কাউকে ঘাঁয়েল করতে, খারাপের ,পরিবর্তে খারাপ নয় বরং ভালো ব্যবহার ,করে তার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলাই
বুদ্ধীমত্তার কাজ।
কেউ একজন খুব আঘাত করেছে আপনাকে। খুব ব্যাথাও পেয়েছেন তাতে ? আপনি কি চুপ থাকবেন? অবশ্যই না। ওর চেয়ে আপনি কম কোথায়? আপনিও তাকে সজরে পাল্টা আঁঘাত করুন।
.
কি করেছেন তো?
.
গুড, এবার আপনার আঁঘাতপ্রাপ্ত ক্ষত
স্থানে হাঁত দিন। দেখুন তো সেই স্থানটায়
ব্যাথা কমেছে কিনা? কি কমেছে?
.
আপনাকে কেউ প্রচন্ড পরিমান
গালিগালাজ করছে,খুব খারাপ ভাষা
ব্যবহার করেছে। প্রথমে সমস্ত শরীরে
একবার চোঁখ বুলিয়ে দেখুন তো, শরীরের
কোন স্থানে আপনার পঁচন ধরেছে কিনা? কি ধরেনি তো?
.
এবার আপনিও তাকে পাল্টা
গালিগালাজ করুন, খুব খারাপ ভাষা
ব্যবহার করে, মুখে যা আসবে তাই বলে
পাল্টা জবাব দিন।
.
কি দিয়েছেন তো?
.
গুড,এবার সমস্ত শরীরে আবারও একবার ভালোভাবে চোঁখ বুলান।
.
কি আগের চেয়ে শরীরের কোথাও কোন
পরিবর্তন দেখতে পারছেন?
.
মনে তো হয় না, দেখার কথাও নয়। কারন আঁঘাতের পরিবর্তে আঁঘাত করলে নিজের ক্ষত কখনও কমে যায় না বরং দু জনের মনের মাঝে দূরত্বটা আরো বেড়ে যায়। তাতে লাভ কি হলো?
.
মানুষের সবচেয়ে বড় অশ্র তার মুখের
কথা। যা ধারালো অশ্রের চেয়েও অধিক ধারলো।
.
সুতরাং কাউকে ঘাঁয়েল করতে, খারাপের
পরিবর্তে খারাপ নয় বরং ভালো ব্যবহার
করে তার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলাই
বুদ্ধীমত্তার কাজ।
.
আঁঘাতের পরিবর্তে আঁঘাতে করে বোকারা। বুদ্ধি মানের কাজ হচ্ছে, আঁঘাতের পরিবর্তে আঘাত নয় বরং সুন্দর ব্যবহার দিয়ে শত্রুর মন জয় করে, পরবর্তিতে আঁঘাত করার সুযোগ করে না দেয়া।
0 comments:
Post a Comment