advertisement

adverisement

your javascript ads here

Thursday, 7 July 2016

‘আমার ছুটি নাই, মাকে নিয়ে ঈদ কর’ !!!

 ‘আমার ছুটি নাই, মাকে নিয়ে ঈদ কর’ !!!

আমার জরুরি ডিউটি আছে মাকে নিয়ে তোমরা সবাই ভালমত ঈদ কর। আমার ছুটি হবে না, ঈদে আসতে পারবো না। ঠিক এভাবেই মৃত্যুর আগে বড় ভাই নাজমুলের সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন শোলাকিয়ার ঈদগাহে বোমা হামলায় নিহত কনস্টেবল আনসারুল হক। আর এই কথা গুলোই গণমাধ্যমের কাছে বলতে গিয়ে ডুকরে কেদে উঠেন নিহত
আনঅসারুলের ভাই নাজমুল।তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দৌলতপুরে চলছে এখন শোকের মাতম। বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ঈদগাহের কাছে টহল পুলিশের উপর চালানো ওই বোমা হামলার ঘটনায় আনসারুল হক(৪০) সহ দুই পুলিশ সদস্য, এক নারীসহ চার জন নিহত হন।এদিকে মৃত্যুর খবর শোনার পর তার বাড়ির পরিবেশ স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে। সান্ত্বনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছেন প্রতিবশীরা। বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন আনসারুলের স্ত্রী রুনা আক্তার ও বৃদ্ধা মা রাবেয়া বেগম।“আমার ভাই আর বাড়িতে কোনদিনই আসবে না। আর কথা বলবে না। জঙ্গিরা সব কেড়ে নিল। রুনাকে, মাকে কী বুঝাবো?” ভাইয়ের জন্য এমন অসহায় আত্ম-চিৎকার কাঁদিয়েছে আশপাশের সবাইকে।মৃত সিদ্দিকুর রহমান মুন্সীর পাঁচ ছেলে এক মেয়েরে মধ্যে তৃতীয় আনসারুল হক। পাঁচ বছর আগে আনসারুলদের সবার বড়ভাই আতিকুর রহমান সিলেটে ভবন নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে মারা যান। আনসারুল স্থানীয় তিয়শ্রী এনএইচ খান একাডেমি থেকে ২০০৩ সালে এসএসসি পাশ করেন। পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন ২০০৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। সর্বশেষ তিনি কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সোহেল মিয়া বলেন, পরিবারটি তেমন স্বচ্ছল নয়। বড়ভাই মারা যাওয়ার পর আনসারুলের আয়ের উপর অনেকটা নির্ভর ছিল সংসারটি।আনসারুল এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে জানান তিনি।“আনসারুলের মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে পৌঁছার পর থেকে বার বার স্ত্রী রুনা আক্তার ও বৃদ্ধা মা রাবেয়া বেগম মূর্ছা যাচ্ছেন। আত্মীয়-স্বজন, গ্রামের ও আশপাশ গ্রামের মানুষ আসছেন; তাদের সহমর্মিতা জানাচ্ছেন।” অনেকেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
উল্লেখ, গতকাল বৃহস্পতিবার ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের পাশে আজিমুদ্দিন স্কুলের মাঠে ৫-৬ জন যুবক ঈদগাহ ময়দানের ভেতরে প্রবেশ করতে চায়। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে তল্লাশি করতে চান। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ব্যাগের ভেতর থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে পুলিশ সদস্যদের কোপাতে থাকে এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এই হামলায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারীসহ চার জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য।

Related Posts:

0 comments:

Post a Comment