advertisement

adverisement

your javascript ads here

Sunday, 24 July 2016

জেনে নিন জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধের ৮টি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ।

জেনে নিন জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধের ৮টি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ।

জেনে নিন জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধের ৮টি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ।
জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি হিসেবে পিল বা ওষুধের ব্যবহার অনেকদিন ধরেই হয়ে আসছে। পিল ঋতুস্রাবের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং এটি জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে একটি বড় ভূমিকা রাখে।
তবে জানেন কি জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে? বেশির ভাগ নারী জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ ব্যবহার করলে এই
সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হন। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি জানিয়েছে জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা।
১. মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন
জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধের কারণে হরমোনের উঠানামা হয়। এতে মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেনের সমস্যা হয়। কিছু কিছু জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ ইসট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। শরীরে ইসট্রোজেনের অভাব মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের ব্যথার কারণ হতে পারে।
২০১৪ সালের কারেন্ট অপিনিয়ন ইন নিউরোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, ইসট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ একটু কমে গেলে মাইগ্রেনের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
২. বমি বমি ভাব
জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ প্রথম প্রথম শুরু করলে অনেকের মধ্যেই বমি বমি ভাব দেখা দেয়। তবে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছুদিনের মধ্যে কমে যায়। এই সমস্যা কমাতে ঘুমানোর আগে এটি খাওয়া যেতে পারে। ওষুধ খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টাসিড খেয়ে নেওয়া ভালো। প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বমি বমি ভাবের কারণে যদি খেতে অসুবিধা বোধ হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. স্তন বড় হওয়া
জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ অনেক সময় স্তনের আকৃতি বাড়িয়ে দেয়। ওষুধ শুরু করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যা হয়। হঠাৎ করে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এমন হয়।
৪. রক্তপাত
অনেক সময় জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খাওয়ার কারণে ঋতুস্রাবের মাঝামাঝি অল্প রক্তপাত হতে পারে। ওষুধ শুরু করার প্রথম তিন মাসের মধ্যে এমন হতে দেখা যায়।
৫. ওজন বাড়ে
জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খাওয়ার পর কিছুদিনের মধ্যে ওজন বাড়তে শুরু করে। অনেক সময় ওষুধগুলোতে উচ্চ মাত্রায় ইসট্রোজেন থাকে। উচ্চ পরিমাণ ইসট্রোজেনের মাত্রা ক্ষুধার ওপর প্রভাব ফেলে এবং শরীরে পানি বাড়ায়। এতে ওজন বাড়ে।
৬. ছত্রাক সংক্রমণ
জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতির আরেকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো ভেজাইনায় ছত্রাক সংক্রমণ। উচ্চ পরিমাণ ইসট্রোজেনের মাত্রা ছত্রাক সংক্রমণ বাড়ায়।
৭. মেজাজের পরিবর্তন
জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধের কারণে অনেক সময় মেজাজ উঠানামা করে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এমন হতে পারে।
৮. দৃষ্টিতে অসুবিধা
জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধের কারণে অনেক সময় দৃষ্টিতে অসুবিধা হয়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে শরীরে যে পানি আসে, এর কারণে চোখের মনিও ফোলে। এটি মনির আকৃতির ওপর প্রভাব ফেলে। এতে দৃষ্টিতে অসুবিধা হতে পারে।

0 comments:

Post a Comment