advertisement

adverisement

your javascript ads here

Sunday, 10 July 2016

৪০ বছরেও ঘুষ খাননি এক পুলিশকর্মী: রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাচ্ছেন ||

৪০ বছরেও ঘুষ খাননি এক পুলিশকর্মী: রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাচ্ছেন ||

 পুলিশের চাকরি করেন অথচ ঘুষ খান না এমন পুলিশ সদস্য সাধারণ দেখা যায় না। তবে ব্যতিক্রম সদস্যও দু’এক জন রয়েছে। ৪০ বছর ধরে পুলিশের চাকরি করছেন তবে কখনও ঘুষ খান নি।এমন এক পুলিশ সদস্য পাওয়া গেছে ইন্দোনেশিয়ায়। এই পুলিশ সদস্যকে সম্মান জানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।বিভিন্ন সময় ঘুষের প্রলোভন এলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন কঠোরভাবে। পরিবারের জন্য অন্য কিছু করে বাড়তি টাকা আয় করেন। সেজন্য তাদের এক কর্মীকে দেশের জাতীয় পুলিশ দিবসে সম্মান জানাতে চলেছে ইন্দোনেশিয়া পুলিশ।ব্যতিক্রম পুলিশের নাম সেলাদি। ৫৭ বছর বয়সি ওই পুলিশকর্মী। তার এক পয়সাও ঘুষ না নেওয়ার পণের কথা মিডিয়ায় ফলাও করে প্রকাশ হওয়ায় তাকে নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। দুনিয়া জোড়া অনেক দেশই সাহসিকতার জন্য পুলিশ কর্মীদের পুরস্কৃত করে থাকে। তবে ইন্দোনেশিয়া পুলিশ কর্তৃপক্ষ সেলাদির মতো সামান্য এক পুলিশকর্মীকে সম্মান জানাতে চলেছে তার সততার স্বীকৃতি স্বরূপ। ৩ সন্তানের বাবা সেলাদি বলেছেন, তিনি কাজ করেন জাভা দ্বীপের মালাং শহরের ড্রাইভিং লাইসেন্স অনুমোদন কেন্দ্রে। সেখানে ঘুষ নিয়ে লাইসেন্স দেওয়াটাই নিয়মে পরিণত হয়েছে। মাসে মাত্র ৪০০ ডলার বেতন সত্ত্বেও তার কখনও উপরি আয়ের বাসনা জন্মায়নি। সেলাদি বলেছেন, অনেকেই ড্রাইভিং টেস্টে পাশ করিয়ে দিতে ঘুষ কিংবা উপহার দিতে চায়। তবে আমি সবসময় তা প্রত্যাখ্যান করেছি। এটা আমার বাবা-মায়ের শিক্ষা।আর্থিক টানাটানির কারণে নিজের বাড়ি করা হয়নি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকেন শ্বশুরবাড়িতেই।

২০০৪ সালে সেলাদি আবর্জনার স্তূপ ঘেঁটে পুনর্ব্যবহারযোগ্য কিছু সামগ্রী খুঁজে বের করে সেসব বিক্রি করা শুরু করেন। এই বিক্রি হতে দৈনিক ৫ ডলার বাড়তি রোজগার হয়। এতেই খুশি সেলাদি।

0 comments:

Post a Comment