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডিএনভি-জিএল সনদ পাওয়ার ব্যয়বহুল পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ।
কাজের অনেক সুযোগ
মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, দেশের নানা স্থানে শিপইয়ার্ড কারখানা রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে কাজের সুযোগ রয়েছে এসব কারখানায়। তা ছাড়াও কাজের সুযোগ রয়েছে জেটি, বন্দর, ব্রিজ নির্মাণ বা ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিক, কার্পেন্টিং, পেইন্টিংয়ের কাজ হয়—এমন সব স্থানে। সনদ পাওয়ার পর বিশ্বের যেকোনো দেশে এ শিল্পে কাজের সুযোগ মিলবে। একজন অদক্ষ কর্মী যেখানে মাসিক সাত থেকে আট হাজার টাকায় কাজ শুরু করে, সেখানে প্রশিক্ষণ শেষে দেশের যেকোনো কারখানায় কাজ শুরু করবে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকায়।
পুরোপুরি দক্ষতা অর্জন করতে পারলে দুই বছরের মধ্যে দেশেই পাবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ এবং সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, জাপানসহ বিশ্বের নানা দেশে এ শিল্পের দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা অনেক। দেশভেদে একজন দক্ষ শ্রমিক শুরুতেই বেতন পেতে পারেন ন্যূনতম এক হাজার ডলার।
প্রশিক্ষণের জন্য যোগাযোগ
এসইআইপি ও জাহাজ নির্মাণশিল্প মালিক সমিতির তত্ত্বাবধানে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ফটিকছড়ির মোট ৯টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। পরবর্তী সময় বাড়ানো হবে প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সংখ্যা। যোগাযোগ করা যাবে স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, এইচবিএফসি ভবন, ১/ডি আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, চট্টগ্রাম-৪১০০ ঠিকানায়। প্রশিক্ষণের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন নিচের সব ঠিকানায়—
খান ব্রাদার্স শিপবিল্ডিং : শান টাওয়ার, ৯ম তলা, ২৪/১, চামেলী বাগ, শান্তিনগর, ঢাকা-১২১৭।
মোবাইল : ০১৭১৩ ৩২৯৩৬১
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড : ৪নং কোলাগাঁও ইউনিয়ন, পটিয়া, চট্টগ্রাম। মোবাইল : ০১৭১৭ ৯৫৭০৩৩
ওয়েস্টার্ন মেরিটাইম ইনস্টিটিউট : ১২৮/এ, বিসিক শিল্প এলাকা, ব্লক-বি, সাগরিকা রোড, হালিশহর, চট্টগ্রাম।
মোবাইল : ০১৮১৬ ৬০৯৪৭২
ইউসেপ : কালুরঘাট রিজিওনাল অফিস, ওয়াসা মোড়, মৌলভীবাজার, মোহরা, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।
ফোন : ০৩১-৬৭০৮২৯
দেশ শিপবিল্ডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং : ভাটিয়ারী, চট্টগ্রাম।
ফোন : ০৩১-৭১০৫২৫
ওশান ইলেকট্রিক্যাল : চরপাথরঘাটা, আজিমপাড়া, কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম। মোবাইল : ০১৭১৩ ২৪০৯৪৪, ০১৭১১ ২৭০০২০
ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট : দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম।
ফোন : ০৩১৭২৭৮০৯
এফ এম সি ডকইয়ার্ড : এফএমসি হাউস, হাউস নং-৩, রোড নং-১, হিলভিউ আ/এ, চট্টগ্রাম। ফোন : ০৩১২৫৫৩৬৬১-২
এবিসি বাংলাদেশ-তুরস্ক টেকনিক্যাল স্কুল
দৌলতপুর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।
মোবাইল : ০১৮১১ ৪৪৬৩৩৫, ০১৮২৩ ২০৬৭৬৮
তথ্যসুত্র: ইন্টারনেট
আড়াই হাজার জন। এর মধ্যে নতুন আসা বা অদক্ষ ছয় হাজার ৫৪৫ জন এবং এ শিল্পের বিভিন্ন শাখায় কর্মরত আধা দক্ষ তিন হাজার ৪৫৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হবে।
কেন এই প্রশিক্ষণ
