advertisement

adverisement

your javascript ads here

Thursday, 7 July 2016

রিকশাচালক যখন ৩৪ কোম্পানির ডিরেক্টর !

 রিকশাচালক যখন ৩৪ কোম্পানির ডিরেক্টর !

 চাহিদা খুবই সামান্য। একটা রিকশা কিনে চালাবেন। কিন্তু তার জন্য যে পাহাড় ডিঙোতে হবে ভাবেননি কৃষ্ণা প্রসাদ। রিকশা কিনতে গেলে প্রয়োজন ছিল লোনের। আর লোনের জন্য প্রয়োজন ছিল এমন যোগ্যতার যা তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি।
নিজের নামে লোন নেওয়ার জন্য তাঁকে নাকি কোনও একটি কোম্পানির ডিরেক্টর হতে হবে। তাও আবার একটা দু’টো
নয়, চৌত্রিশটি কোম্পানির। শর্ত শুনেই চোখ কপালে উঠেছিল ভারতের হুগলির শ্রীরামপুরের প্রভাসনগরের বাসিন্দা কৃষ্ণা প্রসাদের। অন্যের রিকশা ভাড়া নিয়ে চালান কৃষ্ণা। তাই একটা সময়ে পরে ভেবেছিলেন নিজেই কিনবেন রিকশা।
আলাপ হয় এলাকার বাসিন্দা পবন মণ্ডলের সঙ্গে। পবনই আশ্বাস দেয় প্যান কার্ড থাকলেই লোনের ব্যবস্থা করে দিতে পারে সে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে একাধিক কাগজে সইও করায় পবন। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছিল না কিছুই। একদিন হঠাৎ-ই কৃষ্ণা প্রসাদের কাছে আসে বেশ কয়েকটি কোম্পানির চিঠি। চিঠিতে লেখা আছে তিনি দেনা করেছেন বেশ কয়েক কোটি টাকা। অবিলম্বে তাঁকে শোধ করতে হবে।২৯ জানুয়ারি সরকারি দফতর থেকে এসে পৌঁছল আরও এক চিঠি। সেই চিঠির মানে প্রতিবেশীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে জানলেন তিনি ৩৪টি কোম্পানির ডিরেক্টর। সরকারি আইন অনুযায়ী তিনি এতগুলো কোম্পানির ডিরেক্টর থাকতে পারেন না। এর পরেই তিনি দ্বারস্থ হন প্রশাসনের।রিকশা কেনার লোন এখনও পাননি কৃষ্ণ প্রসাদ। এখনও অপরের রিকশা চালান। তৎপর হয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে পবন মণ্ডলকে।
 

Related Posts:

0 comments:

Post a Comment