কুসুমকান্তি বিশ্বাস, কোলকাতাঃ ভারতের
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নতুন ১৯ জনকে নেওয়া হয়েছে ১০টি রাজ্য থেকে। এদের
মধ্যে উত্তর প্রদেশ এবং গুজরাট থেকে তিনজন করে প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই দুই রাজ্যেই আগামী বছর বিধানসভার ভোট।ক্ষমতা গ্রহণের দুই বছর পর মন্ত্রিসভার
পরিধি বাড়ালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্থানীয়
সময় আজ
মঙ্গলবার সকালে দেশটির রাষ্ট্রপতি ভবনে ১৯ জন নতুন মন্ত্রী শপথ নেন।টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বর্তমান
মন্ত্রিসভার সদস্য প্রকাশ জাভরেকর পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে এবং ১৯ জন
প্রতিমন্ত্রীর হিসেবে শপথ নিয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত তাঁদের অনেককেই দপ্তর
বণ্টন করা হয়নি।এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, বিশিষ্ট সাংবাদিক
এম জে আকবরকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং থেকে
জয়ী লোকসভা সদস্য বিজেপির সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া এবং গায়ক বাবুল
সুপ্রিয়ও প্রতিমন্ত্রীর পদ পেয়েছেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গের দুই বিজেপি সাংসদেরই
স্থান হলো কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়।ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপির) কেন্দ্রীয়
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অনিল সরখেল জানান, নতুন মন্ত্রীদের তালিকা তৈরির সময়
জাত,সামাজিক অবস্থান এবং আঞ্চলিকতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে দুইজন
প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন এই দুই মন্ত্রী হলেন উত্তর প্রদেশ
এবং আসাম থেকে যথাক্রমে যশোবন্ত সিং ভাবোর এবং খাগ্গন সিং কুলাস্তে।এ ছাড়া তফসিল জাতিগোষ্ঠীর পাঁচজন
প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। এঁরা হলেন অজয় টামটা, অর্জুনরাম মেঘাওয়াল, রমেশ
জিগাজিনাগি ও কৃষ্ণা রাজ। মহারাষ্ট্র থেকে নির্বাচিত বিজেপির শরিক আরপিআই
পার্টির নেতা রামদাস আটয়ালেও তপসিল জাতিভুক্ত হিসেবে মন্ত্রিসভায় স্থান
পেয়েছেন।
আসাম থেকে বিজেপির প্রতিমন্ত্রী
পদমর্যাদায় ছিলেন নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ স্যান্যাল। আসামের
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যের প্রবীণ বিজেপি সাংসদ রাজেন গোঁহাইকে
প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।এদিকে সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী,
মন্ত্রিসভায় নতুন ১৯ জন সদস্য যুক্ত হওয়ায় অন্তত ছয়জন মন্ত্রীকে ইস্তফা
দিতে হবে। কারণ ভারতের সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার আকার ৮২ সদস্যের বেশি
হতে পারে না।তবে প্রধানমন্ত্রী মোদি গতকালই ঘোষণা
দিয়েছিলেন, অর্থ,স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো
রদবদল হবে না। এ ছাড়া তিনি বলেছিলেন, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির হাতে
অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে। সেই অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে তাঁকে সম্ভবত ভারমুক্ত
করা হবে।
0 comments:
Post a Comment