advertisement

adverisement

your javascript ads here

Monday, 4 July 2016

প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে কাঁদলেন ইতালির রাষ্ট্রদূত ||

প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে কাঁদলেন ইতালির রাষ্ট্রদূত ||

 ঢাকা: গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমার।এ সময় প্রধানমন্ত্রীও আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন।গত শুক্রবার রাতে
গুলশানের ওই হামলায় নয়জন ইতালীয় নাগরিক জঙ্গিদের হাতে নিহত হন।নিহতদের স্মরণে সোমবার সকালে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমার কাছে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আধা মিনিট তার সঙ্গে কথা বলেন। এর এক পর্যায়ে ইতালির রাষ্ট্রদূত শেখ হাসিনার হাত ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীও অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে মঞ্চে ফুল দেয়ার পর কিছুক্ষণের জন্য কফিনগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সঙ্গেও কিছু সময় কথা বলেন। গুলশানের হত্যাকাণ্ডে সাতজন জাপানি নাগরিককে হত্যা করা হয়।

রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বস্তরের জনগণকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মঞ্চ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ১৪ দল, ১১ দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আর্মি স্টেডিয়ামে যে মঞ্চটি তৈরি করা হয়, সেখানে তিনটি মরদেহ ছিল। দুটি কফিন ঢাকা ছিল বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে। আরেকটি ঢাকা ছিল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা দিয়ে। হামলায় পাঁচ দেশের নাগরিক নিহত হওয়ায় মঞ্চের পেছনে পাঁচটি দেশের পতাকা টাঙানো হয়। মাঝে ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বাঁ দিকে প্রথমে ভারতের এরপর ইতালি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ছিল।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ইতালির রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এটি কোনও দেশের একার সমস্যা নয়। আমাদের উচিত স্কুল-কলেজের যুবকদের ঘৃণার পরিবর্তে ভালোবাসা ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেওয়া।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি আমার অনুরোধ, উগ্র মতাদর্শের আহ্বানে কান দেবেন না।

আমরা সবাই মুক্ত মানুষ, সবাই মিলে মুক্ত হিসেবে বাঁচব।’

0 comments:

Post a Comment