রপ্তানিমুখী জাহাজ নির্মাণশিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণ ও রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি দেশ। আমাদের তৈরি জাহাজ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। দিনে দিনে এ খাত সম্প্রসারিত হচ্ছে, বাড়ছে দক্ষ কর্মীর চাহিদা। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এ খাতের দক্ষ জনশক্তি বড় অবদান রাখবে। দেশে যুবকদের বড় একটি অংশ বেকার। যারা এ শিল্পে কাজ করতে চায় তাদের আমরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
প্রশিক্ষণের বিষয়
১০টি বিষয়ে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। বিষয়গুলো হলো ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন, মেশিন টুলস অপারেশন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড নেভিগেশন ইক্যুইপমেন্ট ইনস্টলেশন, পাইপিং, মেশিনারি ইনস্টলেশন, এইচবিএসি ইনস্টলেশন টেকনোলজি, পেইন্টিং, সিএনসি অপারেশন, ক্যাড অ্যান্ড ক্যাম এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল। অদক্ষরা পাবে তিন মাসের প্রশিক্ষণ। আধা দক্ষদের প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ১৫ দিন।
যোগ্যতা ও বাছাই প্রক্রিয়া
এসইআইপির চিফ কো-অর্ডিনেটর ক্যাপ্টেন মো. হাবিবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে তিনটি বিষয় নিয়ে শুরু হবে প্রশিক্ষণ। অষ্টম শ্রেণি পাস হলেই আবেদন করা যাবে ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন বিষয়ে। মেশিন টুলস অপারেশন ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড নেভিগেশন ইক্যুইপমেন্ট ইনস্টলেশনের জন্য যোগ্যতা এসএসসি। পাইপিং, মেশিনারি ইনস্টলেশন, এইচবিএসি ইনস্টলেশন টেকনোলজি, পেইন্টিং, সিএনসি অপারেশন, ক্যাড অ্যান্ড ক্যাম এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল কোর্স শুরু হবে আগামী ছয় মাসের মধ্যে। অদক্ষ প্রার্থীদের বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর, আধাদক্ষদের ২০ থেকে ৪৫ বছর।
প্রতি ব্যাচে নেওয়া হবে ৩০ জন। যোগ্যতা থাকলে মহিলারাও পছন্দমতো কোনো কোর্সে অংশ নিতে পারবেন। প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনের সময় প্রার্থীর এ শিল্পে কাজ করার মানসিকতা, শারীরিক যোগ্যতা, বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি দেখা হবে।
আবেদন যেভাবে
শিগগিরই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবে কর্তৃপক্ষ। কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য কতজন প্রার্থী নেওয়া হবে, তাও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকবে। প্রথম কোর্স শুরু হবে এ মাসেই। আবেদন করতে হবে নির্ধারিত ফরমে। আবেদন ফরম পাওয়া যাবে প্রশিক্ষণ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানে। আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ফটোকপি, দুই কপি ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। ভোকেশনাল বা টেকনিক্যাল শাখায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সংশ্লিষ্ট সনদপত্রও জমা দিতে হবে।
প্রশিক্ষণ পদ্ধতি
অদক্ষ প্রার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় দুই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শিপবিল্ডিং সংশ্লিষ্ট দক্ষ প্রশিক্ষকরা প্রশিক্ষণ দেবেন। নতুনদের বেলায় কোর্সের শুরুতে ১০ থেকে ১৫ দিন তত্ত্বীয় ক্লাস নেওয়া হবে। ব্যবহারিক ক্লাস নেওয়া হবে শিপ নির্মাণ কারখানায়। ব্যবহারিক ক্লাসের সময় বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে হাতে-কলমে কাজ শেখানো হবে। আধাদক্ষদেরও সরাসরি কারখানায় কাজ শেখানো হবে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সপ্তাহে পাঁচ দিন। প্রতিটি ক্লাসের সময়সীমা পাঁচ ঘণ্টা।
মিলবে ভাতা ও সনদ
