যারা প্রিলি পরীক্ষায় ধরা খান বার বার অথবা যারা একদমই নতুন আপনারা দেখলে আশা করি উপকৃত হবেন।

যারা প্রিলি পরীক্ষায় ধরা খান বার বার অথবা যারা একদমই নতুন আপনারা দেখলে আশা করি উপকৃত হবেন।আশা করি পোস্টটা পড়লে কি কি বই লাগবে আর কিভাবে পড়তে হবে এসব সম্পর্কে একটা ধারনা পাবেন ।

ইংরেজি এবং বিজ্ঞান এগুলার মাঝে যেগুলাতে দুর্বল সেগুলাতে প্রতিদিন একটু এক্টু করে সময় দেন । প্রতিদিন দুর্বল বিষয়ে সময় দিবেন ম্যাক্সিমাম দুই ঘণ্টা, আর দুর্বলতা না থাকলে সময় দেয়ার দরকার নাই। আপনি যে বিষয় পড়ে বেশি মজা পান সেগুলা আগে শেষ করুন, তারপর অন্যগুলা ধরুন একটার পর একটা । যাই হোক এবার কিভাবে পড়তে হবে সেটা নিয়ে
বলি।
১। প্রিলিতে বাংলা সাহিত্যে ২০ এবং বাংলা ব্যাকরণ এ ১৫ মার্কস । চেষ্টা করলে ব্যাকরণে ফুল মার্কস না তুলতে পারলেও সাহিত্যে কিন্ত সম্ভব। প্রথম ৬ দিন শুধু বাংলা সাহিত্য পড়ুন, এই জন্য বাজারের যেকোনো একটি গাইড বই ফলো করতে পারেন। বই এ যতগুলা পৃষ্ঠা থাকবে সেটাকে ৬ দিয়ে ভাগ দেন, তারপর একদিনের জন্য যত পৃষ্ঠা বরাদ্ধ থাকবে সেটাকে আপনি প্রতিদিন কত ঘণ্টা টাইম দিতে পারবেন সেটা দিয়ে ভাগ দেন। দেখবেন প্রতি পৃষ্ঠার জন্য আপনি সময় পাচ্ছেন ৫ থেকে ১০ মিনিট, এই ৫ থেকে ১০ মিনিটে আপনি এক পৃষ্ঠা যেভাবে পড়তে ভাল লাগে সেভাবেই পড়ুন। দেখে দেখে কয়েকবার রিডিং পড়ুন সাথে একটু জপে জপে পড়ুন, এক পৃষ্ঠা পড়ার পরে চোখ বন্ধ করে যা যা পড়লেন তা কল্পনা করুন। জানি, ম্যাক্সিমামই মনে থাকবেনা তারপরেও এভাবে ৬ দিনে বাংলা সাহিত্য শেষ করুন। তারপর পরের ৪ দিন ঠিক একইভাবে বাংলা ব্যাকরণ শেষ করুন। বাংলার জন্য যেভাবে টাইম বরাদ্ধ করা হয়েছে এই মেথড সকল বিষয়ের জন্য ইউজ করুন।
২। তারপরের ৮ দিন শুধু ইংরেজি পড়বেন, ইংরেজি সাহিত্যে ১৫ এবং গ্রামারে ২০। প্রথম, ৩ দিন যেকোনো একটা গ্রামার বই থেকে ভালভাবে সিলেবাস এর টপিকসগুলা বুঝে বুঝে শেষ করুন । পরের ৩ দিন যেকোনো একটা প্রিলির গাইড থেকে দেখে দেখে সকল প্রশ্ন সল্ভ করুন। শেষ ২ দিন প্রিলির বই থেকে সাহিত্য পড়ুন।
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে ৩০ মার্কস , এই ৩০ মার্কস এর জন্য বাজারের একটা প্রিলির গাইড ফলো করতে পারেন। খুব ভাল করতে চাইলে ওরাকল অথবা আজকের বিশ্ব , আর একটু কম পড়ে পাড় পেতে চাইলে এম পি ৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলীও ঠিক বাংলার মত সময় হিসেব করে শেষ করুন ৬ দিনে।
৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর ২০ মার্কস এর জন্যও বাংলাদেশ বিষয়াবলীর মতই কৌশল ফলো করুন আর যেকোনো একটা ভাল গাইড ফলো করুন। সময় ৬ দিন।
