১০ হাজার কোটি টাকা অটোরিকশা চালকের অ্যাকাউন্টে!
এমন ঘটনা ঘটেছে মূলত ব্যাংকের সফটওয়্যার ত্রুটির কারণে। রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের কর্তা সেরকমই দাবি করছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স ট্রান্সফার করে নিয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটলেও জানা গেল এতোদিন পরে।
এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংকের পটুয়াখালী শাখার ব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ জানান, পটুয়াখালী প্রধান শাখায় দিন শেষে হিসাব মেলাতে গিয়ে তারা দেখতে পান সিরাজগঞ্জ বাঘাবাড়ি শাখা থেকে অটোরিকশা চালক সোহাগের (০১০০০০১৮৭২০০০৫) অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার ৪২ কোটি টাকা জমা হয়েছে। এই অস্বাভাবিক লেনদেন দেখে সাথে সাথে ব্যাংকের আইসিটি বিভাগকে জানানো হলে তারা ভুল শুধরে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়।
অনলাইন ব্যাংকিং এর ট্রান্সফারে সফটওয়্যার ত্রুটির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জুন জনতা ব্যাংকের পটুয়াখালী প্রধান শাখায় এক হাজার টাকা জমা দিয়ে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন সোহাগ ফকির। একটি বিমা কোম্পানির ৩ হাজার ৫২০ টাকার চেক জমা হয় তার অ্যাকাউন্টে। গত বছরের ১৩ জুলাই চেকের মাধ্যমে সে টাকা তুলে নেন সোহাগ। দীর্ঘ দিন তার অ্যাকাউন্টে কোনো লেনদেন হয়নি। কিন্তু হত ১৪ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করে বিপুল পরিমান টাকা জমা হয়।
এ বিষয়ে সোহাগ ফকিরের সঙ্গে হলে তিনি বলেন, জীবনবিমার লাভের টাকা নিতেই সে সময়ে একটা অ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম। এর পরে চেকের মাধ্যমে টাহা উঠাইছি। তবে ব্যাংক ম্যানেজার কিছুদিন আগে আমার কাছে জানতে চেয়েছে আমার অ্যাকাউন্টে কেউ টাকা পয়সা পাঠাইবে কি না। আমি বলছি না। তবে পরে শুনছি আমার অ্যাকাউন্টে নাকি হাজার হাজার কোটি টাহা আইছে। আবার হেই টাহা লইয়াও গ্যাছে।
এদিকে এ ঘটনার পর জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সোহাগের চেকবই এবং ডিপোজিট বই জমা নিয়েছে। আর সোহাগের ব্যাংক হিসাবটি এখন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে সোহাগ চাইলে তাকে নতুন একটি অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়া হবে বলেও জানান ব্যাংক ম্যানেজার !
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) চুরির ঘটনায় যখন তোলপাড় চলছে সেই সময়ে দেশের ভেতরেই এমন ঘটনা ঘটলো। এতে করে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।
0 comments:
Post a Comment