গোটা বিশ্বে ক্যান্সারের আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে মুরগি। ইতিমধ্যে আমেরিকায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। বাজারে যে মুরগি বিক্রি হয় তার মাংসে যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে, তা স্বীকার করেছে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। বিশেষজ্ঞরা জানান, বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান আর্সেনিক রয়েছে মুরগির মাংসে।
এফডিএ জানায়, মুরগির দেহে যথেষ্ট পরিমাণ আর্সেনিক মিশছে খাবার থেকে। সেই মাংস খাচ্ছে মানুষ। আক্রান্ত হচ্ছি
আমরা। গত ষাট বছর ধরে আমেরিকানরা মুরগি খেয়ে আর্সেনিক নিচ্ছেন দেহে। এতে বাড়ছে ক্যান্সার।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে মুরগির মাংসে বিষাক্ত উপাদান নিয়ে গবেষণা হলে একই ফলাফল বেরিয়ে আসবে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। অনেক দিন ধরেই আমেরিকায় মুরগির মাংস নিয়ে অভিযোগ তুলছিলেন সবাই। তারই প্রেক্ষিতে অবশেষে এফডিএ সংশ্লিষ্ট গবেষণা চালায়। আর প্রথমবারের মতো স্বীকার করে নেয় যে, অভিযোগ সত্য। আর আগে মুরগির খামার ও এফডিএ বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল।
ফাইজার অ্যানিমেল হেলথস ভেটেরিনারি মেডিসিনের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের স্কট ব্রাউন জানান, তারা মুরগির বেশ কয়েকটি ভ্যাক্সিন প্রস্তুত করে। এগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করা হয়।
তাই বলে একে মারাত্মক অবস্থা বলে স্বীকার করতে রাজি নয় এফডিএ। তারা জানায়, মুরগিতে পাওয়া আর্সেনিক নগন্য পরিমাণে থাকে। এতে তেমন ক্ষতি হয় না। কাজেই এসব মুরগি খেতে পারবেন সবাই। এফডিএ-কে সমর্থন জানায় আমেরিকার ন্যাশনাল চিকেন কাউন্সিল। তারা বলছে, এই মুরগি নিরাপদ।
কিন্তু বহু বিশেষজ্ঞ এবং ক্রেতারা এফডিএ’র বক্তব্য মানতে রাজি নন। কেউ কি চাইবে যে, প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ আর্সেনিক তার দেহে প্রবেশ করতে থাকুক? এখন আমেরিকানদের অভিযোগ, আমরা এমন এক ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পেয়েছি যারা বলছে, আর্সেনিক খাওয়া যাবে।
অন্যান্য কিছু খাবার রয়েছে যার মধ্যেও বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে বলে তা খেতে মানা করে দিয়েছে এফডিও। যেমন এল্ডারবেরি জুস। আবার ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে অজুহাতে তারা কাঁচা দুধ পর্যন্ত খেতে সাবধান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অথচ আর্সেনিকের মতো ক্ষতিকর উপাদান খাওয়াকে নিরাপদ বলে মত দিয়েছে। এখন দারুণ সমালোচনার মুখে পড়ে রয়েছে এফডিএ।
অবশেষে আরেকটি বিষয়ে জানান দিলেন বিশেষজ্ঞরা। বললেন, মুরগির কিছু বর্জ্য আবার খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় খামারের গরুর খাবারে। এসব খাবার থেকে আর্সেনিক প্রবেশ করে গরুর দেহে। অর্থাৎ, গরুর মাংসতেও আর্সেনিক থাকা বিচিত্র নয়।
0 comments:
Post a Comment