৫ জঙ্গির লাশ নিতে আসছে না স্বজনরা ||
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ রিভিউজঃ ঘটনার
চারদিন পার হলেও গুলশান রেস্তোরাঁয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনীর
‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গির লাশ নিতে যোগাযোগ করেননি
তাদের স্বজনরা।
শনিবার ২ জুলাই থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ)মর্গে লাশ পাঁচটি পড়ে আছে।অভিযানে নিহত যে পাঁচ জনের লাশ সিএমএইচ মর্গে রয়েছে তারা হলেন- ব্র্যাক
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, স্কলাসটিকার
সাবেক ছাত্র মীর
সামিহ মোবাশ্বের, মালয়েশিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিবরাস ইসলাম,
বগুড়ার বিগিগ্রাম ডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র খায়রুল ইসলাম
পায়েল, বগুড়ার সরকারি আযিযুল হক কলেজের ছাত্র শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।হলি আর্টিসানের কর্মচারী বলে পরিচিত সাইফুল ইসলাম চৌকিদারের লাশও
সিএমএইচে রয়েছে। তার স্বজনরা দাবি করেছেন তিনি জঙ্গি নন, ওই রেস্টুরেন্টের
শেফ। তার বাড়ি শরিয়তপুরে। সাইফুল ছাড়া নিহত অন্য পাঁচজনের ছবি আইএস-এর
বাংলা ওয়েব সাইট আত তামকিনেও প্রকাশ করা হয়েছে।গুলশান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন জানান, সিএমএইচ-এর
মরচুয়ারিতে রাখা পাঁচ জঙ্গির লাশের কোনও স্বজনই এখনও পর্যন্ত তাদের সঙ্গে
যোগাযোগ করেননি। কেউ যোগাযোগ না করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, জঙ্গি হামলায় নিহত তিন বাংলাদেশির লাশ রোববার তাদের স্বজনদের
কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন ফারাজ হোসেন, ইশরাত আখন্দ ও অবিন্তা
কবীর। তাদের লাশ দাফন করা হয়েছে। এছাড়া ১৭ বিদেশির লাশও একইদিনে শ্রদ্ধা
নিবেদন শেষে তাদের পরিবার ও নিজ নিজ দেশের দূতাবাস কর্মকর্তাদের কাছে
হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে ইতালির ৯ জন, জাপানের ৭ জন ও ভারতের
একজনের লাশ রয়েছে।পাঁচ জঙ্গির লাশের বিষয়ে সেনাবাহিনীর প্রভোস্ট মার্শাল জানান, পাঁচটি
লাশই সিএমএইচ-এ রাখা হয়েছে। লাশগুলো মূলত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আমরা কেবল
রাখার সুযোগ করে দিয়েছি। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করছে। পুলিশের সিদ্ধান্ত
পেলেই তারা লাশ হস্তান্তর করবেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লাশের খোজে আসেননি
বলেও জানান তিনি।
0 comments:
Post a Comment