‘জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুঁড়ি কুঁড়ি, বছরের পার-
তখন হঠাৎ যদি মেঠো পথে পাই আমি তোমারে আবার!’জীবনানন্দ দাশের ‘কুড়ি বছর
পর’ কবিতার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে কুড়ি বছর পর প্রেমিকার দেখা
পাওয়ার মধ্যে যে আকুলতা রয়েছে তা সবারই মন ছুঁয়ে যায়।জীবনানন্দের কবিতার
মতো কুড়ি বছর নয়, ঠিক ৩০ বছর পর এক প্রেমিক যুগল দেখা পেয়েছে পরস্পরের।
আমেরিকার ফ্লোরিডা রাজ্যের সেইন্ট পিটারর্সবাগের জাস্টিন পন্ডার ৩০ বছর পর
তার স্কুল জীবনের বান্ধবী এমি গিবারসনকে জীবন সঙ্গী হিসেবেই খুঁজে
পেয়েছেন।জাস্টিন তার মায়ের সাথে ৩০ বছর আগে ফ্লোরিডার ওরল্যান্ডে থাকতেন।
সেখানেই এমির সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেখানে একই স্কুলে পড়তেন তারা। তবে
সময়ের সাথে সাথে পরস্পরের সাথে আলাদা হয়ে যায় জাস্টিন ও এমি।মা’কে
ওরল্যান্ডে রেখে জাস্টিন সেইন্ট পিটারর্সবাগে বসবাস শুরু করে। সেখানে
জাস্টিনের সাথে পরিচয় হয় অ্যাড্রিনি রবার্টের। পরিচয় থেকে প্রণয়, তারপর
দুজনে বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিধি বাম, ২০১২ সালে দুর্বৃত্তরা
অ্যাড্রিনি রবার্টকে হত্যা করে। অ্যাড্রিনির মৃত্যুতে সে খুব কষ্ট পায়। তার
মন ভেঙ্গে যায়। এ ঘটনায় একেবারে মুষড়ে পড়ে জাস্টিন।তারপর জাস্টিন তার
মায়ের কাছে ওরল্যান্ডে চলে যান। সেখানে জাস্টিনের মা বারবারা তাকে আবার
ভালেবাসার মানুষ খুঁজে পাওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে থাকেন।
জাস্টিন বলেন, ‘আমার মা আমার জন্য প্রতিদিন প্রার্থনা করতেন, যাতে আমি
নতুন করে জীবন সঙ্গী খুঁজে পাই।’এর পর ২০১৪ সালে জাস্টিন নতুন করে তার
ভালবাসার মানুষ খোঁজার জন্য ম্যাচ ডটকমে একটি আইডি খোলেন। সেখানে তিনি তার
জীবন সঙ্গীকে খুঁজতে থাকেন। এভাবে খুঁজতে খুঁজতে একদিন জাস্টিন সেখানে
খুঁজে পান ৩৩ বছরের এমি গিবারসনকে।জাস্টিন বলেন, ‘সে এখনও অনেক সতেজ। তাকে
দেখে মনে হয় সে ২০ বছরের কুমারী। এক সময় আমরা উভয়েই আবিষ্কার করেছি যে,
অনেক বছর আগে আমরা পরস্পরকে চিনতাম। ৩০ বছর আগে এমি আমার খুবই কাছের একজন
মানুষ ছিলো। আমরা একে অপরকে ছাড়া চলতে পারতাম না। দীর্ঘ বিরতির পর আবার
আমরা এক হলাম, যা সত্যিই অবিশাস্য!’এ ঘটনায় এমি বলেন, ‘ম্যাচ ডটকমে পরিচয়
হওয়ার পর প্রথম প্রথম আমি তার সাথে তামাশা করতাম। পরে বুঝতে পারি সে আমার
৩০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বন্ধু। আমরা দুজনই ওরল্যান্ডির সানসাইন
প্রি-স্কুলে একসাথে পড়তাম। তখনকার কিছু ছবি দেখে বুঝতে পারলাম আমরা একে
অপরের কত আপন ছিলাম।’
0 comments:
Post a Comment