প্রশিক্ষণের জন্য কোনো কোর্স ফি দিতে হবে না; বরং পাওয়া যাবে ভাতা। তিন মাস-মেয়াদি সব কোর্সে প্রতি মাসে তিন হাজার করে মোট ৯ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। দুই সপ্তাহ-মেয়াদি কোর্সে দেওয়া হবে দুই হাজার ৫০০ টাকা। তিন মাস-মেয়াদি প্রশিক্ষণের জন্য প্রতি মাসের শেষে এবং দুই সপ্তাহ-মেয়াদি কোর্সের শেষে ভাতার টাকা পাওয়া যাবে। প্রার্থীদের নিজ খরচে আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণকারী সংস্থার মূল্যায়নের মাধ্যমে সনদ দেওয়া হবে। ওয়েল্ডিং বিষয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে বেশি যোগ্যদের বাছাই করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডিএনভি-জিএল সনদ পাওয়ার ব্যয়বহুল পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ।
কাজের অনেক সুযোগ
মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, দেশের নানা স্থানে শিপইয়ার্ড কারখানা রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে কাজের সুযোগ রয়েছে এসব কারখানায়। তা ছাড়াও কাজের সুযোগ রয়েছে জেটি, বন্দর, ব্রিজ নির্মাণ বা ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিক, কার্পেন্টিং, পেইন্টিংয়ের কাজ হয়—এমন সব স্থানে। সনদ পাওয়ার পর বিশ্বের যেকোনো দেশে এ শিল্পে কাজের সুযোগ মিলবে। একজন অদক্ষ কর্মী যেখানে মাসিক সাত থেকে আট হাজার টাকায় কাজ শুরু করে, সেখানে প্রশিক্ষণ শেষে দেশের যেকোনো কারখানায় কাজ শুরু করবে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকায়।
পুরোপুরি দক্ষতা অর্জন করতে পারলে দুই বছরের মধ্যে দেশেই পাবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ এবং সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, জাপানসহ বিশ্বের নানা দেশে এ শিল্পের দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা অনেক। দেশভেদে একজন দক্ষ শ্রমিক শুরুতেই বেতন পেতে পারেন ন্যূনতম এক হাজার ডলার।
প্রশিক্ষণের জন্য যোগাযোগ
এসইআইপি ও জাহাজ নির্মাণশিল্প মালিক সমিতির তত্ত্বাবধানে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ফটিকছড়ির মোট ৯টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। পরবর্তী সময় বাড়ানো হবে প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সংখ্যা। যোগাযোগ করা যাবে স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, এইচবিএফসি ভবন, ১/ডি আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, চট্টগ্রাম-৪১০০ ঠিকানায়। প্রশিক্ষণের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন নিচের সব ঠিকানায়—
খান ব্রাদার্স শিপবিল্ডিং : শান টাওয়ার, ৯ম তলা, ২৪/১, চামেলী বাগ, শান্তিনগর, ঢাকা-১২১৭।
মোবাইল : ০১৭১৩ ৩২৯৩৬১
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড : ৪নং কোলাগাঁও ইউনিয়ন, পটিয়া, চট্টগ্রাম। মোবাইল : ০১৭১৭ ৯৫৭০৩৩
ওয়েস্টার্ন মেরিটাইম ইনস্টিটিউট : ১২৮/এ, বিসিক শিল্প এলাকা, ব্লক-বি, সাগরিকা রোড, হালিশহর, চট্টগ্রাম।
মোবাইল : ০১৮১৬ ৬০৯৪৭২
ইউসেপ : কালুরঘাট রিজিওনাল অফিস, ওয়াসা মোড়, মৌলভীবাজার, মোহরা, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।
ফোন : ০৩১-৬৭০৮২৯
দেশ শিপবিল্ডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং : ভাটিয়ারী, চট্টগ্রাম।
ফোন : ০৩১-৭১০৫২৫
ওশান ইলেকট্রিক্যাল : চরপাথরঘাটা, আজিমপাড়া, কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম। মোবাইল : ০১৭১৩ ২৪০৯৪৪, ০১৭১১ ২৭০০২০
ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট : দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম।
ফোন : ০৩১৭২৭৮০৯
এফ এম সি ডকইয়ার্ড : এফএমসি হাউস, হাউস নং-৩, রোড নং-১, হিলভিউ আ/এ, চট্টগ্রাম। ফোন : ০৩১২৫৫৩৬৬১-২
এবিসি বাংলাদেশ-তুরস্ক টেকনিক্যাল স্কুল
দৌলতপুর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।
মোবাইল : ০১৮১১ ৪৪৬৩৩৫, ০১৮২৩ ২০৬৭৬৮
তথ্যসুত্র: ইন্টারনেট
0 comments:
Post a Comment