সপ্তাহে ২০ লাখ মশা উৎপাদিত হচ্ছে মশার খামারে, কিন্তু কেন ?

বিভিন্ন ধরনের খামারের কথা শোনা গেলেও মশা যে খামারে
উৎপাদিত হতে পারে এ বিষয়টি জানা ছিল না কানাডিয়ান ফটোগ্রাফার কেভিন
ফ্রেয়ারের। কিন্তু চীনের একটি মশার খামারে প্রতি সপ্তাহে ২০ লাখ মশা
উৎপাদিত হচ্ছে এমন খবর শুনে তিনি অবাক হন। এরপর নিজ চোখে বিষয়টি দেখার জন্য
প্রথম ফ্লাইটেই চীনে যাওয়ার জন্য উদ্যোগ নেন। এক
প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ওইয়ার্ড।
চীনের সেই মশার খামারে সত্যিই মশা উৎপাদিত হয়। আর এ বিষয়টি স্বচক্ষে দেখার জন্য কেভিন ফ্রেয়ার চীনে চলে যান। সেখানে মূলত বিজ্ঞানের প্রয়োজনেই মশা উৎপাদিত হচ্ছে।
চীনের গুয়াংঝু প্রদেশের সেই মশার খামারটি মূলত ট্রপিকাল রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য মশা নির্মূলে মশাকেই কাজে লাগানোর বিষয়ে গবেষণা করছে এ গবেষণাগারটি। আর এজন্য মশার খামারটিতে উৎপাদিত হচ্ছে সন্তান জন্মদানে অক্ষম মশা।
এ খামারে উৎপাদিত পুরুষ মশাগুলো যখন অন্য মশাদের নিষিক্ত করে তা থেকে
কোনো নতুন মশার জন্ম হয় না। আর এভাবে অসংখ্য অক্ষম মশা যখন বিস্তার লাভ
করবে তখন নতুন মশা জন্মদান কমে যাবে। ফলে মশার সংখ্যা কমে গিয়ে বিভিন্ন
মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ সুবিধাজনক হবে, এমনটাই আশা করছেন গবেষকরা।
কানাডিয়ান ফটোগ্রাফার কেভিন মশার খামার পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান সেখানে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। এ কর্মযজ্ঞের মাঝে রয়েছে গবেষণাগারে বিপুল পরিমাণ মশা উৎপাদন ও তা একটি দ্বীপে ছেড়ে দেওয়া। মূলত চীনের সাজাই নামে দ্বীপটিকেই গবেষকরা পরীক্ষামূলকভাবে বেছে নিয়েছেন মশা নির্মূলের গবেষণায়। দ্বীপটিতে এ গবেষণা সফল হলে পরবর্তীতে সারা বিশ্বেই মশা নির্মূলে উদ্যোগ নেবেন গবেষকরা।
এ বিষয়ে ফটোগ্রাফার ফ্রেয়ার বলেন, ‘চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহু বিষয়ের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় মশার খামারকে আমার ভিন্ন কিছু বলেই মনে হয়।’
এডিস মশা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক মশাদের অন্যতম। আর গবেষণাগারটিতে সে মশা নির্মূলেই ব্যাপক গবেষণা চলছে গত চার বছর ধরে। সেখানে অসংখ্য ট্রেতে তৈরি হচ্ছে মশা। ফটোগ্রাফার ফ্রেয়ার দেখতে পান মশার অসংখ্য খাঁচা, যেখানে তৈরি হচ্ছে নির্বিজ মশাগুলো। বহু মশার লার্ভা ছড়িয়ে রয়েছে হ্যাচিংয়ের কাজে ব্যবহৃত খাঁচাগুলোতে। এরপর সেগুলোর মধ্যে পুরুষ ও নারী মশা আলাদা করা হচ্ছে। তাদের জন্য রাখা হয়েছে প্রাণীর রক্ত। এরপর সেগুলো কিছুটা বড় হলেই ভরে ফেলা হচ্ছে কন্টেইনারে। এরপর সেখানে দেওয়া তা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে দ্বীপটিতে।
