advertisement

adverisement

your javascript ads here

Monday, 4 July 2016

মদিনাতে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ |||

মদিনাতে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ |||


সৌদি আরবের মদিনাতে নবী মোহাম্মদের মসজিদের কাছেই একটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে।
দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে নিরাপত্তা কর্মীরা যখন ইফতার করছিলেন তখন এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
টিভি নেটওয়ার্কের ফুটেজে দেখাচ্ছে একটি গাড়ি আগুনে জ্বলছে।
তবে হতাহতের কোন খবর বা দেশটির কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মদিনার মসজিদটি নবী মোহাম্মদের কবরস্থান এবং ইসলামে মক্কার পরেই মদিনাকে পবিত্র নগরী হিসেবে বলা হয়।
এর আগে সোমবার দেশটির কাতিফ শহরে একটি বিস্ফোরণ হয়। কাতিফ মূলত শিয়া অধ্যুষিত এলাকা।
বিস্ফারণটি একটি শিয়া মসজিদকে লক্ষ্য করেই করা হয়েছিল। হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এই ঘটনা থেকে।
একই দিনে জেদ্দাতে মার্কিন কনস্যুলেটের কাছে একজন সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী নিহত হয়।
এসব ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে সেটা এখনো পরিষ্কার না।
হামলা গুলো এমন এক সময়ে হল যখন রমজান মাস চলছে এবং কিছু দিন পরেই ঈদ উল ফিতর পালিত হবে।

মহানবীর  স্মৃতিবিজড়িত মসজিদ এ নববীর পাশে স্থানীয় সময় রাত আটটা চল্লিশ মিনিটে এই হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তাৎক্ষণিকভাবে হামলায় হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি। তবে প্রবল বিস্ফোরণে শহর কেঁপে উঠেছিল বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে আজ সকালে সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারী নিহত এবং দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, জেদ্দার মার্কিন দূতাবাসের বাইরে গাড়ি পার্ক করে রাখে আত্মঘাতী হামলাকারী। এর কিছুক্ষণ পরই সে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে হামলাকারী নিহত হয় এবং কাছাকাছি থাকা কয়েক নিরাপত্তাকর্মী আহত হন।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটের ছবিতে একটি ট্যাক্সির আড়ালে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, জেদ্দার মার্কিন দূতাবাসসংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ওই এলাকায় সামরিক হেলিকপ্টারও উড়তে দেখা যায়। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য জানাতে পারেনি সৌদি পুলিশ।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ২০১৪ সালের পর থেকে সৌদি আরবে কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। এসব হামলার মূল লক্ষ্য ছিল শিয়া মুসলমান অথবা নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা। অবশ্য এক দশক আগে আল-কায়েদার হামলার মূল লক্ষ্য ছিল পশ্চিমা ব্যক্তি ও স্থাপনা। ২০০৪ সালে জেদ্দায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে এক সন্ত্রাসী হামলায় নয়জন নিহত হন।


0 comments:

Post a Comment