যে মানুষটা পাগলের মত আপনাকে ভালোবাসে,অন্ধের মত বিশ্বাস করে সেই মানুষটির সাথে প্রতারণা করতে !!
গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পরবেনঃ-
------------
ভালোবেসে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিল শুভ আর মিমি।
প্রথম তিন মাস ছোট্ট একটি ফ্ল্যাটে একটু
কষ্ট করতে হয়েছিল, কিন্তু তিনমাস পর শুভ
একটা ভালো চাকরি পাওয়ায় বড় একটা ফ্ল্যাটে উঠে যায় ওরা।প্রথম প্রথম
ভালোই চলছিল।হঠাৎ করে মিমি লক্ষ্য করে শুভর একটু বেশি পরিবর্তন হয়েছে।
যেমন আগে শুভ মাঝে মাঝেই ঘুরতে নিয়ে
যেতো।উইকেন্ডে সিনেমা দেখাতে,বাইরে খাওয়াতে অথবা শপিং এ নিয়ে যেতো।
অনেক ভালোবাসতো। কিন্তু এখন?
উইকেন্ডে ও শুভ অফিসে যায়।বাসায় আসার পর কিরকম খিটমিটে মেজাজ নিয়ে থাকে।
মিমির সাথে অকারণেই ঝগড়া করে।শুভর এ
হঠাৎ পরিবর্তনে মিমির খুব কষ্ট হয়।
এইতো সেদিন শুভর ফোনে একটা মেসেজ
এসেছে।মিমি সামনে ছিলো, ফোনটা হাতে নিতেই শুভ ছোঁ মেরে এসে ফোনটা নিয়ে নেয়! আর এত্তগুলা কথা শুনিয়ে দেয় মিমিকে।
স্বামীর ফোন স্ত্রী হাতে নেয়াটা তো অন্যায় কিছু নয়।বেলকনিতে মিমি আর
শুভ মিলে অনেক গুলো গোলাপ গাছ লাগিয়েছিলো, অনেকদিন হয়ে গেছে
কিন্তু সেই গাছে ফুল হয় নি।
এত্ত বড় এ্যাপার্টমেন্টে মিমির থাকতে দম বন্ধ লাগে,তাই দিনের বেশিরভাগ সময় মিমি এই গাছগুলোর সাথে গল্প করে।তার সুখ দুঃখের গল্প।
মিমির বাবা মার কথা ও খুব মনে পড়ে।
একাকিত্ব তার জীবনটাকে গ্রাস করে।শুভ বাসায় এসে ডিনার করেই ল্যাপটপটা সামনে নিয়ে বসে।
মিমি বিছানার একপাশে চুপটি করে শুয়ে থাকে।
আগের মত শুভ বিছানায় এসে লক্ষী বৌ বলে জড়িয়ে ও ধরেনা।
আজকাল তো ওদের মাঝে কথা ও হয়না।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস।খুব
যত্ন করে শুভর ফেবারিট চকোলেট কেক বানিয়ে সারাটা দিন অপেক্ষা করেছে, শুভ আসেনি।
পরদিন ভোরে বাসায় এসেছে।মিমি জিঞ্জেস ও করেনি সারারাত কোথায়
ছিলো অথবা কেনো বাসায় আসেনি।
একাকিত্ব আর অবহেলায় জর্জরিত মিমি একসময় দরজা জানালা বন্ধ করে
অন্ধকার ঘরে থাকতে শুরু করে।
শুভ আর মিমির মাঝখানে একজন তৃতীয়
ব্যাক্তি ছিলো।শুভর সুন্দরি কলিগ রূপা।
শুভ বিবাহিত জানার পর ও রূপা ওর সাথে সম্পর্কে জড়ায়।কিছু দিন যেতে না যেতে শুভর উপর থেকে রূপা আগ্রহ হারিয়ে অফিসের বসের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্কে জড়ায়।
শুভ ফিরে আসে মিমির কাছে।কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে,মিমি এখন কথা বলতে পারেনা, সব সময় অন্ধকারে থাকার
ফলে আলো সহ্য করতে
পারেনা।
শুভ বড় বড় ডাক্তার দেখায় মিমিকে।সব ডাক্তারের একই কথা মিমি যে স্টেজে আছে এখন থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা মাত্র ৫%!
আর ভালোবাসা এবং সময় ই হলো ওর একমাত্র ঔষধ।
এখন শুভ মিমিকে খুব টেক কেয়ার করে।খুব
ভালোবাসে,কিন্তু মিমি সেটা বোঝার ক্ষমতাই যে হারিয়ে ফেলেছে।।
.
বিঃদ্রঃঅনেকই দেখা যায় বিয়ের পর পরকিয়ায়
জড়াতে।অথবা প্রেমিকাকে ধোঁকা দিয়ে অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়তে।
আপনাদের কি একবার ও মনে হয়না যে মানুষটা পাগলের মত আপনাকে
ভালোবাসে,অন্ধের মত বিশ্বাস করে সেই মানুষটির সাথে প্রতারণা করতে?
মনে রাখবেন,আপনার একটি ভুলের কারনে
একটি জীবন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে!!!
ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
0 comments:
Post a Comment