ধোনির জীবনের প্রেমের অশ্রুমাখা গল্প ||
একে অপরকে ভালোবেসেছিলেন তাঁরা, নিখাদ ভালোবাসা যাকে বলে। বড় স্বপ্ন বুনেছিলেন দুজন হাতে হাত রেখে জীবনের বাকি পথ চলার। সবই চলছিল মসৃণ গতিতেই। কিন্তু একদিন হঠাৎ একটা ঝড়, যে ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেল সব। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রেমিকা চলে গেল অন্যলোকে। প্রেমিকের হৃদয়টা ভেঙে টুকরো টুকরো। কতটা যন্ত্রণার, কতটা কষ্টের মুহূর্ত—মাহেন্দ্র সিং ধোনির চেয়ে ভালো বুঝবেন কে!
ধোনির প্রেমকাহিনি জানতে ফিরে যেতে হবে প্রায় এক যুগ আগে। তখনো ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পরিস্ফূটিত ফুল হয়ে ফোটেননি তিনি। ২২-২৩ বছর বয়সী ঝাড়খন্ডের তরুণ খেলোয়াড়টি লড়ছেন জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে। ২০০৪ সালের আগস্টে নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে টানা দুই সেঞ্চুরির পর নজর কাড়লেন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ও রবি শাস্ত্রীর।ধোনি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার বার্তা দিচ্ছেন, তখনই ঘটে ঘটনাটি। ঘটনা নয়, আদপে দুর্ঘটনাই। এক সড়ক দুর্ঘটনায় পৃথিবী ছেড়ে চলে যান তাঁর প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা ঝা। দেশে ফিরে তিনি জানতে পারেন দুর্ঘটনার খবরটি। মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন, প্রায় এক বছর স্বাভাবিকই হতে পারেননি ভারতীয় এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। কাছের সব মানুষ তো ভেবেই নিয়েছিল ক্রিকেটই বোধ হয় ছেড়ে দেবেন মাহি!
এখানেই ধোনির দৃঢ় চরিত্রের পরিচয় মেলে। মানসিক বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। আবারও ফিরে এসেছেন ক্রিকেটে। তারপর? অ-নে-ক কিছু! ২০০৪ সালের ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। সময় যত গড়িয়েছে, ততই মেখেছেন সাফল্যের গৌরব। ব্যক্তিজীবনেও এসেছে পরিবর্তন। তাঁর জীবনে আসেন সাক্ষী সিং রাওয়াত। যদিও দুজন দুজনের পরিচিত ছিলেন স্কুলজীবন থেকেই। ২০১০ সালের ৪ জুলাই তাঁর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
কিন্তু চাইলেই কি ভোলা যায়? অবচেতন মনেই আউলা বাতাস হয়ে ভেসে আসে প্রিয়াঙ্কার স্মৃতি। ‘ক্যাপ্টেন কুলে’র এই অশ্রুমাখা প্রেমের গল্প দেখা যাবে নিরাজ পান্ডের ‘এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ সিনেমায়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা আছে ছবিটির।
ভারতীয় অধিনায়কের আত্মজীবনীমূলক ছবিটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন সুশান্ত রাজপুত। ধোনি নাকি শুরুতে ব্যক্তিজীবনের এই দুঃখগাথা প্রকাশে রাজি ছিলেন না। পরে অনেক ভেবে অনুমতি দিয়েছেন নির্মাতাকে। তথ্যসূত্র: মুম্বাই মিরর।
0 comments:
Post a Comment