সম্পাদকীয়ঃ এখনো শোকাচ্ছন্ন বাংলাদেশের
মানুষ রাজধানী ঢাকার নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার পর । ওই হামলায় পাঁচজন বা তারও
বেশি জিহাদি যুবক একটি রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করে। তারা কমপে ২০ জনকে নির্যাতন
করে হত্যা করে। নিহতদের বেশির ভাগই বিদেশী। গত বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল
ফিতরের নামাজ আদায় করার জন্য যখন হাজার হাজার মানুষ একটি ময়দানে সমবেত
হয়েছেন বা হচ্ছেন তখন তার কাছেই বোমা হামলা হয়েছে। এ হামলায় নিহত হন
পুলিশের দু’জন
কর্মকর্তা ও একজন বেসামরিক ব্যক্তি।
ইসলামিক স্টেট যখন বিশ্বব্যাপী তার
বিস্তার ঘটাচ্ছে তখন এসব হামলা সন্ত্রাসী হুমকি বৃদ্ধি মোকাবেলায়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সমতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।
গত শুক্রবারের (পয়লা জুলাই) হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট।
তারপরের মঙ্গলবার তারা আরো হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ভিডিও বার্তায়।
কিন্তু সরকার এখনো এই ধারণাকে পুঁজি করে বসে আছে যে, এ হামলার জন্য দায়ী
স্থানীয় জিহাদি গ্রুপ।
গত তিন বছরে বাংলাদেশে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে কমপে ৪০ জনকে। বেশ কিছু হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট ও আলকায়েদা।
কিছু দিন আগে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরকারকে সতর্ক করেছিল। তারা বলেছিল, ইসলামিক স্টেটের সাথে সম্পর্কযুক্ত সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে তাদের কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সতর্কতা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, এসব হামলা হলো তার সরকারের তি করার জন্য রাজনৈতিক বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। বিরোধীদের বিনাশ করে দেয়ার বিষয়ে সরকারের বেশি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশের প্রচলিত সহনশীলতার রীতি গভীরভাবে মেরুকরণ হয়েছে।
কিছু দিন আগে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরকারকে সতর্ক করেছিল। তারা বলেছিল, ইসলামিক স্টেটের সাথে সম্পর্কযুক্ত সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে তাদের কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সতর্কতা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, এসব হামলা হলো তার সরকারের তি করার জন্য রাজনৈতিক বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। বিরোধীদের বিনাশ করে দেয়ার বিষয়ে সরকারের বেশি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশের প্রচলিত সহনশীলতার রীতি গভীরভাবে মেরুকরণ হয়েছে।
গত মাসে ব্যাপক গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া
হয়। ওই নির্দেশের ফলে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। কোনো
সন্দেহ নেই যে, স্থানীয় বিষাক্ত রাজনীতি দেশের ভেতরে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসী
গ্রুপগুলোকে পরিপুষ্ট করেছে। কিন্তু তাদের সাথে ইসলামিক স্টেট অথবা
আলকায়েদার যদি কোনো যোগসূত্র থাকে তাহলে তা হবে গভীর উদ্বেগের বিষয়। যেমনটা
দেশের অভিজাত শ্রেণী পর্যন্ত উগ্রপন্থা ছড়িয়ে পড়েছে বলে প্রমাণ মিলছে। গত
শুক্রবারের হামলাকারীরা ধনী পরিবারের সন্তান। তার একজন প্রধানমন্ত্রীর দল
আওয়ামী লীগের সাবেক একজন নেতার ছেলে।
কে এই উগ্রপন্থা ছড়িয়ে দিচ্ছে, কে
হামলাকারীদের অস্ত্র দিয়েছে তা জরুরি ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সরকারের খুঁজে বের করা উচিত। যখন হামলা চলে তখনকার প্রস্তুতির ঘাটতি ও
ধীরগতির বিষয়টি অবশ্যই পরীা করে দেখতে হবে। বাংলাদেশকে যদি সহিংস বিশৃঙ্খল
অবস্থা থেকে ফিরে আসতে হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই সহনশীলতা,
রাজনীতিতে বহুত্ববাদ ফিরিয়ে আনতে হবে। পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে ‘জাস্ট
সোসাইটি’।
0 comments:
Post a Comment