advertisement

adverisement

your javascript ads here

Tuesday, 19 July 2016

আজ হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী !!

আজ হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী !!


বিনোদন ডেস্ক: নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৯ জুলাই। এ উপলক্ষে তাঁর স্ত্রী অভিনয়শিল্পী মেহের আফরোজ শাওন পারিবারিকভাবে কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে এলাকার দুস্থ-এতিম বাচ্চাদের তিনি খাওয়াবেন। আশপাশের মাদ্রাসা ও এতিমখানার অনেকেই নুহাশপল্লীতে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া সকাল থেকে হুমায়ূন আহমেদের জন্য কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া-দরুদ পড়া হবে। দুই ছেলে নিষাদ
ও নিনিতকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করবেন মেহের আফরোজ শাওন।
মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ যেভাবে তাঁর বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতেন ঠিক সেভাবে আমি তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী সব সময় পালন করতে চাই। এর বেশি কিছ নয়।’
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালে ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার ও গীতিকার। আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের পথিকৃৎ বলা হয় তাঁকে। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত।
সত্তর দশকের শেষভাগ থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। তাঁর সৃষ্ট হিমু এবং মিসির আলী ও শুভ্র চরিত্রগুলো বাংলাদেশের তরুণদের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে ওঠে।
হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোও দর্শকপ্রিয়তা পায়। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলো ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশি না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। লেখালেখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দেন।
২০১১ সালে তাঁর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। দেশ ও দেশের বাইরে অনেক চিকিৎসার পরেও সুস্থ হয়ে ওঠেননি তিনি। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মারা যান কিংবদন্তি এই লেখক। নুহাশপল্লীর লিচুতলায় চিরনিদ্রায় তাঁকে সমাহিত করা হয়।

0 comments:

Post a Comment