বিশেষ প্রতিবেদকঃ জাপান ইন্টারন্যাশনার
কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে থাকার ব্যাপারে ‘দৃঢ়
প্রতিজ্ঞ’। জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওয়াকা এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।আজ বুধবার বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, গুলশান হত্যাকাণ্ডের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়েছেন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার
প্রধান।জাইকা প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওয়াকা বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখার ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’কিতাওয়াকা জানান, কর্মস্থলে জাইকার
কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়কে সর্বাধিক প্রাধান্য দেওয়া হয় এবং
ভবিষ্যতেও তা হবে। গুলশানের ঘটনায় নিহত জাপানি নাগরিকরা কেবল জাইকার সঙ্গেই
কাজ করতেন তা নয়। তাঁরা বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের কাজে অবদান রাখতে পারতেন।কিতাওয়াকা বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক। আমরা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গীদের হারিয়েছি।’জাইকা প্রধান জানান, বাংলাদেশের
উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে গত অক্টোবর মাসে এক জাপানি নিহত হন। এরপর জাইকায় কর্মরত
ব্যক্তিদের সতর্ক করে দেওয়া হয়।কিতাওয়াকা বলেন, ‘কিছুদিন আগেই জাইকা
তাদের কর্মীদের সতর্ক থাকার জন্য বলেছিল। বিশেষ করে এ সময় এবং রমজানের পর।
এটা খুবই দুঃখজনক এত প্রচেষ্টার পরও এমন ফলাফল পেলাম আমরা।’কিতাওয়াকা বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক, যেসব মানুষ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তাঁরাই এ ঘটনার শিকার হলেন।’ঘটনায় আহত ব্যক্তির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ
করে জাইকা প্রধান বলেন, ‘আহত ব্যক্তি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন সেজন্য
প্রার্থনা করি।’ কর্মীদের পাশে থাকার এবং সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দেন
কিতাওয়াকা।
গত শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ
রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ১৭ জন বিদেশি নাগরিক নিহত হয়। এর মধ্যে সাতজন
ছিলেন জাপানের নাগরিক।
0 comments:
Post a Comment