বিপদে বন্ধুত্বের পরিচয় দিলেন ফারাজ
সঙ্গের দুই বন্ধুকে বিপদের মুখে ফেলে রেখে ফারাজ নিজে বাঁচার সুযোগ নেননি।
ফারাজ আইয়াজ হোসেন (২০) আমেরিকার আটলান্টায় ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। গ্রীষ্মের ছুটিতে ঢাকা এসেছিলেন। আগস্টে তার আবার ফিরে যাওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রেই। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তেন ঢাকার মেয়ে অবিন্তা কবির। যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন ভারতীয় তরুণী তারুশি জৈন। পিতার কর্মসূত্রে ঢাকায় ফারাজদের সঙ্গে একই
স্কুলে পড়েছিলেন তিনি। এই তিনজন তাই ছিলেন পরস্পরের বন্ধু। তারুশি একটা শিক্ষানবিশ বৃত্তি পেয়েছেন, বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকায় কাজ করতে হবে। সে জন্যই ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।
তিন বন্ধু নিজেদের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ করার জন্য গিয়েছিলেন গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে। ১ জুলাই সন্ধ্যায়।
জঙ্গি তরুণেরা আক্রমণ করে বসে ওই রেস্তোরাঁ।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জঙ্গিদের নিশানা ছিল বিদেশিরা। বাংলাদেশিদের এক সময় তারা ছেড়ে দিতেও শুরু করে।
জিম্মিদশা থেকে বেরিয়ে এসেছেন, এমন মানুষদের কাছ থেকে শোনা কাহিনি নিউইয়র্ক টাইমস (২ জুলাই) প্রকাশ করেছে।
জঙ্গিরা ফারাজ হোসেনকে মুক্তি দেয়। তারা তাকে চলে যেতে বলে।
তার সঙ্গে থাকা অন্য বাংলাদেশিরা নিজেরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফারাজকে তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য বারবার ডাকতে থাকেন।
ফারাজ বলেন, আমার এই দুই বন্ধুর কী হবে।
জঙ্গিরা জানতে পারে, আবিন্তা কবির এসেছেন আমেরিকা থেকে। তারুশি জৈন ভারতীয়। জঙ্গিরা বলে, ওদের ছাড়া হবে না।
তখন ফারাজ বলেন, দুই বন্ধুকে ফেলে রেখে আমি যাব না।
পরের দিন ফারাজ হোসেনের লাশ পাওয়া যায়।
ফারাজের নানা ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান বলেছেন, নামাজ-কালাম ফারাজের ভালো জানা ছিল। এটাও শোনা যাচ্ছে যে, জঙ্গিরা পবিত্র কোরআন শরিফের আয়াত পাঠ করতে বলেছিল। যারা বলতে পেরেছে, তাদের তারা ছেড়ে দিয়েছিল। ফারাজের তা না পারার কোনো কারণ নেই।
শুধু বন্ধুদের বিপদের মুখে ফেলে রেখে নিজে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করতে চাননি বলে ফারাজ রয়ে গিয়েছিলেন। বন্ধুত্বের জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেন।
রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় নিহত ফারাজ আইয়াজ হোসেন (২০) বেঁচে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দুই বন্ধুকে জঙ্গিরা না ছাড়ায় তিনি এ সুযোগ নেননি।
ফারাজের দুই বন্ধু হলেন অবিন্তা কবির ও তারিশি জৈন। ফারাজের আত্মীয় হিশাম হোসেনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, জঙ্গিরা জিম্মিদের জাতীয়তা বিষয়ে প্রশ্ন করলে ফারাজ নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেন এবং অবিন্তা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তারিশি ভারতের নাগরিক বলে জানান। এ সময় ফারাজকে চলে যেতে বলে জঙ্গিরা। কিন্তু তিনি তাঁর দুই বন্ধুকে ছাড়া যেতে চাননি। ফলে রেস্তোরাঁ থেকে জীবিত ফেরা হয়নি তাঁর। অন্যদের সঙ্গে তাকে হত্যা করে জঙ্গিরা। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া কয়েকজনের কাছ থেকে তথ্যগুলো জানতে পারেন হিশাম হোসেন।
ফারাজ ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী লতিফুর রহমানের দৌহিত্র এবং সিমিন হোসেন ও ওয়াকার হোসেনের সন্তান। ফারাজ তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে শুক্রবার আর্টিজান রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি গ্রীষ্মের ছুটিতে গত ১৮ মে দেশে আসেন। আগামী ২২ আগস্ট তাঁর আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ এপ্রিল ফারাজের জন্ম। তিনি রাজধানীর স্যার জন উইলসন ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র ছিলেন।
আর অবিন্তা কবিরও ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকায় পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন। ঢাকায় অবিন্তা আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। অবিন্তা থাকতেন ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামিতে।
ভারতীয় নাগরিক তারিশি বার্কেলেতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার শিক্ষার্থী ছিলেন। ঢাকায় ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডে ইন্টার্নশিপ শুরু করেছিলেন। ঢাকায় তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়েছেন। তাঁর বাবা এখানে পোশাক ব্যবসা করতেন।
