advertisement

adverisement

your javascript ads here

Monday, 25 July 2016

ট্রাম্পের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ১০ ঘটনা


ট্রাম্পের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ১০ ঘটনা !!!


মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্য ট্রাম্পকে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবন হাতড়াতে গেলে উল্লেখ করার মতো তেমন কিছুই পাওয়া যাবে না। তবে হ্যাঁ, ধনী বটে ট্রাম্প! কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে তিনি। অনেকে মনে করেন, এই টাকার
জোরেই হয়তো কাঙ্ক্ষিত শিকেটা ছিঁড়ে নেবেন ট্রাম্প। এখানে তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি ঘটনার কথা তুলে ধরা হলো:
১৪ জুন, ১৯৪৬: এদিন নিউইয়র্কের কুইন্সে ডোনাল্ড ট্রাম্প জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তাঁর বাবা জার্মান অভিবাসী ফ্রেড ছিলেন একজন সম্পদশালী আবাসন ব্যবসায়ী। মা মেরি স্কটিশ। দুরন্তপনা ও চঞ্চলতার কারণে ট্রাম্পকে সামরিক বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করা হয়। ১৯৬৮ সালে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ার্টন স্কুল অব বিজনেস থেকে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করে বাবার ব্যবসায় যোগ দেন।
১৯৭৮: নিউইয়র্কের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ট্রাম্পের বাবা তাঁর ভাগ্য গড়ে তোলেন। ট্রাম্প নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করেন ম্যানহাটনে। অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রথম বড় ধরনের সফলতা আসে বাবার রাজনৈতিক যোগাযোগের বদৌলতে। ফ্রেড ট্রাম্পের কোম্পানির নামে প্রায় ১০ লাখ ডলারের ঋণ পান। সেই অর্থে তিনি গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল স্টেশনের কাছে দ্য ডিরেলিক্ট কমোডোর হোটেল কিনে নেন এবং নতুনভাবে তা নির্মাণ করেন, যা এখন গ্র্যান্ড হায়াট হোটেল নামে সুপরিচিত। এর পাঁচ বছর পর পঞ্চম অ্যাভিনিউয়ে গড়ে তোলেন ঐতিহাসিক ট্রাম্প টাওয়ার। ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে আশির দশকে সেটাকে অমিতব্যয়িতার প্রতীক হিসেবে ধরা হতো। ওই সময় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে নামীদামি কয়েকটি আবাসন কোম্পানি কিনে নেন। প্রেসিডেন্ট রিগ্যানের সময় অর্থনৈতিক নীতির ক্ষেত্রে ঢেউ হিসেবে বিচরণ শুরু করেন ট্রাম্প।
২২ অক্টোবর, ১৯৮৭: ওই দিন নিউ হ্যাম্পশায়ারের পোর্টসমাউথের রোটারি ক্লাবে ট্রাম্প বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যে তিনি প্রশ্ন রাখেন, যুক্তরাষ্ট্র কেন জাপান ও সৌদি আরবের মতো সম্পদশালী মিত্রকে সামরিক সুরক্ষা দিচ্ছে? সেই থেকে এ নিয়ে কয়েক দশকের রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর শুরু।
নভেম্বর, ১৯৮৭: ট্রাম্পের স্মৃতিকথা ‘দ্য আর্ট অব দ্য ডিল’ প্রকাশিত হয়। বইটি বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁর সুনামকে আরও পোক্ত করে। টনি সোয়ার্টজের লেখা ওই স্মৃতিকথা তুমুল জনপ্রিয় হয়। বইটি ৪৮ সপ্তাহ নিউইয়র্কের সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের তালিকায় ছিল। ১০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়।

১৯৯১: আটলান্টিক সিটিতে ১০০ কোটি ডলারের ট্রাম্প তাজমহল ক্যাসিনো চালু করার এক বছর পর ট্রাম্পকে ব্যাংক দেউলিয়া ঘোষণা করে। ঋণের বোঝা কাটিয়ে উঠতে ওই সময় ট্রাম্প ক্যাসিনোতে তাঁর অর্ধেক অংশীদারত্ব ছেড়ে দেন। বিক্রি করে দেন তাঁর ব্যক্তিগত প্রমোদতরি ও উড়োজাহাজ।
আটলান্টিক সিটির সম্পদের জন্য ২০০৯ সালের আগে নিউইয়র্কের এই বিলিয়নিয়ারকে আরও তিনবার ব্যাংকের দেউলিয়ত্ব ঘোষণা শুনতে হয়েছে।
৮ জানুয়ারি, ২০০৪: ‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’ নামের এক টেলিভিশন রিয়্যালিটি শোর মাধ্যমে ট্রাম্প নতুন তারকা হিসেবে আবির্ভূত হন। ‘ইউ আর ফায়ারড’ তাঁর এ বুলি ওই সময় দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
১৬ জুন, ২০১৫: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ওই ঘোষণার অল্প সময়ের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তৈরি করে অবৈধ অভিবাসী ঠেকানোর কথা বলে বিতর্কের জন্ম দেন। তিনি বলেন, ‘মেক্সিকানরা যুক্তরাষ্ট্রে ড্রাগ নিয়ে আসছে। অপরাধ নিয়ে আসছে। তারা ধর্ষক। তবে মনে করি, তাদের মধ্যে কিছু ভালো মানুষ আছে।’
১ মার্চ, ২০১৬: প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা দৌড়ে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভিড় ঠেলে সামনে এগোতে থাকেন ট্রাম্প। সুপার টুইসডেতে তিনি সাতটি অঙ্গরাজ্যে জয়ী হন। মনোনয়ন-দৌড় থেকে ছিটকে পড়েন জেব বুশ ও মার্কো রুবিও।

৩ মে, ২০১৬: রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পেতে টেড ক্রুজের সমমানের উত্তরাধিকার বলা হতে থাকে ট্রাম্পকে। নিউইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারে সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘নভেম্বরে আমরা জয়ী হতে যাচ্ছি এবং আমরা বড় ব্যবধানে জয়ী হচ্ছি।’
২১ জুলাই, ২০১৬: প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন।

Related Posts:

0 comments:

Post a Comment