এ গবেষণাটি করা হচ্ছে চীনের ইয়েট-সেন ইউনিভার্সিটি ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে। তারা এখন পর্যন্ত কয়েকশ মিলিয়ন নির্বিজ মশা ছেড়েছেন দ্বীপটিতে। পাশাপাশি চলছে দ্বীপটিতে মশাদের প্রভাব বিষয়ে গবেষণা। এক পর্যায়ে সে দ্বীপটি থেকে মশার বংশ সম্পূর্ণভাবে দূর হয়ে যাবে, এমনটাই আশা গবেষকদের।
প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ওইয়ার্ড।
চীনের সেই মশার খামারে সত্যিই মশা উৎপাদিত হয়। আর এ বিষয়টি স্বচক্ষে দেখার জন্য কেভিন ফ্রেয়ার চীনে চলে যান। সেখানে মূলত বিজ্ঞানের প্রয়োজনেই মশা উৎপাদিত হচ্ছে।
চীনের গুয়াংঝু প্রদেশের সেই মশার খামারটি মূলত ট্রপিকাল রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য মশা নির্মূলে মশাকেই কাজে লাগানোর বিষয়ে গবেষণা করছে এ গবেষণাগারটি। আর এজন্য মশার খামারটিতে উৎপাদিত হচ্ছে সন্তান জন্মদানে অক্ষম মশা।
কানাডিয়ান ফটোগ্রাফার কেভিন মশার খামার পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান সেখানে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। এ কর্মযজ্ঞের মাঝে রয়েছে গবেষণাগারে বিপুল পরিমাণ মশা উৎপাদন ও তা একটি দ্বীপে ছেড়ে দেওয়া। মূলত চীনের সাজাই নামে দ্বীপটিকেই গবেষকরা পরীক্ষামূলকভাবে বেছে নিয়েছেন মশা নির্মূলের গবেষণায়। দ্বীপটিতে এ গবেষণা সফল হলে পরবর্তীতে সারা বিশ্বেই মশা নির্মূলে উদ্যোগ নেবেন গবেষকরা।
এ বিষয়ে ফটোগ্রাফার ফ্রেয়ার বলেন, ‘চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহু বিষয়ের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় মশার খামারকে আমার ভিন্ন কিছু বলেই মনে হয়।’
এডিস মশা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক মশাদের অন্যতম। আর গবেষণাগারটিতে সে মশা নির্মূলেই ব্যাপক গবেষণা চলছে গত চার বছর ধরে। সেখানে অসংখ্য ট্রেতে তৈরি হচ্ছে মশা। ফটোগ্রাফার ফ্রেয়ার দেখতে পান মশার অসংখ্য খাঁচা, যেখানে তৈরি হচ্ছে নির্বিজ মশাগুলো। বহু মশার লার্ভা ছড়িয়ে রয়েছে হ্যাচিংয়ের কাজে ব্যবহৃত খাঁচাগুলোতে। এরপর সেগুলোর মধ্যে পুরুষ ও নারী মশা আলাদা করা হচ্ছে। তাদের জন্য রাখা হয়েছে প্রাণীর রক্ত। এরপর সেগুলো কিছুটা বড় হলেই ভরে ফেলা হচ্ছে কন্টেইনারে। এরপর সেখানে দেওয়া তা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে দ্বীপটিতে।
এ গবেষণাটি করা হচ্ছে চীনের ইয়েট-সেন ইউনিভার্সিটি ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে। তারা এখন পর্যন্ত কয়েকশ মিলিয়ন নির্বিজ মশা ছেড়েছেন দ্বীপটিতে। পাশাপাশি চলছে দ্বীপটিতে মশাদের প্রভাব বিষয়ে গবেষণা। এক পর্যায়ে সে দ্বীপটি থেকে মশার বংশ সম্পূর্ণভাবে দূর হয়ে যাবে, এমনটাই আশা গবেষকদের।
0 comments:
Post a Comment