advertisement

adverisement

your javascript ads here

Sunday, 3 July 2016

গুলশান হামলা: নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক প্রকৌশলী হাসনাত করিম আটক ?

গুলশান হামলা: নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক প্রকৌশলী হাসনাত করিম আটক ?


গুলশান হামলার ঘটনায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক প্রকৌশলী হাসনাত করিমকে আটক করা হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, তাকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার তথ্য জানতে এবং
যাচাই-বাছাই করতে তাকেসহ আরও কয়েকজনকে গোয়েন্দা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
শনিবার সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ তাকে হলি আর্টিজান থেকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানের আগে-পরে রেস্টুরেন্ট ও আশপাশের এলাকা থেকে হাসনাত করিমসহ যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের প্রায় সবাইকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অনেককে ছেড়ে দেওয়া হলেও হাসনাত করিম এখনও গোয়েন্দা হেফাজতে রয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিম্মি সংকট চলছিল। যাদের উদ্ধার করা হয় তারা পুরো সময়ই ভেতরে ছিলেন। সেখানকার পরিস্থিতির প্রত্যক্ষদর্শী তারা। তদন্তের অংশ হিসেবে তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে নাম ও পরিচয় নেওয়া হচ্ছে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন। কারণ মামলা হলে এর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হবে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে।
হাসনাত করিম নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। হামলাকারীদের কয়েকজন ওই ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি হামলাকারীদের সহায়তা করেছেন কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
অভিযানের সময় হাসনাত করিমের বাবা রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, শুক্রবার রাতে হামলার পর হাসনাত করিম তাকে ফোন করে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন হাসনাত করিমের স্ত্রী শারমীন পারভীন ও দুই সন্তান সাফার (১৩) ও রায়ান (৮)। কন্যা সাফার জন্মদিন উদযাপন করতে শুক্রবার ইফতারের পর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ওই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন তিনি।
হাসনাত করিম দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলেন। ইংল্যান্ডে প্রকৌশল বিদ্যায় পড়াশোনার পর যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে এমবিএ করেন। প্রায় দেড় বছর আগে দেশে ফিরে আসেন বলেও জানান তিনি।
হাসনাত করিমকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাহবুব আলম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, হাসনাত করিম তাদের হেফাজতে রয়েছেন এটা ঠিক। তবে তাকে আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার সময়  কী হয়েছিল বা এ বিষয়ে তিনি কী জানেন সেটা জানার জন্যই তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
 শুক্রবার রাতে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ২ পুলিশ সদস্য, ১৭ বিদেশি নাগরিক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন। পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয় বলে শনিবার সেনাসদরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
অভিযানে জীবিত উদ্ধার করা হয় তিন বিদেশি নাগরিকসহ ১৩ জিম্মিকে। আটক করা হয় এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে হাসনাত সপরিবারে ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছিল। নিহত সাত জাপানির মধ্যে ছয়জনই মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

0 comments:

Post a Comment