নিউজ : বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও সহানুভূতি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
আজ সন্ধ্যায় বারাক ওবামার পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে এই তথ্য জানান বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে জন কেরি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গি নির্মূলে বাংলাদেশকে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা
করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানিয়ে জন কেরিকে বলেন, অনুসন্ধানমূলক তথ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে।
জন কেরিকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা জানান, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার জন্য তাঁর সরকার পুলিশের ‘কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট’ গঠন করছে।
সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য বারাক ওবামাকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনাকে জন কেরির ফোন : সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত চায় যুক্তরাষ্ট্র, সহায়তায় এফবিআই |||||
নিউজ : শুক্রবার ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সংগঠিত ভয়াবহতম সন্ত্রাসী হামলার সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তদন্তে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে এফবিআই’র সহায়তার প্রস্তাব করা হয়েছে।
রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে এ অভিমত ব্যক্ত করেন বলে ইমেইলে জাস্ট নিউজকে জানিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জন কিরবী।মুখপাত্র ফোনালাপের উপর লিখিত এ বিবৃতিতে বলেন, ঢাকার আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সংগঠিত ভয়ানক আক্রমণের প্রেক্ষিতে সেক্রেটারী (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) কেরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আজ (রবিবার) ফোন করে সহায়তার প্রস্তাব করেছেন।
“সন্ত্রাসী যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি তাদের হাতে বিপুল সংখ্যক নিরীহ প্রাণহানির জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেন সেক্রেটারী (পররাষ্ট্রমন্ত্রী)” বলে উল্লেখ করেন কিরবী।
জন কেরি টেলিফোনে আলাপকালে বলেন, সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এফবি আই সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তাৎক্ষণিক সহায়তার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে মুখপাত্র বলেন, তিনি ( জন কেরি) হামলার পরিকল্পনাকারী ও পরিচালনাকারীদের বিচারের সম্মুখীন করতে এবং ভবিষ্যত হামলা প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
0 comments:
Post a Comment