advertisement

adverisement

your javascript ads here

Wednesday, 6 July 2016

বাংলাদেশে আরো হামলার হুমকি ‘আইএসের’ ||

বাংলাদেশে আরো হামলার হুমকি ‘আইএসের’ ||

 
আইএসের দাবি করা ভিডিওতে তিন তরুণ বাংলায় কথা বলেন এবং আরো সন্ত্রাসী হামলার হুমকি দেন। ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি
বাংলাদেশে আবার হামলার হুমকি দিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স দাবি করেছে, ভিডিওবার্তাটি জঙ্গি সংগঠন আইএসের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে তিন তরুণকে বাংলায় কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। তাঁরা গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে
হামলাকারীদের প্রশংসা করেন এবং আরো হামলার হুমকি দেন।ভিডিওবার্তাটির ওপরের দিকে ডানপাশে আইএসের পতাকা দেখানো হচ্ছে। দাবি করা হয়েছে, ভিডিওটি সিরিয়ার রাকা শহরে তৈরি করা। আর ভিডিওর নিচের অংশে আরবি ও বাংলায় সাবটাইটেল দেওয়া হয়েছে।তিন তরুণের প্রথমজন বাংলাদেশের সরকারের উদ্দেশে বাংলায় কথা বলেন। তিনি গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। গণতন্ত্রকে শিরক হিসেবে অভিহিত করেন। পরে ওই তরুণ দেশে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠায় তাঁর দাবির কথা জানান।পরে ওই তরুণ ইংরেজিতে খ্রিস্টান ও ইহুদিদের উদ্দেশ করে কথা বলেন। এ সময় ভিডিওর নিচে বাংলায় কথার অনুবাদ প্রদর্শন করা হয়। শেখ আদনানির কথা উল্লেখ করে দাবি করেন, তাঁরা কখনো জিততে পারবে না। পরে বাংলাদেশে হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি এমন ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকবে বলে হুমকি দেন।ভিডিওতে দ্বিতীয় তরুণও মুখ কাপড় মুড়িয়ে বাংলায় কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের সব সরকারের সমালোচনা করেন। এই তরুণও গুলশানে হলি আর্টিজান হামলার কথা উল্লেখ করেন। আন্তর্জাতিক ক্রুসেডাররা লিবিয়া-ইরাকে হামলা চালিয়ে নারী-শিশু হত্যা করেছে উল্লেখ করে ওই ক্রুসেডারদের যেখানে পাওয়া যাবে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন এই তরুণ।দীর্ঘ দাড়ি থাকা তৃতীয় তরুণ বাংলায় রমজান মাসে হলি আর্টিজানের হত্যাকাণ্ডকে ‘চমৎকার’ উল্লেখ করে বলেন, এ ঘটনায় তিনি ‘অভিভূত’।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। পরে তারা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জিম্মি করে। সন্ত্রাসীদের হাতে দুই বাংলাদেশিসহ ইতালি, জাপানি ও ভারতের ২০ জিম্মি নিহত হন। শনিবার সকালে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের হত্যা করে এবং রেস্তোরাঁয় আটকে থাকা কয়েকজনকে উদ্ধার করে। গুলশান হামলায় সন্ত্রাসী ও পুলিশসহ ২৮ জন নিহত হন।

0 comments:

Post a Comment