advertisement

adverisement

your javascript ads here

Friday, 8 July 2016

এ রকম বিয়ের পর এমন মৃত্যু !

এ রকম বিয়ের পর এমন মৃত্যু !


বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মনির হোসেনের (২১) বাড়িতে ১৫ দিন অবস্থান ধরে করেছিলেন কনা আক্তার (১৯)। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না হলে ওই সময় আত্মহত্যা করার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। এরপর উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়।অথচ বিয়ের এক বছর পেরোনোর আগেই মনিরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হলো কনার লাশ। অভিযোগ
ওঠেছে যৌতুকের কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে কনাকে। অভিযোগ অস্বীকার করে কনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছে, কনা আত্মহত্যা করেছেন।আজ শুক্রবার মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বহড়াবাড়ি গ্রামে মনিরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় কনার ঝুলন্ত লাশ।মনির গাজীপুরের একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করেন। কনা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গাঙবিহালী গ্রামের বাসিন্দা।স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, মনির ও কনা উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মনির শারীরিক সম্পর্কও করেন। কিন্তু একপর্যায়ে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। বিয়ের দাবিতে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর কনা মনি‌রের বাড়িতে অবস্থান নেন। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতব্বররা সালিশে বসেন। খবর বের হয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। ১৫ দিন অবস্থানের পর উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দেড় লাখ টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কার যৌতুকও নেন মনির। বিয়ের পর থেকে সংসারের নানা বিষয় নিয়ে কনাকে বিভিন্ন সময় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন মনির ও তাঁর মা-বাবা। এ কারণে কনাকে প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলতে দিতেন না তাঁরা।
কনার ভগ্নিপতি আবদুল হানিফ জানান, প্রায় দুই মাস আগে ব্যবসা করার জন্য কনার ভাই আরিফ খানের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন মনির। এই যৌতুক না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে কনাকে নির্যাতন করছিলেন তিনি।
যৌতুক না পেয়ে আজ ভোরে তাঁকে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বহড়াবাড়ি গ্রামের বাড়ি স্বামী মনির ও পরিবারের লোকজন মিলে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন বলে স্বজনরা অভিযোগ করছেন।
কনার স্বজনদের দাবি, তাঁর গলায়, পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন আছে।  মনির ও তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান হানিফ।
তবে, মনির ও  তাঁর পরিবারের লোকজন বলছে, কনা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনার পর মনির ও তার বাবা মজিবর রহমান (৫৫), মা মমতা বেগম (৫০), বোন রিক্তা আক্তার (২৫) এবং ভগ্নিপতি মহিদুর রহমানকে (৩০) আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশ এসে মনিরকে আটক করে অন্যদের ছেড়ে দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে মনির হোসেন জানান, কনাকে হত্যা করা হয়নি। কনা আত্মহত্যা করেছেন। তবে, কনা কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা জানাননি মনির।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত জানান, দুপুর ১টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। এতে কনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। আর ওই গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী মামলাটির পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 comments:

Post a Comment