৫। ভূগোল এর ১০ মার্কস এর জন্য নবম দশম শ্রেণীর ভূগোল বইটা দেখতে পারেন আর যদি ভাল না লাগে তাহলে শুধু প্রিলির একটা গাইড বই ই ফলো করেন। সময় ২ দিন।
আবারও বলে নিচ্ছি যে, আপনার মনে থাকুক আর না থাকুক সেটা নিয়ে চিন্তা করবেন না, শুধু আপনার সময় হিসেব করে এভাবে শেষ করে যান, পরীক্ষার হলে ইনশাল্লাহ এর প্রভাব বুঝতে পারবেন।
৬। সধারন বিজ্ঞান এর ১৫ মার্কস এর জন্য নবম দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান শেষ করুন ২ দিনে তারপর প্রিলির একটা গাইড পড়ুন ৩ দিন । কম্পিউটার আরে তথ্য প্রযুক্তির জন্যও একইভাবে প্রথম ২দিন নবম দশম শ্রেণীর কম্পিউটার বই এবং পরের ৩ দিন একটা গাইড পড়ুন।
৭। নৈতিকতার ১০ মার্কস এর জন্য শুধু একটা প্রিলির গাইড বই পড়েন ২ দিন। এটা নিয়ে বেশী ভেবে লাভ নাই, এখানে যতই সময় দেন না কেন পরীক্ষার হলে ভুল উত্তর করার সম্ভাবনা বেশী ।
৮। গাণিতিক যুক্তির ১৫ মার্কস এর জন্য আরিফুর রহমান এর শর্টকাট শেষ করুন ৪ দিনে। যারা অংকে ভাল তারাই এ কাজ করুন, যারা অংকে দুর্বল আপনারা প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে অঙ্ক করুন।
৯। মানসিক দক্ষতার জন্য কিছু না পড়লেও হবে, আর পড়তে চাইলে যেকোনো একটা প্রিলির গাইড রিডিং দেন ২ দিনে।
তাহলে সকল বিষয় কতদিনে একবার শেষ হবে চলেন হিসেব করে দেখি
বাংলাঃ ১০ দিন
ইংরেজিঃ ৮ দিন
বাংলাদেশ বিষয়াবলীঃ ৬ দিন
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীঃ ৬ দিন
ভুগোলঃ ২ দিন
বিজ্ঞান এবং কম্পিউটারঃ ১০ দিন
নৈতিকতাঃ ২ দিন
গানিতিক যুক্তি এবং মান্সিক দক্ষতাঃ ৬ দিন
তাহলে ৫০ দিনে আপনার সিলেবাস শেষ হবে, এভাবে শেষ করার পর আপনি ২০০ মার্কস এর পরীক্ষায় কোনভাবে ১০০ তুলতে পারবেন। কারন যা পড়বেন তার ম্যাক্সিমাম ভুলে যাবেন।
এভাবে শেষ করার পরে ঠিক একইভাবে সবগুলা বিষয় আবার শেষ করুন, কিন্ত ৫০ দিনে নয়, এবার শেষ করতে হবে ২৫ দিনে। এই ২৫ দিনে যে সময় টাতে আপনি আজাইরা বসে থাকবেন কিংবা যখন মুভি দেখবেন তখন বিগত বছরের ভিবিন্ন চাকরী পরিক্ষার প্রশ্নগুলাতে চোখ ভুলাবেন। এভাবে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ টা চাকরী পরীক্ষার প্রশ্ন কিংবা মডেল টেস্ট দেখে দেখে রিডিং পড়ুন উত্তরসহ।
এভাবে ২৫ দিন শেষ হবার পর যদি দেখেন প্রিলি পরীক্ষার জন্য আরও ২০ দিনের উপরে সময় আছে তাহলে ঠিক একইভাবে বিষয়গুলা আবার শেষ করুন কিন্ত তা হবে ১৫ দিনে।
