advertisement

adverisement

your javascript ads here

Friday, 1 July 2016

মেট্রোরেল কর্মযজ্ঞ ঢাকায় নতুন যুগের সূচনা !!!

রোববার ২৬ জুন তারিখটি রাজধানী ঢাকার উন্নয়নের ইতিহাসে জ্বলজ্বল করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মেট্রোরেল ও বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণ কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন করেছেন তা সম্পন্ন হলে আগামী চার বছরে ঢাকার চেহারায় এমন এক পরিবর্তন আসবে, যা আমরা আগে কখনও কল্পনা করিনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই সম্ভব আমাদের বুলেট ট্রেন ও পাতাল রেলের স্বপ্ন দেখানো, যা তিনি বলেছেন আগের দিন শনিবার খিলগাঁওয়ে ফ্লাইওভারের লুপ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস উদ্বোধনকালে। আর রোববারের অনুষ্ঠানে বলেছেন, 'আমাদের
দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।' আমরা জানি, এই স্বপ্ন হচ্ছে বিপুল ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার মহানগরে দুঃসহ যানজট কমিয়ে প্রতিমুহূর্তে হাজার হাজার নাগরিকের দ্রুত, আরামদায়ক ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াতের উপযোগী গণপরিবহন চালু করা। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিজ খরচ ও প্রধানত জাপানের জাইকার অর্থায়নে গৃহীত ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়নের কাজ চলছে। শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম মেয়াদে ১৯৯৮ সালে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি গঠনের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রে পথসন্ধানের সূচনা হয়েছিল। ধারাবাহিকভাবে একাধিক গবেষণা, জরিপ ও স্ট্র্যাটেজিক প্রকল্প গ্রহণের পথে এগিয়ে অবশেষে সার্বিক দ্রুত গণপরিবহন উন্নয়ন প্রকল্পটির অধীনে ২০১৩ সালে সরকারি খাতে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড গঠিত হয়। এরপর তিন বছরের মধ্যে মেট্রোরেলের কাজ শুরুকে আমাদের দেশের নিরিখে সন্তোষজনক বলতে হবে। এখন ঢাকার জনসংখ্যা দেড় কোটির কম নয়। মেগাসিটি হিসেবে প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তা অনেক কম। নগরটির পূর্ব-পশ্চিম রাস্তা নগণ্য সংখ্যক। এই ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় গত সিকি শতাব্দী ধরেই যানজটে নগরজীবন স্থবির বলা যায়। এ বিষয়ে নীতির দেউলিয়াপনা, মালিকস্বার্থের ও দুর্নীতির দাপটের আমরা প্রত্যক্ষদর্শী। সুশৃঙ্খল নগর পরিবহনের পরিবর্তে বহু মালিকের মালিকানাধীন বাস-মিনিবাসের রাস্তায় উৎকট প্রতিযোগিতা আমরা দেখছি, যা কোনো মহানগরে অকল্পনীয়। এই নৈরাজ্যের অবসানের পরিকল্পনা এখনও হয়নি। তবে উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সম্পূর্ণ এলিভেটেড ট্রেনে ৩৮ মিনিটে অতিক্রম, গাজীপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত আলাদা রুটে বিরামহীন বাস চলাচল, ইলেকট্রনিক স্মার্ট কার্ডে টিকিট কাটার অত্যাধুনিক প্রকল্প যানজট কমাতে অনেক সহায়ক হবে। আমাদের সমকালীন অভিজ্ঞতায় আমরা জানি, প্রকল্প বাস্তবায়নকাল দীর্ঘায়িত হয়, হুহু করে ব্যয় বাড়ে এবং বাস্তবায়নকালে মানুষের দুর্ভোগ কম রাখার নির্ধারিত দায়িত্ব ঠিকাদাররা পালন করেন না। চলমান মগবাজার-মৌচাকসহ একাধিক ফ্লাইওভার প্রকল্প তার জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত। মেট্রোরেল বাস্তবায়নে আমরা এসব বিষয়ে দক্ষতা, মান রক্ষা ও স্বচ্ছতা দেখতে চাই।

- সমকাল

0 comments:

Post a Comment