প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করতে
পারেনি দেশের নিউজ চ্যানেলগুলো। দেখাতে পারেনি নিজস্ব ভিডিও ফুটেজও। বেশ
কয়েকটি টেলিভিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা
গেছে, বিশেষ কোনও কারণে বৃহস্পতিবার গণভবনে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর
ক্যামেরাম্যান ও প্রতিবেদকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তাই তারা গণভবনের
প্রধান ফটক থেকেই ফিরে এসেছেন। তবে সংবাদভিত্তিক চ্যানেলগুলো ছাড়া অন্য
চ্যানেলগুলো তাদের খবরে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়েছে। এ
বিষয়ে জানতে চাইলে, গণভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের বিশেষ শাখার
এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ৭টি
সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেলের সংবাদকর্মীদের ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়ে তাদের
কাছে নির্দেশনা এসেছে। এ ছাড়া এসব টিভি চ্যানেলের দু’জন নারী সাংবাদিকসহ
কয়েকজন সাংবাদিককে গণভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে ওই পুলিশ সদস্য
জানান।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংবাদভিত্তিক একটি টিভি চ্যানেলের শীর্ষ পর্যায়ের
এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গণভবনের অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিনিধিকে
আজ (বৃহস্পতিবার) প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তার জানা মতে, সংবাদভিত্তিক অন্য
চ্যানেলগুলোর ক্ষেত্রেও একই রকম ব্যবহার করা হয়েছে।বিষয়টি সম্পর্কে
সরাসরি মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মিডিয়া উইংয়ের
দায়িত্বশীল কোনও কর্মকর্তা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের কেউ বলেন, ‘ছুটিতে
আছেন’।একটি সূত্র জানিয়েছে, গুলশান হামলার ঘটনার সময় সরাসরি
সম্প্রচারের ক্ষেত্রে অতি বাড়াবাড়ি ও সরাসরি সম্প্রচার না করার অনুরোধ না
মানায় প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে এসব টিভি চ্যানেলকে প্রবেশ করতে দেওয়া
হয়নি।অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর তথ্য সচিব ইহসানুল করিম হেলাল এ বিষয়টি
অস্বীকার করেন। বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আগে যেভাবে
সবাই সংবাদ সংগ্রহ করতো এখনও সেই সুযোগ অব্যাহত রয়েছে।এর আগে
গুলশানে হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের জিম্মি উদ্ধারের প্রস্তুতিকালে
বেসরকারি টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচার ও বিষয়টি নিয়ে টক-শো অনুষ্ঠানের
কারণে ঘটনার পরদিন গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত
করেন। টেলিভিশনের মালিক ও পরিচালনা কর্তৃপক্ষের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ
করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সমস্ত প্রাইভেট টিভি চ্যানেল আমার হাতেই
দেওয়া। আমিই সবগুলো টিভির অনুমোদন দিয়েছি। আমি দিতে যেমন পারি নিতেও তেমন
পারি। আমার কাজে যারা বাধা দেবে সেটা কখনো সহ্য করা হবে না।’ওইদিন
অনুরোধের পরও কিছু টিভি সরাসরি সম্প্রচার অব্যাহত রেখেছিল এমনটি উল্লেখ করে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা সরাসরি সম্প্রচার না করতে অনুরোধ করলেও
কিছু কিছু টেলিভিশন তো শুনতেই চায়নি। তবে আমি প্রত্যেকটা বিষয় নজরে রেখেছি।
কারা কারা শুনতে চায়নি। সেটা আমার খেয়াল আছে। আমি এটা ভবিষ্যতে দেখবো।
ভবিষ্যতে প্রত্যেককে বলবো সতর্ক হওয়ার জন্য’।
0 comments:
Post a Comment