পরীক্ষার ঠিক ১ সপ্তাহ আগে থেকে সব বিষয় আলাদা আলাদাভাবে পড়া বাদ দেন। তখন প্রফেসর কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স স্পেশাল ফর প্রিলি শেষ করুন ৪ থেকে ৫ দিনে। পরের দিন শুধু অঙ্কের সুত্রগুলা দেখুন সাথে। পরিক্ষার আগের দিন মজ মাস্তিতে নিজেকে বিজি রাখুন আর রাতের বেলা একটা মুভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ুন ।
পরীক্ষার হলে যেয়ে বাকীটা আপনার দায়িত্ব । আশা করি এভাবে চালালে হলে যেয়ে পরীক্ষার পর আপনাকে চিন্তা করতে হবে না টিকবেন কি না টিকবেন না।পরীক্ষার হলে কিভাবে সময় কাজে লাগাতে হবে এই নিয়ে আমি লিখব ইনশাল্লাহ ।
প্রিলির জন্য দরকারি বই সমুহঃ
১। ইংরেজির জন্য যেকোনো একটা ভাল গ্রামার বই, পিসি দাস এর বইটা ভাল সাথে যেকোনো একটা প্রিলির গাইড । প্রফেসর , ওরাকল অথবা এম পি ৩। এবিসি টু ইংলিশ লিটারেচার ।
২। বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ের জন্য বেশী পড়তে চাইলে নতুন বিশ্ব অথবা ওরাকল আর কম পড়তে চাইলে এম্পি৩ ।
৩। বিজ্ঞান এর জন্য নবম দশম শ্রেণির বিজ্ঞান সাথে বাজারের প্রিলির যেকোনো একটা গাইড তবে ওরাকল টা ভাল।
৪। কম্পিউটার এর জন্য নবম দশম শ্রেণীর বই, আর প্রিলির বিজ্ঞান বই
৫। ভূগোল এর জন্য নবম দশমের ভূগোল বই।
৬।গনিতের জন্য আরিফুর রহমান এর গনিত।
৭। নৈতিকতার জন্য প্রিলির যেকোনো একটা গাইড ।
৮। মানসিক দক্ষতার জন্য কিছু না হলেও চলবে, না চললে যেকোনো একটা প্রিলির বই।
আর পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে অবশ্যই প্রফেসর এর কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স স্পেশাল
সবাই ভাল থাকবেন, আমার জন্য দুয়া করবেন
______________________
Credit : শুভ বাবু (মোঃ শাহিদুল ইসলাম)
Admin, BCS: Our Goal [Largest Job group of Bangladesh ]
তবে আগেই বলে নেয়া ভাল যে, আমি কিন্ত ক্যাডার না এবং কখনো ক্যাডার হতে পারব কি না তাও জানি না। সফলতা বা বিফলতা বলতে যা আছে তা হল ৩৩ এবং ৩৪ এ নন ক্যাডার, ৩৫ এর ফাইনাল ফলাফলের জন্য অপেক্ষমাণ, ৩৬ এর লিখিত পরীক্ষার্থী এবং ৩৭ এর ফর্ম ফিল আপ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করিয়াছি ।প্রিলি পাশ করার ক্ষেত্রে এখানে আমার নিজস্ব কৌশলগুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করব, যে কৌশল ফলো করে একটার পর একটা বিসিএস এর ভাইভা দিয়ে যাচ্ছি, যদিও ক্যাডার হয় নাই এখনো । frown emoticon প্রথমেই বলে নেয়া ভাল যে প্রিলির জন্য বাজারের গাইড বইগুলা মোর দেন এনাফ, শুধু শুধু অমুক ক্লাস এর বই তমুক মিয়ার লেখা বই পড়ে পড়ে মাথা জ্যাম করার দরকার নাই। যারা গনিত,