ফারাজ আইয়াজ হোসেন (২০) আমেরিকার আটলান্টায় ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। গ্রীষ্মের ছুটিতে ঢাকা এসেছিলেন। আগস্টে তার আবার ফিরে যাওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রেই। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তেন ঢাকার মেয়ে অবিন্তা কবির। যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন ভারতীয় তরুণী তারুশি জৈন। পিতার কর্মসূত্রে ঢাকায় ফারাজদের সঙ্গে একই
স্কুলে পড়েছিলেন তিনি। এই তিনজন তাই ছিলেন পরস্পরের বন্ধু। তারুশি একটা শিক্ষানবিশ বৃত্তি পেয়েছেন, বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকায় কাজ করতে হবে। সে জন্যই ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।
তিন বন্ধু নিজেদের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ করার জন্য গিয়েছিলেন গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে। ১ জুলাই সন্ধ্যায়।
জঙ্গি তরুণেরা আক্রমণ করে বসে ওই রেস্তোরাঁ।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জঙ্গিদের নিশানা ছিল বিদেশিরা। বাংলাদেশিদের এক সময় তারা ছেড়ে দিতেও শুরু করে।
জিম্মিদশা থেকে বেরিয়ে এসেছেন, এমন মানুষদের কাছ থেকে শোনা কাহিনি নিউইয়র্ক টাইমস (২ জুলাই) প্রকাশ করেছে।
জঙ্গিরা ফারাজ হোসেনকে মুক্তি দেয়। তারা তাকে চলে যেতে বলে।
তার সঙ্গে থাকা অন্য বাংলাদেশিরা নিজেরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফারাজকে তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য বারবার ডাকতে থাকেন।
ফারাজ বলেন, আমার এই দুই বন্ধুর কী হবে।
জঙ্গিরা জানতে পারে, আবিন্তা কবির এসেছেন আমেরিকা থেকে। তারুশি জৈন ভারতীয়। জঙ্গিরা বলে, ওদের ছাড়া হবে না।
তখন ফারাজ বলেন, দুই বন্ধুকে ফেলে রেখে আমি যাব না।
পরের দিন ফারাজ হোসেনের লাশ পাওয়া যায়।
ফারাজের নানা ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান বলেছেন, নামাজ-কালাম ফারাজের ভালো জানা ছিল। এটাও শোনা যাচ্ছে যে, জঙ্গিরা পবিত্র কোরআন শরিফের আয়াত পাঠ করতে বলেছিল। যারা বলতে পেরেছে, তাদের তারা ছেড়ে দিয়েছিল। ফারাজের তা না পারার কোনো কারণ নেই।
শুধু বন্ধুদের বিপদের মুখে ফেলে রেখে নিজে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করতে চাননি বলে ফারাজ রয়ে গিয়েছিলেন। বন্ধুত্বের জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেন।
বন্ধুদের ছাড়া যেতে চাননি, তাই প্রাণ গেল ফারাজের |||
রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় নিহত ফারাজ আইয়াজ হোসেন (২০) বেঁচে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দুই বন্ধুকে জঙ্গিরা না ছাড়ায় তিনি এ সুযোগ নেননি।
ফারাজের দুই বন্ধু হলেন অবিন্তা কবির ও তারিশি জৈন। ফারাজের আত্মীয় হিশাম হোসেনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, জঙ্গিরা জিম্মিদের জাতীয়তা বিষয়ে প্রশ্ন করলে ফারাজ নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেন এবং অবিন্তা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তারিশি ভারতের নাগরিক বলে জানান। এ সময় ফারাজকে চলে যেতে বলে জঙ্গিরা। কিন্তু তিনি তাঁর দুই বন্ধুকে ছাড়া যেতে চাননি। ফলে রেস্তোরাঁ থেকে জীবিত ফেরা হয়নি তাঁর। অন্যদের সঙ্গে তাকে হত্যা করে জঙ্গিরা। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া কয়েকজনের কাছ থেকে তথ্যগুলো জানতে পারেন হিশাম হোসেন।
ফারাজ ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী লতিফুর রহমানের দৌহিত্র এবং সিমিন হোসেন ও ওয়াকার হোসেনের সন্তান। ফারাজ তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে শুক্রবার আর্টিজান রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি গ্রীষ্মের ছুটিতে গত ১৮ মে দেশে আসেন। আগামী ২২ আগস্ট তাঁর আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ এপ্রিল ফারাজের জন্ম। তিনি রাজধানীর স্যার জন উইলসন ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র ছিলেন।
আর অবিন্তা কবিরও ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকায় পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন। ঢাকায় অবিন্তা আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। অবিন্তা থাকতেন ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামিতে।
ভারতীয় নাগরিক তারিশি বার্কেলেতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার শিক্ষার্থী ছিলেন। ঢাকায় ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডে ইন্টার্নশিপ শুরু করেছিলেন। ঢাকায় তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়েছেন। তাঁর বাবা এখানে পোশাক ব্যবসা করতেন।
0 comments:
Post a Comment