দুনিয়াতে খুব অল্প কিছু মানুষ আছে, যারা আসলেই আলাদা, সারা জীবনেও তারা কারও আপন হতে পারে না !!!!!

দুনিয়াতে খুব অল্প কিছু মানুষ আছে, যারা আসলেই আলাদা, সারা জীবনেও তারা কারও আপন হতে পারে না !!!

পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সবসময় ২য় শ্রেণীর হয়ে থাকে, অর্থ্যাৎ সবকিছুতেই তারা মাঝের সারিতে অবস্থান করে। এরা লেখাপড়ায় ক্লাসের ফার্স্ট বয় বা ফার্স্ট গার্ল হতে পারেনা কিন্তু কোন মতে বেঞ্চি পাস করা স্টুডেন্টও নয়। তাদের অবস্থানটা মোটামুটি A কিংবা A- ক্যাটাগরিতে হয়ে থাকে। এরা খেলাধুলায় বা কোন প্রতিযোগিতায়ও কোনদিন ফার্স্ট
প্রাইজ পায় না, এরা সবসময় সব দৌড় মাঝখানে থেকেই শেষ করে।
.
এরা জীবনে চলার পথে তাদের কাছের মানুষের কাছেও ২য় পছন্দের অপশন থাকে, কখনোই এরা কারো এককেন্দ্রিক প্রিয়তা বা আনুগত্য লাভ করতে পারে না। এরা কোন অফিসে চাকুরির জন্য আবেদন করলে চাকুরী পায় না আবার রিফিউজও হয় না, প্রথম অবস্থায় তাদেরকে রেখে দেওয়া হয় ওয়েটিং লিস্টে। স্কুলের স্যারদের কাছে দুই শ্রেণীর ছাত্ররা বেশি পরিচিত থাকে, এক যারা সবথেকে বেশি ট্যালেন্টেড আর দুই যারা লেখাপড়ায় সবচেয়ে বেশি খারাপ আর দুষ্ট প্রকৃতির, স্যার এই দুই শ্রেণীর স্টুডেন্টদের চেহারা একটু বেশি মনে রাখেন। কিন্তু মাঝখানে আরেকটা দল যে আছে যারা স্কুলে নিয়মিত আসে, কারো সাথে মারদাঙ্গা করে না, ক্লাস ওয়ার্কের খাতাটাও টেবিলে জমা দেয় কিন্তু সবার আগে দিতে পারে না, এই দলটার সাথে স্যাররা খুব কমই পরিচিত থাকেন, উনাদের নজরটা সবসময় ক্লাসের ফার্স্ট ডেস্ক আর লাস্ট ডেস্কে যায়।
.
পৃথিবী কাছে এরা এভারেজ পিপল নামে পরিচিত, আর এরাই সবসময় সবজায়গায় ছ্যাকা গুঁতা খেয়ে থাকে। প্রকৃত অর্থে এরাই হচ্ছে লোজার, কারণ যাদের শেষ শ্রেণীর বা লোজার বলা হয়ে থাকে তাদেরকেও পিছন থেকে গণনা করলে প্রথম সারিতে অবস্থান করে, কিন্তু মাঝের সারির মানুষ গুলো উপর থেকে কিংবা নিচ থেকে যেখান থেকে গণনা করা হউক না কেন তারা মাঝের সারিতেই পড়ে...

 দুনিয়াতে খুব অল্প কিছু মানুষ আছে, যারা আসলেই আলাদা, সারা জীবনেও তারা কারও আপন হতে পারে না, তাদের কেউই বুঝে না, তাদের সব থেকেও আসলে শূন্যতা ছাড়া কিছুই থাকে না, তারা একা আসে, একা ঘুরে, একাই থাকে, একাই চলে যায়!
—হুমায়ূন আহমেদ