advertisement

adverisement

your javascript ads here

Saturday, 9 July 2016

প্রশংসিত এক পুলিশ কর্মকর্তার সাহসিকতা !!!

প্রশংসিত এক পুলিশ কর্মকর্তার সাহসিকতা !!!

 ঈদের দিন (বৃহস্পতিবার) শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রবেশ পথে জঙ্গি হামলার সময় হামলাকালিদের সাথে অসীম সাহসিকতায় লড়াই করা এক পুলিশ সদস্যের সাহসিকতা প্রশংসিত হচ্ছে দেশব্যাপী। ফেসবুকে অনেকেই ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাহসিকতা নিয়ে প্রশংসা করছেন।


জানা যায়, এ পুলিশ কর্মকর্তার নাম মুর্শেদ জামান। তিনি কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত।

বৃহস্পতিবার শোলাকিয়ায় জঙ্গিদের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, জঙ্গিরা হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে পুলিশ। একজন পুলিশ কর্মকর্তা পাজামা পাঞ্জাবি পরিহিত অবস্থায় জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার উপর পাল্টা গুলি হলে তিনি আড়াল নেন এবং সেখান থেকে আবার গুলি করেন। পাঞ্জাবি পরিহিত ওই পুলিশ কর্মকর্তাই মুর্শেদ জামান।

জানা যায়, তিনি শোলাকিয়ায় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। এমন সময় ঈদগাহের চেকপোস্টে বাধা পেয়ে জঙ্গিরা হামলা শুরু করলে মুর্শেদ জামান হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছাড়াই বন্দুক যুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান করেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সনের এই ভিডিও ধারণ করেন বলে জানা গেছে।

মুর্শেদ জামানের ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে জানা যায়, তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি পুলিশে যোগদান করেন। ২০১১ সালে তিনি কিশোরগঞ্জে বদলি হন।

ফেসবুকে রুহুল কুদ্দুস রুহেল প্রথম এই ভিডিওটি পোস্ট করেন। এই ভিডিওতে কমেন্ট করেছেন অনেকেই। শিপন করিম নামে একজন তার কমেন্টে লিখেন, “কিছু কিছু মানুষ আজকেও পুলিশের সমালোচনা করে তাদের কাজের ভুল ধরার অপচেষ্টায় লিপ্ত! তারা একবারের জন্য ভাবে না পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এই ঈদের দিনেও তাদের পরিবার পরিজন কে রেখে আমাদের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে অকাতরে জীবন দিয়ে দিচ্ছে!”

গত বৃহস্পতিবার ঈদ-উল-ফিতরের দিন সকালে দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বৃহত্তর ঈদের নামাজের স্থান শোলাকিয়া ঈদগাহের একটি প্রবেশপথে পুলিশ চেকপোস্টে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও বন্দুকযুদ্ধের সময় একটি গুলি পার্শ্ববর্তী একটি বাসায় প্রবেশ করলে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু ঘটে। পুলিশের গুলিতে মারা যায় এক জঙ্গি। এ ঘটনায় দায় কোন জঙ্গি সংগঠন এখনো স্বীকার করেনি।

0 comments:

Post a Comment