দাঁতের ব্যথা ঘটাতে পারে জীবনহানি !
কথায় বলে না, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝতে হয়। সামান্য দাঁতে ব্যথা থেকে যে এত বড় কাণ্ড বেধে যেতে পারে, কে-ই বা জানত। সেটা বোঝেননি বোলেই আজ আইসিইউ-তে পেশায় জিম ট্রেনার মালা এমং!
এমন যে হতে পারে দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি! ২৬ বছর বয়সী এই তরুণী এখন না পারছেন কিছু দাঁতে কাটতে, না কথা বলতে। এমনকী তরল জাতীয় কিছু যে খাবেন, সে উপায়টুকুও নেই। আইসিইউ-এর বেডে শুয়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য পস্তানোছাড়া আর কী-ই বা করতে পারেন!
দাঁতের ব্যথা থেকে একসঙ্গে মাল্টি অরগ্যান কাজ করা বন্ধ করে দেয়। পরপর তিনটে ছোট কার্ডিয়াক অ্যাটাক। যার জেরে দু-মাস মরণাপন্ন অবস্থায় কাটাতে ভেন্টিলেটরে। এখন কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলেও, আইসিইউ-এর বাইরে বেরোতে পারেননি।
মেয়ের এমন অবস্থা দেখে মা-ই জের করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু, সেখানে এমন জটিল রোগের চিকিত্সার মতো যন্ত্রপাতি কিছুই নেই। তাই রেফার করা হয় ফর্টিস হাসপাতালে। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখেন গুরুত্বপূর্ণ অরগ্যানগুলোয় দাঁত থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছে। ডাক্তাররা জানান, মাল্টিপল অরগ্যান ডিসফাংশান সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়েছেন এই তরুণী।
স্বভাবতাই সংক্রমণ থেকে ধুম জ্বর। নেমে যায় ব্লাড প্রেসার। দ্রুত ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যেতে হয় তরুণীকে। বলছিলেন ফর্টিসের ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিভাগের ডাক্তার সুধা মেনন। তার অধীনেই চিকিত্সাধীন রয়েছেন এই জিম ট্রেনার। তারা ধরেই নিয়েছিলেন ডেঙ্গু নয়তো H1N1। কিন্তু, রিপোর্টে তেমন কিছু পাননি। পরে বুঝতে পারেন তরুণীর দাঁত থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে নিউমোনিয়া হয়েছে। তার ফুসফুসে এখনও ব্যাক্টেরিয়া রয়েছে। হার্ট, মাথা ও ঘাড়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত শিরাতেও ক্লট ধরা পড়ে। মুখের সংক্রমণ থেকে ছড়ানো ব্যাক্টেরিয়াই এমন অবস্থার কারণ বলে দাবি করেন সুধা মেনন।
ফলে সাবধান! দাঁতের ব্যথা হলে নিজে ডাক্তারি না-করে ডেন্টিস্টের কাছে যান। অবহেলা করবেন না।
আরএম-৫৪/২০-০৭ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)
0 comments:
Post a Comment